Ajker Patrika

চাঁদপুর-৩: দুই দলের ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
Thumbnail image

সদর ও হাইমচর উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর-৩ আসন গঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলোতে জয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই আসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গত ছয়টি নির্বাচনে দুটি দলের প্রার্থীরা তিনবার করে সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েছেন। এবার এগিয়ে যাবে কারা, অন্য দলগুলোর প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়ে আলোচনা চলছে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে। 
 
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়ী বিএনপির প্রার্থীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের দীপু মনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করলে দীপু মনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও অন্য দলের প্রার্থীদের হারিয়ে এমপি হয়ে হ্যাটট্রিক করেন।
এবার যখন ব্যবধান বাড়ানোর পালা, তখন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই বিএনপির। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চান বেশ কয়েকজন নেতা। জাতীয় পার্টির (জাপা) সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও অন্য দলগুলো এখনো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় সভা, সম্মেলন, সামাজিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সমর্থন চাইছেন। বিপরীতে বিএনপির নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের দাবিগুলো সামনে এনে দলীয় কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত।
 
বর্তমান এমপি দীপু মনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর তিনবারের মেয়াদে পদ্মা-মেঘনা নদী ভাঙন রক্ষায় বাঁধ, মেরিন একাডেমি, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের পর বাস্তবায়িত হচ্ছে। 
 
আগামী নির্বাচন বিষয়ে দীপু মনি বলেন, এলাকার সর্বস্তরের লোকজন সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। তাঁদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দুবার মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হয়েছে। এলাকার উন্নয়নকাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে ও জয়ী হলে জনগণের সেবা করা অব্যাহত থাকবে।
 
২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আসছেন সুজিত রায় নন্দী। তিনি আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। সদরের বাসিন্দা সুজিত তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রেখেছেন। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন উৎসবে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায়দের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন। সুজিত রায় বলেন, ‘নেত্রী যেটা ভালো মনে করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই শিরোধার্য। মানুষের জন্য কাজ করছি, দলের জন্যও সব সময় থাকব।’
 
ক্ষমতাসীন দলের হয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আরও আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য জাকির হোসেন মারুফ ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা রেদওয়ান খান বোরহান।
 
বিএনপি থেকে এই আসনে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের অনেকে আর রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। ১৯৯৬ সালে জয়ী জি এম ফজলুল হক এখন অসুস্থ। ২০১৮ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যেতে হলে দলের অনেকগুলো দাবি আছে। সেসব দাবি মানা হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে চাঁদপুর-৩ আসন থেকে প্রার্থী হবেন কি না, তা এ মুহূর্তে বলতে পারছেন না।
 
এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে এবার প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা কমিটির ১ নম্বর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মহসীন খান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন জয়নাল আবেদীন শেখ। তিনি সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি। দলটি আগামী নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলীয় সূত্রের ভাষ্য, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচনেও জয়নাল আবেদীন প্রার্থী হবেন।
 
অন্য দলগুলোর মধ্যে শহর জামায়াতের সাবেক আমির শাহজাহান মিয়া বলেছেন, নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে যাঁকে বাছাই করা হবে, তিনিই প্রার্থী হবেন। তাঁদের দলে মনোনয়ন চাওয়ার পদ্ধতি নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত