আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই ঘটছে অগ্নিদুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগুন লাগছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এর পেছনে রয়েছে নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরও বেশির ভাগ অগ্নিকাণ্ডের জন্য নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকেই দায়ী করছে।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বেশির ভাগই আমদানি করা। বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ সুইচ, সার্কিট ব্রেকার, বৈদ্যুতিক তার বিএসটিআইয়ের সনদহীন। আবার আমদানিতে ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক থাকলেও তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য আমদানি করে দেদার বিক্রি করছেন। বিএসটিআইও এ বিষয়ে তেমন নজরদারি করছে না।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ পণ্যে তা নেই। এনার্জিপ্যাক ও সুপারস্টারের মতো পণ্যের গায়ে বা প্যাকেটে কোনো মানচিহ্ন নেই। জানতে চাইলে সুপারস্টারের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁদের আমদানি করা পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন আছে। অনেকে তাঁদের লোগো নকল করে পণ্য বাজারজাত করছে।
এদিকে অনেকেই মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করেও খালাস করাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদী ইলেকট্রিক প্রোডাক্টস নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭৫ লাখ টাকার সার্কিট ব্রেকারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আমদানি করে। বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র ছাড়া খালাস করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ আদালতে মামলা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, ছাড়পত্র না পাওয়ায় পণ্য খালাসে তাঁদের জরিমানা গুনতে হয়েছে ১১-১২ লাখ টাকা। হয়রানির শিকারও হয়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনে গ্রাহক শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছেন না, এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে মৃত্যুফাঁদ।ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হাজার ৮৫৮টি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫১৭টি ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগে; অর্থাৎ শতকরা ৩৯ শতাংশ আগুন লেগেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৩৯ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৩৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৩৬ দশমিক ৮২ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ জন্য দায়ী মানহীন বৈদ্যুতিক তার ও সরঞ্জামাদি।
বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েক কোটি টাকার অবৈধ ও মানহীন বৈদ্যুতিক তার জব্দ করেছে। জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিএসটিআই।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ নিম্নমানের তার ও সার্কিট ব্রেকার। তবে নিম্নমানের সার্কিট ব্রেকার শুধু অগ্নিকাণ্ডের জন্যই দায়ী নয়, বিদ্যুতের ভোল্ট কমবেশি হলে সেটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে সার্কিট ব্রেকার। কিন্তু নিম্নমানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার হলে সেটি কোনো কাজেই লাগবে না। এতে বাসাবাড়ির টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, লাইট কিংবা যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র অকেজো হয়ে পড়তে পারে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) নূরুল আমিন বলেন, আমদানি করা সুইচ সকেট, সার্কিট ব্রেকারে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন থাকা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে কিউআর কোড থাকবে। কেউ অনুমোদনবিহীন এসব পণ্য আমদানি ও বাজারজাত করলে বিএসটিআই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে বিএসটিআই বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের সবগুলো প্যারামিটার পরীক্ষা করতে পারে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তা করাতে হচ্ছে।
দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই ঘটছে অগ্নিদুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগুন লাগছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এর পেছনে রয়েছে নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরও বেশির ভাগ অগ্নিকাণ্ডের জন্য নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকেই দায়ী করছে।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বেশির ভাগই আমদানি করা। বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ সুইচ, সার্কিট ব্রেকার, বৈদ্যুতিক তার বিএসটিআইয়ের সনদহীন। আবার আমদানিতে ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক থাকলেও তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য আমদানি করে দেদার বিক্রি করছেন। বিএসটিআইও এ বিষয়ে তেমন নজরদারি করছে না।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ পণ্যে তা নেই। এনার্জিপ্যাক ও সুপারস্টারের মতো পণ্যের গায়ে বা প্যাকেটে কোনো মানচিহ্ন নেই। জানতে চাইলে সুপারস্টারের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁদের আমদানি করা পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন আছে। অনেকে তাঁদের লোগো নকল করে পণ্য বাজারজাত করছে।
এদিকে অনেকেই মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করেও খালাস করাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদী ইলেকট্রিক প্রোডাক্টস নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭৫ লাখ টাকার সার্কিট ব্রেকারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আমদানি করে। বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র ছাড়া খালাস করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ আদালতে মামলা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, ছাড়পত্র না পাওয়ায় পণ্য খালাসে তাঁদের জরিমানা গুনতে হয়েছে ১১-১২ লাখ টাকা। হয়রানির শিকারও হয়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনে গ্রাহক শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছেন না, এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে মৃত্যুফাঁদ।ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হাজার ৮৫৮টি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫১৭টি ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগে; অর্থাৎ শতকরা ৩৯ শতাংশ আগুন লেগেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৩৯ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৩৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৩৬ দশমিক ৮২ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ জন্য দায়ী মানহীন বৈদ্যুতিক তার ও সরঞ্জামাদি।
বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েক কোটি টাকার অবৈধ ও মানহীন বৈদ্যুতিক তার জব্দ করেছে। জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিএসটিআই।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ নিম্নমানের তার ও সার্কিট ব্রেকার। তবে নিম্নমানের সার্কিট ব্রেকার শুধু অগ্নিকাণ্ডের জন্যই দায়ী নয়, বিদ্যুতের ভোল্ট কমবেশি হলে সেটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে সার্কিট ব্রেকার। কিন্তু নিম্নমানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার হলে সেটি কোনো কাজেই লাগবে না। এতে বাসাবাড়ির টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, লাইট কিংবা যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র অকেজো হয়ে পড়তে পারে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) নূরুল আমিন বলেন, আমদানি করা সুইচ সকেট, সার্কিট ব্রেকারে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন থাকা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে কিউআর কোড থাকবে। কেউ অনুমোদনবিহীন এসব পণ্য আমদানি ও বাজারজাত করলে বিএসটিআই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে বিএসটিআই বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের সবগুলো প্যারামিটার পরীক্ষা করতে পারে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তা করাতে হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪