হাতিয়া (নোয়াখালী) ও ভোলা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দুটি হলো হাতিয়া ও ভোলা দ্বীপ। দ্বীপ দুটিতে অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রান্নার ব্যবস্থা নেই। ঘরে নেই পর্যাপ্ত শুকনা খাবার। অথচ গত পাঁচ দিনেও সরকারি ত্রাণ-সাহায্য পৌঁছায়নি ভুক্তভোগীদের কাছে। এ কারণে শত শত মানুষকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হচ্ছে।
নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি গ্রামের বাসিন্দা মো. কালাম (৫৫)। তিনি একজন জেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া ঘরের জিনিসপত্র খুঁজে আনছেন। সকালে কী খেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গ্রামে ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে তাঁর পরিবারও। কিন্তু গত কয়েক দিন কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।
কালামের বাড়ির দক্ষিণ পাশে মর্জিনা বেগম নামের এক গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঝড়ে তাঁর বসতঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ভিটার ওপর ৫ ছেলেমেয়েকে নিয়ে তাঁবু টাঙিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য এসে দেখে গেছেন। কোনো সাহায্য এখনো পাননি।
কালাম ও মর্জিনা বেগমের মতো নিঝুম দ্বীপে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার এখন অর্ধাহার-অনাহারে দিন যাপন করছে। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন সেই উপায়টুকুও নেই। এতে বেকার সময় কাটছে অনেকের।
নিঝুম দ্বীপ ইউপি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, মুন্সি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের একটি তালিকা করেছেন। তাতে বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া পরিবার রয়েছে শতাধিক। কিন্তু সরকারিভাবে যে চাল আসবে, তা এই শতাধিক পরিবারকে দেওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নের জন্য ৬ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল দিতে হবে। তাতে ৬০০ পরিবার এই চাল পাবে। ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী যা অনেক কম। বরাদ্দ দেওয়া চাল আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভোলায়ও একই অবস্থা। এই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা এখনো সরকারি কোনো সাহায্য পাননি। সহায়তা পাওয়ার আশায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঘরচাপায় নিহত মৃদুল হকের বড় ছেলে মো. মহসিন। তিনি গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন সরকারি একটু সাহায্য-সহযোগিতার জন্য। গিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে। কিন্তু আশ্বাস মিললেও এখনো মেলেনি সরকারি সাহায্য-সহায়তা।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ঘরচাপায় বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচা রফিজল হক ও পার্শ্ববর্তী দিন ইসলাম ভাত খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা হাওয়ায় ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুগীরঘোল এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে মো. শহিদুল ইসলামের ঘর। তিনি একজন চা দোকানি। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘর ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ খোঁজখবর নেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের মালিকদের খোঁজ নিতে পারিনি।’
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ফোন করেছি। আশা করছি, আগামী রোববারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যাবে।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দুটি হলো হাতিয়া ও ভোলা দ্বীপ। দ্বীপ দুটিতে অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রান্নার ব্যবস্থা নেই। ঘরে নেই পর্যাপ্ত শুকনা খাবার। অথচ গত পাঁচ দিনেও সরকারি ত্রাণ-সাহায্য পৌঁছায়নি ভুক্তভোগীদের কাছে। এ কারণে শত শত মানুষকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হচ্ছে।
নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি গ্রামের বাসিন্দা মো. কালাম (৫৫)। তিনি একজন জেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া ঘরের জিনিসপত্র খুঁজে আনছেন। সকালে কী খেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গ্রামে ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে তাঁর পরিবারও। কিন্তু গত কয়েক দিন কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।
কালামের বাড়ির দক্ষিণ পাশে মর্জিনা বেগম নামের এক গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঝড়ে তাঁর বসতঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ভিটার ওপর ৫ ছেলেমেয়েকে নিয়ে তাঁবু টাঙিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য এসে দেখে গেছেন। কোনো সাহায্য এখনো পাননি।
কালাম ও মর্জিনা বেগমের মতো নিঝুম দ্বীপে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার এখন অর্ধাহার-অনাহারে দিন যাপন করছে। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন সেই উপায়টুকুও নেই। এতে বেকার সময় কাটছে অনেকের।
নিঝুম দ্বীপ ইউপি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, মুন্সি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের একটি তালিকা করেছেন। তাতে বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া পরিবার রয়েছে শতাধিক। কিন্তু সরকারিভাবে যে চাল আসবে, তা এই শতাধিক পরিবারকে দেওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নের জন্য ৬ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল দিতে হবে। তাতে ৬০০ পরিবার এই চাল পাবে। ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী যা অনেক কম। বরাদ্দ দেওয়া চাল আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভোলায়ও একই অবস্থা। এই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা এখনো সরকারি কোনো সাহায্য পাননি। সহায়তা পাওয়ার আশায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঘরচাপায় নিহত মৃদুল হকের বড় ছেলে মো. মহসিন। তিনি গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন সরকারি একটু সাহায্য-সহযোগিতার জন্য। গিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে। কিন্তু আশ্বাস মিললেও এখনো মেলেনি সরকারি সাহায্য-সহায়তা।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ঘরচাপায় বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচা রফিজল হক ও পার্শ্ববর্তী দিন ইসলাম ভাত খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা হাওয়ায় ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুগীরঘোল এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে মো. শহিদুল ইসলামের ঘর। তিনি একজন চা দোকানি। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘর ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ খোঁজখবর নেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের মালিকদের খোঁজ নিতে পারিনি।’
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে ফোন করেছি। আশা করছি, আগামী রোববারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যাবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪