Ajker Patrika

‘ধর্ষণের পর হত্যা, প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে বস্তাবন্দী লাশ পুকুরে’

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২২, ১২: ৫২
‘ধর্ষণের পর হত্যা, প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে বস্তাবন্দী লাশ পুকুরে’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় মিম আক্তার নামে এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে নদীতীরে নিয়ে ধর্ষণ করেন মো. আল আমিন (২৭) নামের এক যুবক। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই কিশোরীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে প্রতিপক্ষ সাঈদ মিয়াকে ফাঁসাতে লাশ বস্তাবন্দী করে তাঁর পুকুরে ফেলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার আল আমিন প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। গতকাল বুধবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

আশিক উজ্জামান জানান, গত শুক্রবার রাতে মাদকসেবী আল আমিন ভুক্তভোগী কিশোরীকে ফুসলিয়ে বাকাকুড়া এলাকার নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে ওই কিশোরীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিমের লাশ বস্তাবন্দী করে সাঈদ মিয়ার পুকুরে ফেলেন। সাঈদের সঙ্গে রাগারাগির জের ধরে তাঁকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে লাশ পুকুরে ফেলেন।

আশিক উজ্জামান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা-পুলিশের মাধ্যমে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত আল আমিন বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানাসহ র‍্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

২৪ জুলাই বিকেলে উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী মিম আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। সে বাকাকুড়া আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা মমিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত