Ajker Patrika

আঞ্চলিক প্রকাশকেরাও খুশি

নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১১: ৩৪
আঞ্চলিক প্রকাশকেরাও খুশি

দেশের সংস্কৃতিতে বড় একটি মাইলফলক অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে এবার ৮০০ স্টলে বই তুলেছে দেশের ৫০০টি প্রকাশনা সংস্থা। বেশির ভাগ সংস্থাই রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক। তবে শুধু শহুরে লেখক, পাঠক আর প্রকাশক নন, একুশে বইমেলা টেনে এনেছে সৃজনশীল সবাইকে। ঢাকার বাইরে থেকে তরুণ শিক্ষার্থী, লেখক, কবির পাশাপাশি হাজির হয়েছেন প্রকাশকেরাও।

সরেজমিন দেখা যায়, এবারের মেলায় নতুন বই নিয়ে ঢাকার বাইরের মোট পাঁচটি প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে। গত দুবারের তুলনায় এবারের বিক্রি নিয়েও আশাবাদী দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা এসব প্রকাশক।

মেলায় লালমনিরহাটকেন্দ্রিক সংস্থা পূর্বা প্রকাশনী এবার ১৩টি নতুন বই নিয়ে হাজির হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন চত্বরে রয়েছে তাঁদের স্টল। বিক্রয় প্রতিনিধি মাহমুদা রহমান বলেন, ‘বিক্রি খুব খারাপ, এটা বলা যাবে না। আশা করছি, বাকি দিনগুলোতে বিক্রি কিছুটা বাড়বে।’

পূর্বার প্রকাশক বাদল সাহা শোভন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঢাকার বাইরের হলেও বইমেলা কর্তৃপক্ষ সব সময় আমাদের উৎসাহ দেয়। আগামী বছর আরও ভালো ভালো বই নিয়ে আসার ইচ্ছা রয়েছে।’

পূর্বার পাশেই রয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থেকে আসা কিশোর কলম প্রকাশনী। এবারের মেলায় তারা ১৫টি নতুন বই নিয়ে এসেছে। প্রকাশনার ব্যবস্থাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা নতুন ১৫টি বই নিয়ে এসেছি। পাঠকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’

নতুন বইয়ের সংখ্যা কম হলেও এবারই প্রথম মেলায় অংশ নিচ্ছে কুষ্টিয়া প্রকাশন। বিক্রয় প্রতিনিধি হান্নান জানান, প্রথমবার স্টলে পেয়ে তাঁরা দারুণ খুশি। এবারের মেলায় নতুন বই এসেছে তিনটি।

লিটলম্যাগ চত্বরে রয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রকাশনা ধকবিরিম, বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় বর্ণমালা। স্টলটিতে দুটি নতুন বই এসেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা। রংপুরকেন্দ্রিক প্রকাশনা সংস্থা আইডিয়া প্রকাশনের স্টলও মেলার এ পাশটাতে। এ বছর ১০টি নতুন বই নিয়ে এনেছে প্রকাশনীটি। পাশাপাশি পুরোনো ও প্রবীণ লেখকদের বই বিক্রি করছে তারা।

এদিকে গতকাল বুধবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৫২টি। নতুন বইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেলার শেষ দিকে এসে পাঠকের ভিড়ও বাড়ছে। স্টলের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে মেলায় বেশ কিছু বই পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত মাসরুর আরেফিনের ‘আড়িয়াল খাঁ’, ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত পিয়াস মজিদের ‘এইসব মকারি’ ও রাফিক হারিরির ‘কবিরাজনামা’ প্রভৃতি বই। এ ছাড়া অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে বিক্রির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মাহতাব হোসেনের লেখা পঞ্চম উপন্যাস ‘দিলরুবা’।

আজকের পত্রিকাকে লেখক মাহতাব হোসেন বলেন, ‘একজন উদীয়মান ও তুখোড় মেধাবী শিল্পী দিলরুবার গল্প। গানের শিক্ষককে বিয়ে করে জীবনের শুরুতেই ধাক্কা খায়। এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কোনোরকম একটা চাকরি জুটিয়ে সামলে নিলেও তার সামনে ছিল আরও অনেক ধাক্কা। ট্রলারে সেন্ট মার্টিন বেড়াতে গিয়ে এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। সেই ঘনিষ্ঠতা তাকে নিয়ে যায় আরেক সর্বনাশে। শেষ পর্যন্ত দিলরুবার জীবনে এক অভাবনীয় মোড় নেয়, সুপ্ত মেধা তাকে পৌঁছে দেয় এক অনন্য স্থানে। রোমান্স-জীবনঘনিষ্ঠ এই উপন্যাসকে আমি বলছি রোমান্টিক থ্রিলার, ভালো লাগবে।’ গতকাল মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলাচনা অনুষ্ঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত