নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরীর আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে চার লেনের দৃষ্টিনন্দন সড়ক। সাড়ে ছয় কিলোমিটার এ সড়কে লাগানো হয়েছে নান্দনিক সড়কবাতিও। নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নির্মাণ হয়েছে একটি ফ্লাইওভারও। তবে সেটি দুই লেনের। চার লেনের সড়কে দুই লেনের ফ্লাইওভার–এই ‘ত্রুটি’ সারাতে এখন প্রথম ফ্লাইওভারের পাশে আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য একসঙ্গে টাকা বরাদ্দ দেয়নি। তাই এক কাজ দুবার করতে হচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক)। পাশাপাশি আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়ে গেলে আর ত্রুটি থাকবে না। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময়সীমা ধরা আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে কাজ শেষ হতে আরও দু-এক মাস বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবার ওই সড়কের সঙ্গে ২০২ দশমিক ৫০ মিটারের ফ্লাইওভার এবং ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় মোট ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা। এখন এই ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৯২ দশমিক ৫ মিটারের আরেকটি ফ্লাইওভার এবং ৩০০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১২০ টাকা।
আগের দুই লেন ফ্লাইওভার নির্মাণের চেয়ে এবারের দুই লেনে ব্যয় বেড়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ টাকা। একসঙ্গে চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে দুটি
মিলে তখন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম হতো। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থেই ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। পাঁচ বছর আগে প্রস্তুত করা প্রকল্পে প্রথম ফ্লাইওভারটি গত বছর উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটির প্রকল্প প্রস্তুত হয় দেড় বছর আগে। এই সময়ের মধ্যেই নির্মাণ ব্যয় সাড়ে ১১ কোটি টাকা বেড়েছে।
সম্প্রতি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভারের পাশে আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার ডিয়েসকো লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহামুদুল হাসান বলেন, চার লেনের সড়কে আগে দুই লেনের ফ্লাইওভার করা হয়েছে। ফলে এখানে গাড়ির সংখ্যা বাড়লে দুই পাশের আট লেনের গাড়ি এসে ফ্লাইওভারের ওপর এবং দুই পাশে যানজট লেগে যাবে। এ সমস্যা সমাধানে পাশেই দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। চাইলে একসঙ্গেই চার লেনের ফ্লাইওভার করা যেত।
একসঙ্গে কেন চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়নি—সে প্রশ্নে রাসিকের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ও এখনকার উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানিয়েছেন, সড়কটি নির্মাণের জন্য যখন প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়, তখন এর সঙ্গে ফ্লাইওভার ছিল না। রেললাইনের জন্য শুধু একটা লেভেল ক্রসিং গেট করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেভাবেই প্রকল্প অনুমোদন হয়ে যায়। পরে চিন্তা করে লেভেল ক্রসিং গেট না রেখে নিচে রেললাইন রাখতে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তখন আর মন্ত্রণালয় এতগুলো টাকা বরাদ্দ দেয়নি। শুধু দুই লেনের ফ্লাইওভারের জন্য ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তাই দুই লেনেরই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তাঁরা পরিকল্পনা রেখেছিলেন ভবিষ্যতে আরেকটি ফ্লাইওভার দিয়ে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া হবে। এখন সেটাই হচ্ছে।
ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, পাঁচ বছর আগের আর এখনকার কোনো জিনিসের দাম এক নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই ব্যয় বেড়েছে। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারের প্রকল্প প্রস্তুত হয়েছে দেড় বছর আগে। এ কারণে ব্যয় কমই বেড়েছে বলা যায়। এখন এটা করতে গেলে ব্যয় আরও বাড়ত।
রাজশাহী নগরীর আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে চার লেনের দৃষ্টিনন্দন সড়ক। সাড়ে ছয় কিলোমিটার এ সড়কে লাগানো হয়েছে নান্দনিক সড়কবাতিও। নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নির্মাণ হয়েছে একটি ফ্লাইওভারও। তবে সেটি দুই লেনের। চার লেনের সড়কে দুই লেনের ফ্লাইওভার–এই ‘ত্রুটি’ সারাতে এখন প্রথম ফ্লাইওভারের পাশে আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য একসঙ্গে টাকা বরাদ্দ দেয়নি। তাই এক কাজ দুবার করতে হচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক)। পাশাপাশি আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়ে গেলে আর ত্রুটি থাকবে না। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময়সীমা ধরা আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে কাজ শেষ হতে আরও দু-এক মাস বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবার ওই সড়কের সঙ্গে ২০২ দশমিক ৫০ মিটারের ফ্লাইওভার এবং ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় মোট ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা। এখন এই ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৯২ দশমিক ৫ মিটারের আরেকটি ফ্লাইওভার এবং ৩০০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১২০ টাকা।
আগের দুই লেন ফ্লাইওভার নির্মাণের চেয়ে এবারের দুই লেনে ব্যয় বেড়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ টাকা। একসঙ্গে চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে দুটি
মিলে তখন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম হতো। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থেই ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। পাঁচ বছর আগে প্রস্তুত করা প্রকল্পে প্রথম ফ্লাইওভারটি গত বছর উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটির প্রকল্প প্রস্তুত হয় দেড় বছর আগে। এই সময়ের মধ্যেই নির্মাণ ব্যয় সাড়ে ১১ কোটি টাকা বেড়েছে।
সম্প্রতি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভারের পাশে আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার ডিয়েসকো লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহামুদুল হাসান বলেন, চার লেনের সড়কে আগে দুই লেনের ফ্লাইওভার করা হয়েছে। ফলে এখানে গাড়ির সংখ্যা বাড়লে দুই পাশের আট লেনের গাড়ি এসে ফ্লাইওভারের ওপর এবং দুই পাশে যানজট লেগে যাবে। এ সমস্যা সমাধানে পাশেই দ্বিতীয় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। চাইলে একসঙ্গেই চার লেনের ফ্লাইওভার করা যেত।
একসঙ্গে কেন চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়নি—সে প্রশ্নে রাসিকের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ও এখনকার উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানিয়েছেন, সড়কটি নির্মাণের জন্য যখন প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়, তখন এর সঙ্গে ফ্লাইওভার ছিল না। রেললাইনের জন্য শুধু একটা লেভেল ক্রসিং গেট করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেভাবেই প্রকল্প অনুমোদন হয়ে যায়। পরে চিন্তা করে লেভেল ক্রসিং গেট না রেখে নিচে রেললাইন রাখতে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তখন আর মন্ত্রণালয় এতগুলো টাকা বরাদ্দ দেয়নি। শুধু দুই লেনের ফ্লাইওভারের জন্য ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তাই দুই লেনেরই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তাঁরা পরিকল্পনা রেখেছিলেন ভবিষ্যতে আরেকটি ফ্লাইওভার দিয়ে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া হবে। এখন সেটাই হচ্ছে।
ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, পাঁচ বছর আগের আর এখনকার কোনো জিনিসের দাম এক নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই ব্যয় বেড়েছে। দ্বিতীয় ফ্লাইওভারের প্রকল্প প্রস্তুত হয়েছে দেড় বছর আগে। এ কারণে ব্যয় কমই বেড়েছে বলা যায়। এখন এটা করতে গেলে ব্যয় আরও বাড়ত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪