Ajker Patrika

পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পর্যটকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ০০
পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পর্যটকেরা

হঠাৎ বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে কক্সবাজারে আসা অনেক পর্যটক। কক্সবাজার থেকে ৩৫টি কোম্পানির বাস দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। প্রায় সব বাসই গতকাল সন্ধ্যার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছিল। তারা সবাই গতকাল টিকিট ফেরত নিয়েছে। শহরের ডলফিন মোড়ে হিমাচল বাসের কাউন্টার ম্যানেজার রাশেদ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশায় ছিলাম, সন্ধ্যার মধ্যে অবরোধ শেষ হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী টিকিটও বিক্রি করেছিলাম। সন্ধ্যায় জানানো হয়, বাস চলবে না। সেই অনুযায়ী আমরা এখন যাত্রীদের কল দিয়ে টিকিট ফেরত নেওয়া কিংবা যখন গাড়ি চলবে তখন সময় দিচ্ছি।’

ডলফিন মোড়ে কথা হয় ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, দুপুর থেকে মনে করেছিলাম রাতের বাসে যেতে পারব। এখন তারা বলছে যাবে না। পরে প্রাইভেট কার ভাড়া নিতে চেয়েছিলাম। সেখানে ভাড়া চাচ্ছে ২০ হাজার টাকা। তাই যাইনি। এখনো আশায় আছি ৷ কালকেই অফিসে যোগ দিতে হবে। থাকলেও খরচ বাড়বে। আবার না থাকলেও অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। তাই সরকারকে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করছি।

কক্সবাজারের বাস পরিবহন সেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আজ (শুক্রবার) থেকে বাস ধর্মঘট হবে এমন গুঞ্জন গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়। এতে বৃহস্পতিবারে অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন। রাতের বাসগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। আমরা শুক্রবার দিনের টিকিটও বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু মালিক পক্ষের নির্দেশনার পরে এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের কল করে বিষয়টি জানিয়েছেন। কেউ কেউ টাকা ফেরতও নিয়েছেন।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন, একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার কক্সবাজারে আসেন। আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছি। এখন চট্টগ্রামে ট্রেনের টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু পাচ্ছি না।

অনেক পর্যটক এখন কক্সবাজারে আটকে আছেন। পরিবহন ধর্মঘট কখন শেষ হবে সেই চিন্তাই করছেন। পাশের শ্যামলী কাউন্টারে কথা হয় দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, দুপুর সাড়ে তিনটার বাসের টিকিট কেটেছিলাম। তাই হোটেল থেকে চেক আউট করেছেন। এখন কাউন্টারে এসে শুনছেন বাস নাও যেতে পারে। ফলে মহাসংকটে পড়েছেন।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস বন্ধের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। আবার অনেকে বুকিং দিয়ে আসতেও পারছেন না। এতে আমাদেরও ব্যবসার ক্ষতি হবে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত