জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
দেখে মনে হবে সামনে বড় কোনো সেতু। একের পর এক যাত্রীবাহী লেগুনা, বাস, সিএনজি, মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সারিবদ্ধভাবে সেসব যানবাহন থেকে টোল আদায় করছেন কর্মীরা। কিন্তু এখানের বাস্তবতা আসলে সেরকম কিছুই নয়। বরং মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে প্রকাশ্যেই টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি। রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখে চিটাগাং রোড, ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়ক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এমন বিশৃঙ্খলা।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় ও পুলিশের মদদে রসিদ দিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টোল আদায়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সিটি করপোরেশন থেকে ইজারাভিত্তিক টোল আদায়ের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, কর্মীরা সিটি করপোরেশনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্দিষ্ট অর্থের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি চাঁদা আদায় করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিটাগাং রোড, ডেমরা-রামপুরা সড়কের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাসেল পাম্প, হাজি হোসেন প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে সিটি টোলের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন কর্মীরা। যাত্রীবাহী লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা, বাস, মালবাহী ট্রাক, অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, আটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন থেকেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। অভিযোগ রয়েছে, দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক হিসেবেও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
সিটি টোল প্রদানকারী পণ্যবাহী লরির চালক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে রাতের বেলা স্টাফ কোয়ার্টার দিয়ে ডেমরা-রামপুরা সড়কে ঢুকলেই গাড়িভেদে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা জোর করে রেখে দেয় চাঁদাবাজেরা। বিশেষ করে বড় বড় কাঠের লরি বা ট্রাক এলেই টাকা দিতে হয়। এতে করে সড়কে বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে বসে থাকতে হয়।’
এভাবে চাঁদা নেওয়া যায় কি না, তা জানতে ডেমরায় সিটি টোলের সাব ইজারাদার শরিফ আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন চাকা সাদৃশ্য যেকোনো যানবাহন থেকে ১০ টাকা সিটি টোল আদায় করার অনুমতি রয়েছে। একই সঙ্গে ছোট সব প্রকার যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস কিংবা মালবাহী ট্রাক থেকে ৩০ টাকা টোল আদায়ের অনুমতি রয়েছে বলেই জানি।’
অথচ দেখা যায়, ছোট পিকআপ থেকে ৩০ টাকা, যাত্রীবাহী বাস থেকে ৬০ টাকা, বড় গাড়ি থেকে ৬০ টাকা, সিএনজি থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাতে ও দিনে বড় পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও যানবাহন থেকে ২০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। এই টাকার একটা অংশ থানা-পুলিশ পায় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্টাফ কোয়ার্টার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকেও ২০০ টাকা করে দিতে হয় থানা-পুলিশকে। ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় আলাদা করে। তা ছাড়া, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা যাত্রীবাহী বাস থেকে দৈনিক ১২০-১৫০ টাকা চাঁদা তুলে পুলিশকে ম্যানেজ করেন। ডেমরা টু চনপাড়া চলাচলকারী সিএনজি থেকে ৫০ টাকা ও নন্দিপাড়া টু স্টাফ কোয়ার্টার চলাচলকারী সিএনজি থেকে ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। আর ইজিবাইক নামানো বাবদ ৫ থেকে ১০ হাজার রুট ভেদে দিতে হয় প্রভাবশালীদের। আর প্রতি মাসে থানার জন্য প্রতিটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক বাবদ ৫০০ টাকা করে দিতে হয়।
এমনকি এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে ঢুকলেই দিতে হয় বাড়তি চাঁদা। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে লাইনম্যানরাও ২০ থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলে থাকেন। ডেমরায় সারুলিয়ায় আন্তজেলা ট্রাক ইউনিয়ন অফিসের নামে দূর থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক-লরি থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল বলেন, ‘চাঁদার কারণে আমরা ভাড়াও বেশি নিই। দিন শেষে আমাদের আয়ও কমে যায়।’
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এভাবে চাঁদা আদায়ের ফলে রাস্তায় যানজট বাড়ে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি দুঃখজনক। তারা আমাদের কথা শোনে না।’
ডেমরা ট্রাফিক জোনের টিআই মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সিটি টোল এবং অন্যান্য যানবাহন থেকে ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। গভীর রাতে ট্রাফিক ডিউটি না থাকার সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজরা এসব করছে।’
ওয়ারি জোনের পুলিশের ডিসি মো. শাহ ইফতেখার আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায়ই চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে আমরা আদালতে পাঠাই।’
দেখে মনে হবে সামনে বড় কোনো সেতু। একের পর এক যাত্রীবাহী লেগুনা, বাস, সিএনজি, মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সারিবদ্ধভাবে সেসব যানবাহন থেকে টোল আদায় করছেন কর্মীরা। কিন্তু এখানের বাস্তবতা আসলে সেরকম কিছুই নয়। বরং মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে প্রকাশ্যেই টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি। রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখে চিটাগাং রোড, ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়ক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এমন বিশৃঙ্খলা।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় ও পুলিশের মদদে রসিদ দিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টোল আদায়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সিটি করপোরেশন থেকে ইজারাভিত্তিক টোল আদায়ের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, কর্মীরা সিটি করপোরেশনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্দিষ্ট অর্থের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি চাঁদা আদায় করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিটাগাং রোড, ডেমরা-রামপুরা সড়কের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাসেল পাম্প, হাজি হোসেন প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে সিটি টোলের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন কর্মীরা। যাত্রীবাহী লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা, বাস, মালবাহী ট্রাক, অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, আটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন থেকেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। অভিযোগ রয়েছে, দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক হিসেবেও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
সিটি টোল প্রদানকারী পণ্যবাহী লরির চালক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে রাতের বেলা স্টাফ কোয়ার্টার দিয়ে ডেমরা-রামপুরা সড়কে ঢুকলেই গাড়িভেদে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা জোর করে রেখে দেয় চাঁদাবাজেরা। বিশেষ করে বড় বড় কাঠের লরি বা ট্রাক এলেই টাকা দিতে হয়। এতে করে সড়কে বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে বসে থাকতে হয়।’
এভাবে চাঁদা নেওয়া যায় কি না, তা জানতে ডেমরায় সিটি টোলের সাব ইজারাদার শরিফ আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন চাকা সাদৃশ্য যেকোনো যানবাহন থেকে ১০ টাকা সিটি টোল আদায় করার অনুমতি রয়েছে। একই সঙ্গে ছোট সব প্রকার যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস কিংবা মালবাহী ট্রাক থেকে ৩০ টাকা টোল আদায়ের অনুমতি রয়েছে বলেই জানি।’
অথচ দেখা যায়, ছোট পিকআপ থেকে ৩০ টাকা, যাত্রীবাহী বাস থেকে ৬০ টাকা, বড় গাড়ি থেকে ৬০ টাকা, সিএনজি থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাতে ও দিনে বড় পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও যানবাহন থেকে ২০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। এই টাকার একটা অংশ থানা-পুলিশ পায় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্টাফ কোয়ার্টার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকেও ২০০ টাকা করে দিতে হয় থানা-পুলিশকে। ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় আলাদা করে। তা ছাড়া, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা যাত্রীবাহী বাস থেকে দৈনিক ১২০-১৫০ টাকা চাঁদা তুলে পুলিশকে ম্যানেজ করেন। ডেমরা টু চনপাড়া চলাচলকারী সিএনজি থেকে ৫০ টাকা ও নন্দিপাড়া টু স্টাফ কোয়ার্টার চলাচলকারী সিএনজি থেকে ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। আর ইজিবাইক নামানো বাবদ ৫ থেকে ১০ হাজার রুট ভেদে দিতে হয় প্রভাবশালীদের। আর প্রতি মাসে থানার জন্য প্রতিটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক বাবদ ৫০০ টাকা করে দিতে হয়।
এমনকি এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে ঢুকলেই দিতে হয় বাড়তি চাঁদা। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে লাইনম্যানরাও ২০ থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলে থাকেন। ডেমরায় সারুলিয়ায় আন্তজেলা ট্রাক ইউনিয়ন অফিসের নামে দূর থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক-লরি থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল বলেন, ‘চাঁদার কারণে আমরা ভাড়াও বেশি নিই। দিন শেষে আমাদের আয়ও কমে যায়।’
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এভাবে চাঁদা আদায়ের ফলে রাস্তায় যানজট বাড়ে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি দুঃখজনক। তারা আমাদের কথা শোনে না।’
ডেমরা ট্রাফিক জোনের টিআই মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সিটি টোল এবং অন্যান্য যানবাহন থেকে ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। গভীর রাতে ট্রাফিক ডিউটি না থাকার সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজরা এসব করছে।’
ওয়ারি জোনের পুলিশের ডিসি মো. শাহ ইফতেখার আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায়ই চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে আমরা আদালতে পাঠাই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪