ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় অনাবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর। এসব জমি চাষের আওতায় আনতে নানা জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারের কৃষি বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা জাতের ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছে।
তবে কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের অনাবাদি সব জমি চাষের আওতায় আনতে হলে কৃষককে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য, উন্নত চাষব্যবস্থা, সেচব্যবস্থা ও প্রযুক্তির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬ হাজার ৪০১ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে চাষের আওতায় আনা যাবে ৮ হাজার ৪২৯ হেক্টর।
অনাবাদি জমির মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় অনাবাদি ৩ হাজার ১০১ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর। জামালপুরে অনাবাদি ৬ হাজার ৭২৬ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ৪ হাজার ৩৫ হেক্টর। শেরপুরে অনাবাদি ১ হাজার ৬০১ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ৪০০ হেক্টর। নেত্রকোনায় অনাবাদি জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৯৭৩ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ১ হাজার ৫১৪ হেক্টর। তবে নেত্রকোনায় বেশির জমি হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় অধিকাংশই চাষের আওতায় আনা সম্ভব নয়।
কৃষকেরা যেসব জমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছেন না, সেসব জমিতে অন্য ফসল ফলানোর কথা জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, মাঠপর্যায়ে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। সে লক্ষ্যে আমরা কৃষকের সমস্ত জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ লাখ হেক্টরের অধিক কৃষিজমি রয়েছে।
এর মধ্যে বোরো আবাদ হয় প্রায় ৬ লাখ ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে। আমন আবাদ হয় ৬ লাখ ২ হাজার জমিতে। সব মিলিয়ে মৌসুম অনুযায়ী প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে।
সবচেয়ে বেশি অনাবাদি জমি নেত্রকোনা জেলায়। অনাবাদি থাকার মূল কারণ হচ্ছে নিচু জমি, পাহাড়ি জমি, জলাবদ্ধতা এবং সেচসুবিধা না থাকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে জমি আবাদের আওতায় আনতে সেখানে করলা, ঝিঙা এবং চিচিঙ্গা চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর সুফলও আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলায় অনাবাদি জমি রয়েছে ৩ হাজার ১০১ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আমরা ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। জমি অনাবাদি থাকার সবচেয়ে বড় কারণ জলাবদ্ধতা, কৃষকদের অনাগ্রহ। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই পরামর্শ আমরা কৃষকদের দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, কৃষিজমি শতভাগ চাষের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগ সময়োপযোগী।
তবে এ কাজটি খুব সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এর আগেও কৃষককে প্রণোদনা, সার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এনেও কোনো লাভ হয়নি।
এখন যদি সরকার স্বল্পমূল্যে সার, বীজ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা কিছুটা সম্ভব।
ফকির আজমল হুদা আরও বলেন, এখন কৃষকের হাতে উন্নত প্রযুক্তি যাচ্ছে, তার ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। কৃষককে কৃষিকাজে মনোযোগী করতে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করলে সরকারের চিন্তাভাবনা সফল হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় অনাবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর। এসব জমি চাষের আওতায় আনতে নানা জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারের কৃষি বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা জাতের ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছে।
তবে কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের অনাবাদি সব জমি চাষের আওতায় আনতে হলে কৃষককে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য, উন্নত চাষব্যবস্থা, সেচব্যবস্থা ও প্রযুক্তির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬ হাজার ৪০১ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে চাষের আওতায় আনা যাবে ৮ হাজার ৪২৯ হেক্টর।
অনাবাদি জমির মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় অনাবাদি ৩ হাজার ১০১ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর। জামালপুরে অনাবাদি ৬ হাজার ৭২৬ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ৪ হাজার ৩৫ হেক্টর। শেরপুরে অনাবাদি ১ হাজার ৬০১ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ৪০০ হেক্টর। নেত্রকোনায় অনাবাদি জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৯৭৩ হেক্টর, চাষের আওতায় আনা যাবে ১ হাজার ৫১৪ হেক্টর। তবে নেত্রকোনায় বেশির জমি হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় অধিকাংশই চাষের আওতায় আনা সম্ভব নয়।
কৃষকেরা যেসব জমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছেন না, সেসব জমিতে অন্য ফসল ফলানোর কথা জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, মাঠপর্যায়ে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। সে লক্ষ্যে আমরা কৃষকের সমস্ত জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ লাখ হেক্টরের অধিক কৃষিজমি রয়েছে।
এর মধ্যে বোরো আবাদ হয় প্রায় ৬ লাখ ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে। আমন আবাদ হয় ৬ লাখ ২ হাজার জমিতে। সব মিলিয়ে মৌসুম অনুযায়ী প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে।
সবচেয়ে বেশি অনাবাদি জমি নেত্রকোনা জেলায়। অনাবাদি থাকার মূল কারণ হচ্ছে নিচু জমি, পাহাড়ি জমি, জলাবদ্ধতা এবং সেচসুবিধা না থাকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে জমি আবাদের আওতায় আনতে সেখানে করলা, ঝিঙা এবং চিচিঙ্গা চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর সুফলও আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলায় অনাবাদি জমি রয়েছে ৩ হাজার ১০১ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আমরা ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। জমি অনাবাদি থাকার সবচেয়ে বড় কারণ জলাবদ্ধতা, কৃষকদের অনাগ্রহ। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই পরামর্শ আমরা কৃষকদের দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, কৃষিজমি শতভাগ চাষের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগ সময়োপযোগী।
তবে এ কাজটি খুব সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এর আগেও কৃষককে প্রণোদনা, সার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এনেও কোনো লাভ হয়নি।
এখন যদি সরকার স্বল্পমূল্যে সার, বীজ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা কিছুটা সম্ভব।
ফকির আজমল হুদা আরও বলেন, এখন কৃষকের হাতে উন্নত প্রযুক্তি যাচ্ছে, তার ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। কৃষককে কৃষিকাজে মনোযোগী করতে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করলে সরকারের চিন্তাভাবনা সফল হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪