Ajker Patrika

জয়পুরহাটে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১২: ১০
জয়পুরহাটে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে

এক সপ্তাহের ব্যবধানে জয়পুরহাটে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অবশ্য নতুন জাতের মৌসুমি দু-একটি সবজির দাম কিছুটা বেশি। আর কিছু সবজির দাম একই রয়েছে। এতে করে জনজীবনে স্বস্তি কিছুটা ফিরেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে বর্তমানে সবজির আমদানি বেড়েছে। সেগুলোর দামও কম। তবে এখন বাজারে এসেছে নতুন জাতের কয়েকটি মৌসুমি সবজি। সেগুলোর আমদানি কম। তাই দাম একটু বেশি।

মাছুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. স্বাধীন জানান, সাত দিন আগে প্রতি কেজি টমেটোর পাইকারি মূল্য ছিল ২০ টাকা। বর্তমানে ১৮ টাকা। প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি মূল্য ছিল ১৮, আর বর্তমানে ১৫ টাকা। পটোল আগে ছিল ৫০, বর্তমানে ৪৫ টাকা। করলা আগে ছিল ৫০, বর্তমানে ৪৫ টাকা। ঢ্যাঁড়সের মূল্য ছিল ৫০, বর্তমানে ৪০ টাকা। শিমের পাইকারি মূল্য ছিল ৫০, আর বর্তমানে ৪০ টাকা।

প্রতি কেজি গাজরের পাইকারি মূল্য ছিল ২৫, বর্তমানে ১৫ টাকা। শজনে ডাঁটার মূল্য ছিল ১০০, বর্তমানে ৮০ টাকা। শসা ছিল ৩০ টাকা, বর্তমানে ২৫। মিষ্টি কুমড়ার দর ছিল ২৫, বর্তমানে ১৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ছিল ৭৫ টাকা, বর্তমানে ৫৫। রসুনের পাইকারি মূল্য ছিল ৪৫, বর্তমানে ৪০ টাকা।

জেলা শহরের খঞ্জনপুর এলাকা থেকে মাছুয়া বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রতিটি সবজির দাম কমেছে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে আমাদের কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

জেলা শহরের নতুন হাটের মুদিদোকানি জনি সরকার বলেন, জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাটবাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় কেজি দরে এবং বোতলজাত তেল বিক্রি হয় লিটারে। সাত দিন আগে প্রতি কেজি সয়াবিন ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বর্তমানে খোলা ১৬৫ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সরিষার (খোলা) তেলের কেজি ছিল ১৯৫ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়।

তবে বেড়েছে বিভিন্ন ডালের দাম। মসুরের ডাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। মটর ডালের দাম ছিল ৪৮ টাকা। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি। ছোলা আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়, বর্তমানে হচ্ছে ৭২ টাকা কেজি।

আর এক কেজি (প্যাকেটজাত) লবণ আগে বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়। বর্তমানে দাম ৩০ টাকা।

মাছুয়া বাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা আবু সুফিয়ান জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৫-৬০ এবং বিআর-২৯ জাতের ৫০-৫৫, জিরাশাইল, মিনিকেট, নাজিরশাইল ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। আর কাটারি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়।

অটোমেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারী এবং এই সংগঠনের কালাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ‘টিসিবির পণ্যের সঙ্গে ওএমএস চালু থাকায় এর প্রভাবে চালের দাম কিছুটা কমেছে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন বিভাগের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাজার মনিটরিংয়ের সময় কোনো প্রকারের অনিয়ম প্রমাণ হলে, জরিমানা করা হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে এখন মূল্যতালিকা টাঙানো হয়েছে। আর চাহিদার চেয়ে বেশি মজুত থাকায় চালের দাম কমেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত