Ajker Patrika

পোশাকের দোকান ক্রেতাশূন্য

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২২, ১৫: ০৩
পোশাকের দোকান ক্রেতাশূন্য

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঈদুল আজহা ঘনিয়ে এলেও ক্রেতাশূন্য পোশাকের দোকান। ঈদের এক দিন আগেও শপিং মলগুলোয় তেমন ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ফলে অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা গেছে শপিং মল ও মার্কেটগুলোর বিক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, ঈদের চাঁদ রাতে হয়তো কিছু বিক্রি হবে। ঈদুল ফিতরের আগে পোশাকের দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও ঈদুল আজহার আগে চিত্র একেবারে ভিন্ন। কোরবানির সময় মানুষের চোখ গরুর হাটে। তাই পোশাকের দোকান একবারে ক্রেতাশূন্য।

নান্দাইল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি থেকে জানানো হয়েছে, গত ঈদের তুলনায় ক্রেতা কম। আসলে কোরবানির ঈদে তো সবাই গরু কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে পোশাকের দোকানগুলোয় ক্রেতার উপস্থিতি কম।

সরেজমিন দেখা গেছে, নান্দাইল বাজারের বিশাল মার্কেট, রইছ উদ্দিন মার্কেট, ইসহাক শপিং সেন্টার ও স্বপ্নিল প্লাজার মতো শপিং মলে—যেখানে ঈদুল ফিতরের আগে পোশাক বিক্রির ধুম ছিল, সেখানে এখন গুটি কয়েক ক্রেতা দেখা গেছে। যেখানে শপিং সেন্টারে ক্রেতা নেই, সেখানে ফুটপাতে কোনো পোশাকের দোকানই বসেনি। নিম্ন আয়ের মানুষজন পরিবারের ভরসা ফুটপাত থাকলেও উপার্জন না থাকায় অনেকটা ঝিমিয়ে গেছেন তাঁরা। ফলে নান্দাইলে ফুটপাত পোশাকের দোকান শূন্য বললেই চলে।

মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের মুখশেদুর রহমান পলাশ বলেন, ‘মার্কেটগুলোয় এখন তেমন ভিড় নেই। রোজার ঈদে সবাই পোশাক কেনায়, কোরবানি ঈদে তাদের পোশাক কিনতে আগ্রহ কম। আমি নিজেও কিছু কিনি নাই।’

খান ফ্যাশন অ্যান্ড বেবি কর্নারের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জুলহাস বলেন, ‘গত ঈদের তুলনায় ক্রেতা অনেক কম। যা-ও মাঝেমধ্যে কিছু ক্রেতা আসে, তারা কম দামি কাপড় কিনতে। এবারের ঈদে গারারা, সারারা ও লেহেঙ্গার কদর থাকলেও ক্রেতা নেই তেমন।

বিশাল মার্কেটের জেন্টস ফ্যাশনের মালিক সজল সরকার বলেন, ‘এবার ঈদে কিছু ছোট বাচ্চার জামা-কাপড় বিক্রি করেছি। তবে অবস্থা খারাপ। বেচাকেনা একেবারেই কম। দেখি ঈদের রাতে কিছু বিক্রি করতে পারি কি না।’

নান্দাইল পৌরসভার বাসিন্দা আশরাফুল আলম বুলবুল বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি পাঞ্জাবি কেনার জন্য। দোকানগুলোয় দেখতেছি। ক্রেতা অনেক কম। যেহেতু কোরবানির সঙ্গে পশু কেনার একটি সম্পর্ক আছে। তাই মানুষের পোশাক কেনার আগ্রহ নেই।’

নান্দাইল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, ‘গত ঈদের তুলনায় ক্রেতা কম। আসলে কোরবানির ঈদে তো, সবাই গরু কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে পোশাকের দোকানগুলোয় ক্রেতার উপস্থিতি কম। ব্যবসায়ীরা তো ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রচুর পোশাক দোকানে সাজিয়ে রেখেছে, সেই তুলনায় ক্রেতা কম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত