Ajker Patrika

চার বছরেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কারকাজ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
চার বছরেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কারকাজ

নাটোর-বাগাতিপাড়ার প্রধান সড়কটির সংস্কারকাজ সাড়ে চার বছরেও শেষ হয়নি। পাঁচ দশমিক ছয় কিলোমিটার সড়কের পৌনে দুই কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং করা হলেও এর বাকি অংশ ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও চলাচলকারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 
তবে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়কটির কাজ শেষ করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে একটি প্যাকেজের আওতায় প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগাতিপাড়া ও সিংড়ার পাঁচটি সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। নাটোরের মীর হাবিবুল আলম জেভি কনস্ট্রাকশন কাজটির ঠিকাদারি পায়। ওই প্যাকেজের আওতায় উপজেলার দুটি সড়কের মধ্যে নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়কের কসবে মালঞ্চি থেকে তমালতলা বাজার হয়ে কালারা সেতু পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ছয় কিলোমিটারের সংস্কারকাজ 
এবং ফাগুয়াড়দিয়াড়ের সাইলকোনা-মাধববাড়িয়া সড়কের চার কিলোমিটারের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি।

সড়কটি নিয়ে ২০২১ সালের ১ জুলাই আজকের পত্রিকায় ‘বাগাতিপাড়ায় ভাঙা সড়কে জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়। এরপর ওই বছরের ৭ জুলাই সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয়। তখন দুপাশ বাড়ানোসহ পুরো সড়কে ইটের খোয়া ও বালু বিছিয়ে কাজ করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। চলতি বছরের ৫ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘সংস্কারকাজ শেষ হয়নি, ধুলায় অতিষ্ঠ চলাচলকারীরা’ এই শিরোনামে খবর প্রকাশের পর ১৮ এপ্রিল আবারও কাজ শুরু হয়। সেবার কসবে মালঞ্চি থেকে তমালতলা বাজারের উত্তরা মাথা পর্যন্ত পুরো সড়ক এবং তা থেকে আরও প্রায় ৪০০ মিটার সড়কের অর্ধেক অংশ কার্পেটিং করা হয়। আর কালারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে তরল বিটুমিন ঢেলে প্রাইম কোট করে ফেলে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়ক খানাখন্দে ভরা ছিল। এখন আবার সংস্কারকাজ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন টালবাহানা করা হচ্ছে। এতে চলাচলকারীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহান আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ম্যানেজার সুলতান হোসেন এ বিষয়ে বলেন, বিটুমিন-সংকটের জন্য কাজটি শেষ করা যায়নি। তবে বর্তমানে সবকিছু তাঁদের কাছে রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলেই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কটির কাজ শেষ করার জন্য কিছুদিন আগে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু হয়নি। কাজটি শেষ করার জন্য চিঠিও দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত