Ajker Patrika

ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩১
ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ   চাষে কৃষকের আগ্রহ

দিনাজপুরের বিরামপুরে অধিকাংশ জমিতে ধানের আবাদ হলেও বর্তমানে বাড়ছে মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজের চাষ। কয়েক বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। ব্যাপক আকারে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এর চাষ। এর মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ৩০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা বীজে চাষ হয় এসব জমিতে।

বিরামপুর ভবানীপুর (মুন্সিপাড়া) কৃষক ফজলে হোসেন বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছে। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা পরিচর্যা করেছি। আশা করছি, ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারব।

শীতকালীন রবিশস্য চাষ করেন একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নামের এক চাষি এসব রবিশস্যের চারার ফাঁকে ফাঁকে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্যাপক আকারে কখনো পেঁয়াজ চাষ করিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার কিছু চাষ করেছি, ফলন বেশি হলে আগামীতে বেশি করে চাষ করব। পেঁয়াজকে সাধারণত ঠান্ডা জলবায়ু উপযোগী ফসল বলা হয়। বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও এই ফসলের চাষ হচ্ছে। উর্বর মাটি এবং সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে হয়। ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য উপযোগী। অধিক এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজের চাষ না হলেও দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে পেঁয়াজ ভালো হয়।’

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল বলেন, এ উপজেলায় মসলাজাতীয় ফলন চাষে তেমন আগ্রহী ছিলেন না কৃষক। কিন্তু এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। পেঁয়াজের দাম পাওয়ায় এ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, এবার তা ছাড়িয়ে ১০৫ হেক্টর হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ১০-১২ টন। আশা করা যায়, এবারও ভালো ফলন হবে। তা ছাড়া ৩০ জন চাষিকে ৩০ বিঘা জমির জন্য সার-বীজ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত