জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বোরোচাষিদের। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জেলার অভ্যন্তরীণ শাখা নদীগুলোর পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে থেকে বয়ে আসা বৃষ্টির পানিতে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে। এ অবস্থায় ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ সপ্তাহের শেষ দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সিলেটের আবহাওয়াবিদ মো. সাঈদ আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৮ ও ২৯ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলায় রাতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এপ্রিল মাসের ১ ও ২ তারিখ থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদীর পানি বাড়ার বিষয়ে সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের ভেতরে বৃষ্টিপাত না থাকলেও মেঘালয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানি সীমান্তবর্তী নদীগুলো দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে নদীর পানি বাড়ছে।
এদিকে হাওরাঞ্চলে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ১২ উপজেলার মধ্যে এখনো দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শাল্লা, দিরাই, ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায় বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। বোরো ধানের মুকুল বের হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকেরা।
জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের কৃষক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৭ সালের অকালবন্যায় হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর আমরা আতঙ্কে থাকি। গত চার বছর ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলেও এই বছর খুব আশঙ্কায় দিন যাচ্ছে।’
কৃষক আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এক দিনে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি আমাদের জন্য অশনিসংকেত।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, ‘বৃষ্টি তো দরকার আছিল ধানের ফলন ভালো হওয়ার জন্য। তবে এখন প্রতি রাতেই বৃষ্টি হইতাছে। ভালোর চাইতে দেখি খারাপই হওয়ার শঙ্কাই বেশি।’
চলতি বছর সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বোরো ফসল রক্ষায় ৭২৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধের কাজ চলছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের সমস্যা হবে না বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কারণে নদীর পানি বাড়ছে বলে জানান সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নদীর পানি বাড়লেও বাঁধের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু কিছু বাঁধ চুইয়ে চুইয়ে পানি যায়, এটা বন্ধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে নদীর পানি যেহেতু বাড়ছে, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকিতে রেখেছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। কয়েক দিনের খরায় ধানের মুকুল সাদা আকৃতি ধারণ করেছিল। বৃষ্টি হওয়ায় এখন ধানের মুকুল বের হতে শুরু করেছে।
বৃষ্টিপাতে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, খরার কারণে কিছু জায়গায় ধানের মুকুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বৃষ্টি হয়েছে, আর সমস্যা হবে না। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা, বৌলাই ও পাঠলাই নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ায় উপজেলার বৃহৎ শনি, মাটিয়ান ও মহালিয়া হাওরসহ ছোট-বড় ২৪টি হাওর পাড়ের কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। হাওর পাড়ের কৃষকেরা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাওরের ধান ঘরে তোলা অসম্ভব হবে।
উপজেলার শনি হাওর পাড়ের কৃষক সেলিম আখঞ্জী বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে নদীর পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে আমরা হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক বড়দল গ্রামের কৃষক সাঞ্জব উস্তার জানান, নদীর পানি বাড়ায় মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছে, কৃষকের সোনালি ধান আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকের ঘরে তোলা শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও হাওর রক্ষা বাঁধ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, সব কটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা নিশ্চিন্তেই ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বোরোচাষিদের। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জেলার অভ্যন্তরীণ শাখা নদীগুলোর পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে থেকে বয়ে আসা বৃষ্টির পানিতে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে। এ অবস্থায় ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ সপ্তাহের শেষ দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সিলেটের আবহাওয়াবিদ মো. সাঈদ আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৮ ও ২৯ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলায় রাতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এপ্রিল মাসের ১ ও ২ তারিখ থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদীর পানি বাড়ার বিষয়ে সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের ভেতরে বৃষ্টিপাত না থাকলেও মেঘালয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানি সীমান্তবর্তী নদীগুলো দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে নদীর পানি বাড়ছে।
এদিকে হাওরাঞ্চলে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ১২ উপজেলার মধ্যে এখনো দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শাল্লা, দিরাই, ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায় বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। বোরো ধানের মুকুল বের হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকেরা।
জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের কৃষক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৭ সালের অকালবন্যায় হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর আমরা আতঙ্কে থাকি। গত চার বছর ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলেও এই বছর খুব আশঙ্কায় দিন যাচ্ছে।’
কৃষক আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এক দিনে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি আমাদের জন্য অশনিসংকেত।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, ‘বৃষ্টি তো দরকার আছিল ধানের ফলন ভালো হওয়ার জন্য। তবে এখন প্রতি রাতেই বৃষ্টি হইতাছে। ভালোর চাইতে দেখি খারাপই হওয়ার শঙ্কাই বেশি।’
চলতি বছর সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বোরো ফসল রক্ষায় ৭২৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধের কাজ চলছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের সমস্যা হবে না বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কারণে নদীর পানি বাড়ছে বলে জানান সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নদীর পানি বাড়লেও বাঁধের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু কিছু বাঁধ চুইয়ে চুইয়ে পানি যায়, এটা বন্ধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে নদীর পানি যেহেতু বাড়ছে, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকিতে রেখেছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। কয়েক দিনের খরায় ধানের মুকুল সাদা আকৃতি ধারণ করেছিল। বৃষ্টি হওয়ায় এখন ধানের মুকুল বের হতে শুরু করেছে।
বৃষ্টিপাতে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, খরার কারণে কিছু জায়গায় ধানের মুকুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বৃষ্টি হয়েছে, আর সমস্যা হবে না। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা, বৌলাই ও পাঠলাই নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ায় উপজেলার বৃহৎ শনি, মাটিয়ান ও মহালিয়া হাওরসহ ছোট-বড় ২৪টি হাওর পাড়ের কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। হাওর পাড়ের কৃষকেরা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাওরের ধান ঘরে তোলা অসম্ভব হবে।
উপজেলার শনি হাওর পাড়ের কৃষক সেলিম আখঞ্জী বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে নদীর পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে আমরা হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক বড়দল গ্রামের কৃষক সাঞ্জব উস্তার জানান, নদীর পানি বাড়ায় মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছে, কৃষকের সোনালি ধান আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকের ঘরে তোলা শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও হাওর রক্ষা বাঁধ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, সব কটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা নিশ্চিন্তেই ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২২ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫