শেখ শাহিনুর ইসলাম, মোল্লাহাট (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অনাবৃষ্টি ও খরায় ঘেরের পানি শুকিয়ে মরছে চিংড়ি। উপজেলার চুনখোলা, গাংনী ও কুলিয়া ইউনিয়নের হাজারো মৎস্য ঘেরের চিত্র এটি। এতে মৌসুমের শুরুতেই লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। মোল্লাহাট উপজেলায় সাধারণত ধান ও চিংড়ি একই সঙ্গে চাষাবাদ করা হয়। শীতকালে ধান রোপণের সময় ঘেরের পানি কমিয়ে খালে নামিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরায় খালের পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খালে মাছের ঘনত্ব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে খালের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে। এতে চিংড়ি ছাড়া অন্যান্য মাছও মারা যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৪ হাজারের বেশি চিংড়ি ঘের রয়েছে। বাগদা চিংড়ির চাষ হয় ৪ হাজার ৯৩ হেক্টর জমিতে এবং গলদা চিংড়ি চাষ হয় ৫৩১ হেক্টর জমিতে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ উপজেলায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৬১ মেট্রিক টন এবং গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২৮৬ মেট্রিক টন। কিন্তু এ বছর পানির অভাবে চিংড়ি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। একই সঙ্গে এ লোকসান কীভাবে পোষাবেন, তা নিয়ে তাঁরা আছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলার দারিয়ালা গ্রামের মৎস্যচাষি মোল্লা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ধান বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে ৫০ হাজার রেণু ঘেরে ছেড়েছি। চলমান আবহাওয়ার কারণে আমার পুরোনো এবং নতুন সব মাছ মারা গেছে। আমি একটি মাছও বিক্রি করতে পারিনি। এখন সরকারিভাবে যদি সহযোগিতা করা হয়, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি লিটন শেখ বলেন, ‘আমি আড়াই বিঘা জমিতে ১২ হাজার চিংড়ির পোনা ছেড়েছি। কিন্তু প্রচণ্ড রোদের তাপে সব মাছ মরে গেছে। আমার নতুন করে আর মাছ ছাড়ার সামর্থ্য নেই। আমি এখন সর্বস্বান্ত।’
উপজেলার বেদবাড়িয়া গ্রামের মৎস্যচাষি কিবরিয়া শেখ বলেন, ‘গত ৪০ বছরেও এত রোদ দেখিনি। এখন ভাদ্র মাস চলে। ঘেরে কোমর পর্যন্ত পানি থাকার কথা। সেখানে শিশুরা ঘেরের মধ্যে খেলাধুলা করছে। এ অবস্থায় চিংড়ি চাষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’ মোল্লাহাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে মৎস্যচাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মোল্লাহাটে ১৪ হাজারের বেশি বাগদা ও গলদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজারের বেশি ঘের পানিশূন্য অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ মৌসুম শেষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। পরে তাঁদেরকে সাহায্য-সহযোগিতার ব্যবস্থা করব।’
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অনাবৃষ্টি ও খরায় ঘেরের পানি শুকিয়ে মরছে চিংড়ি। উপজেলার চুনখোলা, গাংনী ও কুলিয়া ইউনিয়নের হাজারো মৎস্য ঘেরের চিত্র এটি। এতে মৌসুমের শুরুতেই লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। মোল্লাহাট উপজেলায় সাধারণত ধান ও চিংড়ি একই সঙ্গে চাষাবাদ করা হয়। শীতকালে ধান রোপণের সময় ঘেরের পানি কমিয়ে খালে নামিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরায় খালের পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খালে মাছের ঘনত্ব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে খালের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে। এতে চিংড়ি ছাড়া অন্যান্য মাছও মারা যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৪ হাজারের বেশি চিংড়ি ঘের রয়েছে। বাগদা চিংড়ির চাষ হয় ৪ হাজার ৯৩ হেক্টর জমিতে এবং গলদা চিংড়ি চাষ হয় ৫৩১ হেক্টর জমিতে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ উপজেলায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৬১ মেট্রিক টন এবং গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২৮৬ মেট্রিক টন। কিন্তু এ বছর পানির অভাবে চিংড়ি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। একই সঙ্গে এ লোকসান কীভাবে পোষাবেন, তা নিয়ে তাঁরা আছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলার দারিয়ালা গ্রামের মৎস্যচাষি মোল্লা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ধান বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে ৫০ হাজার রেণু ঘেরে ছেড়েছি। চলমান আবহাওয়ার কারণে আমার পুরোনো এবং নতুন সব মাছ মারা গেছে। আমি একটি মাছও বিক্রি করতে পারিনি। এখন সরকারিভাবে যদি সহযোগিতা করা হয়, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি লিটন শেখ বলেন, ‘আমি আড়াই বিঘা জমিতে ১২ হাজার চিংড়ির পোনা ছেড়েছি। কিন্তু প্রচণ্ড রোদের তাপে সব মাছ মরে গেছে। আমার নতুন করে আর মাছ ছাড়ার সামর্থ্য নেই। আমি এখন সর্বস্বান্ত।’
উপজেলার বেদবাড়িয়া গ্রামের মৎস্যচাষি কিবরিয়া শেখ বলেন, ‘গত ৪০ বছরেও এত রোদ দেখিনি। এখন ভাদ্র মাস চলে। ঘেরে কোমর পর্যন্ত পানি থাকার কথা। সেখানে শিশুরা ঘেরের মধ্যে খেলাধুলা করছে। এ অবস্থায় চিংড়ি চাষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’ মোল্লাহাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে মৎস্যচাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মোল্লাহাটে ১৪ হাজারের বেশি বাগদা ও গলদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজারের বেশি ঘের পানিশূন্য অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় আমরা চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ মৌসুম শেষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। পরে তাঁদেরকে সাহায্য-সহযোগিতার ব্যবস্থা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪