Ajker Patrika

বাড়ছে ডায়রিয়া, শয্যার সংকটে মেঝেতে রোগী

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৩
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। গত তিন দিনে শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৮৪ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কমপক্ষে ৩০ জন রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল বলছে, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে জনবল বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নতুন ১০টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা গেছে, রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। আসন সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ৩০টি শয্যা রয়েছে। গত তিন দিনে ১২০ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে ৮৪ জন হাসপাতালের বেডে ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জন রোগী নতুন করে ভর্তি হয়েছে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেককে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ডায়রিয়া রোগীদের সেবায় হাসপাতালের আসনসংখ্যা, স্যালাইন, ওষুধসহ সবকিছুর বিষয়ে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরম বাড়ছে। খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি পানে অসচেতনতার কারণেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় স্যালাইন পাওয়া গেলেও আসন না পাওয়ায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীসহ স্বজনদের দুর্ভোগ বাড়ছে।

আলামিন নামের এক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর স্বজন জানান, ‘আমরা সিট পাইনি। বাইরে থেকে চাটাই কিনে এনেছি।’

হাজেরা বেগম বলেন, রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডাক্তার ও নার্সদের ডাকলে সময়মতো পাওয়া যায় না।

২৫০ শয্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের খাবার ও পানীয় গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। রোগীর চাপ অনুযায়ী জনবল বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নতুন করে ১০টি বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত