নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ৬৮ বছর পর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন-২০২৪’ নামের নতুন আইনটির খসড়া এরই মধ্যে মতামতের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে ধান, চাল, গম, আটা ও আলুর মতো পণ্যগুলো।
বিদ্যমান অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬-তে সিগারেট, কয়লা ও কাঠকে নিত্যপণ্য হিসেবে রাখা হলেও নতুন আইনে তা তালিকা থেকে বাদ পড়ছে, তবে যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বণ্টন নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত নতুন আইনে (ধারা ৪) সরকারকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক বা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি বা পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য সরকার এসব পণ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন, সরবরাহ, বিক্রয়, নিষ্পত্তি, অধিগ্রহণ, ব্যবহার বা ভোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে পারবে বা ব্যবসা সীমিত করতে পারবে।’
আইনের প্রস্তাবিত ধারাটিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার পণ্যের মজুদদারকে মজুদকৃত পণ্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক আদেশে উল্লিখিত দামে বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দিতে পারবে। পণ্য উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বই, হিসাব, রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ বা তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে সরকার।
সরকার চাইলে কোনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্রয় বা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিক্রির জন্য রাখা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিক্রি স্থগিত রাখা নিষিদ্ধ করতে পারবে।’
আইনের খসড়ায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি বড় তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে খাদ্যপণ্য ছাড়াও ওষুধ এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতিও রাখা হয়েছে। তালিকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ধান, চাল, গম, আটা, আলু, বীজ, চারা, মসুর ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, তেলবীজ, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, চিনি, খাবার লবণ, গুড়, মাছ, মাছজাতীয় খাদ্য, মাংস, ডিম, দুধ, শিশু ও রোগীর খাবার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, নিউজপ্রিন্ট, কাগজ, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সার, লোহা, ইস্পাত ও সিমেন্ট।
নতুন আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনি হালনাগাদ করা খুবই জরুরি। তবে আইনে সব ধরনের সেবাকে যুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পানি আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের শুল্কমুক্ত রাখতে হবে, যাতে মূল্যস্ফীতি কমানো যায় এবং ভোক্তাদের স্বস্তি আসে।
আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের একটি খসড়া ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ সেখানে মতামত দিতে পারেন।
আইন প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা অনুযায়ী যাতে শুল্কমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিন বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ৬৮ বছর পর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন-২০২৪’ নামের নতুন আইনটির খসড়া এরই মধ্যে মতামতের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে ধান, চাল, গম, আটা ও আলুর মতো পণ্যগুলো।
বিদ্যমান অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬-তে সিগারেট, কয়লা ও কাঠকে নিত্যপণ্য হিসেবে রাখা হলেও নতুন আইনে তা তালিকা থেকে বাদ পড়ছে, তবে যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বণ্টন নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত নতুন আইনে (ধারা ৪) সরকারকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক বা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি বা পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য সরকার এসব পণ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন, সরবরাহ, বিক্রয়, নিষ্পত্তি, অধিগ্রহণ, ব্যবহার বা ভোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে পারবে বা ব্যবসা সীমিত করতে পারবে।’
আইনের প্রস্তাবিত ধারাটিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার পণ্যের মজুদদারকে মজুদকৃত পণ্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক আদেশে উল্লিখিত দামে বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দিতে পারবে। পণ্য উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বই, হিসাব, রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ বা তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে সরকার।
সরকার চাইলে কোনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্রয় বা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিক্রির জন্য রাখা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিক্রি স্থগিত রাখা নিষিদ্ধ করতে পারবে।’
আইনের খসড়ায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি বড় তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে খাদ্যপণ্য ছাড়াও ওষুধ এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতিও রাখা হয়েছে। তালিকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ধান, চাল, গম, আটা, আলু, বীজ, চারা, মসুর ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, তেলবীজ, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, চিনি, খাবার লবণ, গুড়, মাছ, মাছজাতীয় খাদ্য, মাংস, ডিম, দুধ, শিশু ও রোগীর খাবার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, নিউজপ্রিন্ট, কাগজ, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সার, লোহা, ইস্পাত ও সিমেন্ট।
নতুন আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনি হালনাগাদ করা খুবই জরুরি। তবে আইনে সব ধরনের সেবাকে যুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পানি আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের শুল্কমুক্ত রাখতে হবে, যাতে মূল্যস্ফীতি কমানো যায় এবং ভোক্তাদের স্বস্তি আসে।
আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের একটি খসড়া ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ সেখানে মতামত দিতে পারেন।
আইন প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা অনুযায়ী যাতে শুল্কমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪