Ajker Patrika

বাসাবাড়ির আবর্জনায় দূষিত তিতাস নদী

কামাল হোসেন সরকার, হোমনা
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৩৮
Thumbnail image

এসব এ ময়লা-আবর্জনা গড়িয়ে পড়ছে নদীতে। এতে করে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে নদী, তেমনি প্রতিদিন নদীতে গোসল করতে আসা শত শত লোক আবর্জনার গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিম্নবিত্ত শ্রেণিসহ অন্যদের গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য এই নদীর পানির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর ঘাটের দুই পাশেই রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এর মধ্যেই নদীতে নেমে নারী-পুরুষেরা গোসল করাসহ কাপড়চোপড় ধোয়ার কাজ করছেন।

নদীতে গোসল করতে আসা হিরন নামের এক নারী বলেন, এই এলাকার ধনী লোকের স্ত্রীরা বোরকা পরে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা পলিথিনে এনে এখানে ফেলে যায়। আর এতে করে ময়লার দুর্গন্ধে এ ঘাটে গোসল করা অনেক কষ্টকর হচ্ছে। তারপরও কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এসব ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই গোসলের কাজ সারতে হচ্ছে।

নদীতে গোসল করতে আসা বাজারের ব্যবসায়ী হাসান মিয়া জানান, বাজারের অনেক ব্যবসায়ী এখানে এনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যান। নদীর পাড়ে ময়লা ফেলার কারণে এর দুর্গন্ধে নদীর পাশ দিয়ে হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। নাকমুখ চেপে ধরে হাঁটতে হচ্ছে নদীর পাড়ে।

নদীর ঘাট এলাকার বাসিন্দা সবিতা রানী ঘোষ বলেন, ‘সবাই এখানে এসে ময়লা ফেলে যায়। আমরা নিষেধ করলেও শোনে না। কিন্তু নদীর পাড়ে ময়লা ফেলার কারণে এর দুর্গন্ধে আমাদের জীবন বিষিয়ে উঠছে। এ ছাড়া অনেক লোকজন এসে দিনের বেলায় এখানে দাঁড়িয়ে প্রস্রাবও করে থাকেন, আমরা মানা করলেও শুনছে না। আবার রাতের আঁধারে অনেকে এসে এখানে পায়খানা করে যায়। সব মিলিয়ে নদীর ঘাটের এ ময়লা-আবর্জনায় আমরা আশপাশের লোকজন চরম দুর্ভোগে আছি।’

সবিতা রানী ঘোষ আরও বলেন, নদীর ঘাটে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোমনা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারের ও বাসাবাড়ির ময়লা ফেলার জন্য কাচারিকান্দিতে আমাদের নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিনই বাজার ও বাসাবাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে কাচারিকান্দিতে ময়লার স্তূপে ফেলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত