কিশোরগঞ্জ ও বাজিতপুর প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দুই ফসলি কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন এই ইটভাটা চালু হলে আশপাশের কমপক্ষে ১০০ বিঘা জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস ধরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের মইতপুর মৌজার ভূল্লা এলাকায় নতুন এই ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের নিবন্ধন ছাড়াই সোহরাব, রবি, আসলামসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপনের কাজ করছেন। তবে যথাযথ কাগজপত্র থাকার দাবি করেছে মালিকপক্ষ।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, হিলচিয়ার মইতপুর এলাকায় নতুন ইটভাটার চারপাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ ধানখেত। ফসলি জমিতে শ্রমিকেরা ইটভাটার চিমনি ও ক্লিনার নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইটের স্তূপ।
এলাকার লোকজন জানান, এই উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি অবৈধ, পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে নতুন আরেকটি হলে এলাকার কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, যাঁরা ইটভাটা নির্মাণ করছেন, তাঁদের এখানে নিজস্ব কোনো জমি নেই।আত্মীয়স্বজনের জমি ও অন্যের জমি ভাড়া অথবা জোরপূর্বক ইজারা নিয়েছেন। এই ইটভাটা চালু হলে আশপাশের কমপক্ষে ১০০ বিঘা জমির ধান, সরিষা ও পাটের উৎপাদন ব্যাহত হবে। ইটভাটার নির্মাণকাজ বন্ধ না হলে তাঁরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ভাটায় গিয়ে মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোন কথা হয় মালিকপক্ষের একজন সোহরাবের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতি একর জমি ৫০ হাজার টাকা দরে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ইটভাটা নির্মাণ করছি। আমাদের কাছে ইটভাটা স্থাপনের অনুমতির সব কাগজপত্র আছে।’
বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ‘ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। সরকার কখনো দু-তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের অনুমতি দেয় না। ফসলি জমিতে ইটভাটা হলে ওই জমি উর্বরতা শক্তি হারাবে। এই টপ সয়েল একবার নষ্ট হলে সেই জমিতে আর প্রাণ থাকে না। ইটভাটা নির্মাণ হলে ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ফলদ গাছে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। যখন গাছগুলোতে ফুল আসতে থাকে, তখন যদি ইটভাটার ধোঁয়া ও গরম বাতাস ফুলের ওপর পড়ে, তাহলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আশপাশের ফসলি জমিতে ভালো ধান তো হবেই না, উল্টো চিটা হয়ে ধানগাছগুলো মরে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হোসাইন বলেন, ‘নতুন ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে ইটভাটার কেউ আসেননি। যদি কাগজপত্র ছাড়া কেউ অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করে থাকেন, তা হলে আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানামতে, বাজিতপুরে নতুন করে ইটভাটা স্থাপনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দুই ফসলি কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন এই ইটভাটা চালু হলে আশপাশের কমপক্ষে ১০০ বিঘা জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস ধরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের মইতপুর মৌজার ভূল্লা এলাকায় নতুন এই ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের নিবন্ধন ছাড়াই সোহরাব, রবি, আসলামসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপনের কাজ করছেন। তবে যথাযথ কাগজপত্র থাকার দাবি করেছে মালিকপক্ষ।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, হিলচিয়ার মইতপুর এলাকায় নতুন ইটভাটার চারপাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ ধানখেত। ফসলি জমিতে শ্রমিকেরা ইটভাটার চিমনি ও ক্লিনার নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইটের স্তূপ।
এলাকার লোকজন জানান, এই উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি অবৈধ, পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে নতুন আরেকটি হলে এলাকার কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, যাঁরা ইটভাটা নির্মাণ করছেন, তাঁদের এখানে নিজস্ব কোনো জমি নেই।আত্মীয়স্বজনের জমি ও অন্যের জমি ভাড়া অথবা জোরপূর্বক ইজারা নিয়েছেন। এই ইটভাটা চালু হলে আশপাশের কমপক্ষে ১০০ বিঘা জমির ধান, সরিষা ও পাটের উৎপাদন ব্যাহত হবে। ইটভাটার নির্মাণকাজ বন্ধ না হলে তাঁরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ভাটায় গিয়ে মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোন কথা হয় মালিকপক্ষের একজন সোহরাবের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতি একর জমি ৫০ হাজার টাকা দরে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ইটভাটা নির্মাণ করছি। আমাদের কাছে ইটভাটা স্থাপনের অনুমতির সব কাগজপত্র আছে।’
বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ‘ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। সরকার কখনো দু-তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের অনুমতি দেয় না। ফসলি জমিতে ইটভাটা হলে ওই জমি উর্বরতা শক্তি হারাবে। এই টপ সয়েল একবার নষ্ট হলে সেই জমিতে আর প্রাণ থাকে না। ইটভাটা নির্মাণ হলে ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ফলদ গাছে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। যখন গাছগুলোতে ফুল আসতে থাকে, তখন যদি ইটভাটার ধোঁয়া ও গরম বাতাস ফুলের ওপর পড়ে, তাহলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আশপাশের ফসলি জমিতে ভালো ধান তো হবেই না, উল্টো চিটা হয়ে ধানগাছগুলো মরে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হোসাইন বলেন, ‘নতুন ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে ইটভাটার কেউ আসেননি। যদি কাগজপত্র ছাড়া কেউ অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করে থাকেন, তা হলে আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানামতে, বাজিতপুরে নতুন করে ইটভাটা স্থাপনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৮ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫