আবু তাহের খান

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে। উদ্দেশ্য ছিল দুটি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও হ্রদকে নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। তাদের কথিত সেই উদ্দেশ্যের দুটিই সেদিন তাদের দৃষ্টিতে সফল হয়েছিল—স্থাপিত হয়েছিল কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ও কাপ্তাই হ্রদ।
কিন্তু এর মাধ্যমে তারা রাঙামাটির চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর লাখখানেক সদস্যকে বাস্তুচ্যুত করার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই চোখের ও দেহের জলে ভাসিয়ে এ অঞ্চলে নতুন যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক সমস্যার জন্ম দিয়েছিল, তার নিষ্পত্তি আজও হয়নি। এক জটিল ও অমীমাংসিত সমস্যা হিসেবে এখনো এর জের স্থানীয় ও অস্থানীয় সব জনগোষ্ঠীকেই বহন করে যেতে হচ্ছে। এমনকি কখনো কখনো তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলকেও স্পর্শ করে যাচ্ছে।
কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সেখানে একটি হ্রদ গড়ে তোলার সঙ্গে প্রচণ্ড মিল আছে ২০১৬-২০ সময়কালে কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণেরও। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন ছিল একটি বিশাল ‘উন্নয়ন প্রয়াস’, তেমনি হাওরের বুক চিরে উল্লিখিত সড়ক নির্মাণকেও বলা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো বিস্তারের ক্ষেত্রে ‘উন্নয়নের নতুন দিগন্ত’।
একইভাবে কাপ্তাই হ্রদ যেমন লাখো পর্যটকের হৃদয়ছোঁয়া আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, তেমনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বছরজুড়ে দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটকের পরম আরাধ্য এক ভ্রমণস্থল। কিন্তু এর পরের মিলগুলোই কষ্টের। নানা শ্রেণির অগুনতি পর্যটক কাপ্তাইয়ের মনোরম বাঁধ আর চোখজুড়ানো হ্রদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলেও তাতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের বুকচেরা কষ্টের যেমন এতটুকু লাঘব হয়নি, তেমনি ‘উন্নয়নের নতুন দিগন্ত’ সৃষ্টির নামে নিকলীর হাওরে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করে সন্নিহিত এলাকার চরের মানুষদেরও স্থায়ী জলাবদ্ধতার অভিশাপের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ যেন অনেকটা তপ্ত কড়াই থেকে উনুনে নিক্ষেপ।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ওখানকার চরের মানুষেরা আগে শুকনো মৌসুমের পাঁচ-ছয় মাস অন্তত বহু যুগের অভিজ্ঞতায় রপ্ত ধীরগতির পুরোনো যোগাযোগ-কৌশল মেনে মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যেই চলাফেরা করতে পারত। কিন্তু সড়ক নির্মাণের পর থেকে এখন সারা বছরই তারা ঘরে পানিবন্দী এবং একই ধারায় ফসলের মাঠ ও গবাদিপশুর চারণভূমিও সারা বছরই থাকছে পানির নিচে।
আর ভয়ংকর উন্নয়নের এই ফলাফল দেখে কষ্ট ও অনুশোচনায় দগ্ধ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান স্পষ্টতই বলেছিলেন: ‘এখন টের পাচ্ছি, হাওরে সড়ক নির্মাণ করে নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছি। হাওরে সড়ক বানিয়ে উপকারের চেয়ে অপকার হয়েছে।’ এবং এটা তাঁকে বলতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উল্লিখিত সড়কের উচ্ছ্বাসভরা উদ্বোধনের মাত্র ৩ বছর ২২ দিনের মাথায়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর।
তো এই যখন নিকলীর হাওরের বুকে অবাঞ্ছিত সড়ক নির্মাণের কারণে সেখানকার কৃষকজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির করুণ চিত্র, তখন পয়লা বৈশাখকে উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ওই সড়কের ওপর আঁকা হয় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনা, যা কিছুদিন ছিল দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার অন্যতম প্রসঙ্গ। এরই মধ্যে ২০ এপ্রিলের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ওই আলপনা আঁকার কারণে ‘ফ্যাকাশে হবে হাওরের শস্য ও মাছ’। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ওই আলপনা আঁকার কাজে ১৬ হাজার লিটার বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।
আর এটি আঁকা হয়েছে বাংলালিংক, এশিয়াটিক মার্কেটিং ও বার্জার পেইন্টসের সৌজন্যে। বৃষ্টির পানিতে ওই রাসায়নিক যখন গলে গলে পার্শ্ববর্তী হাওরের পানিতে মিশবে, তখন একদিকে তা যেমন ব্যাপক ফসলহানির কারণ হবে, অন্যদিকে তেমনি তা সেখানকার কীটপতঙ্গ ও জলজ প্রাণিকুলকেও অবাধে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে। তা ছাড়া হাওরে জন্মে এরূপ বিভিন্ন শ্রেণির ঘাস ও অন্যান্য খুদে উদ্ভিদকেও ধ্বংস করে ফেলবে। মোটকথা, বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা ওই আলপনা এখন নিকলীর হাওরের ফসল ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের এক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
পরিবেশের এরূপ মারাত্মক ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আলপনা না আঁকার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি গ্রাহ্য করা হয়নি। তবে ভাগ্য ভালো, ওই প্রতিবাদকে সরকারের পক্ষ থেকে মৌলবাদীদের কাণ্ড বলে অভিহিত করা হয়নি, যা ইদানীং কোনো উদ্যোগ বা বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের বিপক্ষে গেলেই করা হয়ে থাকে।
আর পয়লা বৈশাখের মতো একটি সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব যে এখন ক্রমান্বয়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তাভাবনা ও অংশগ্রহণ-ধারার বাইরে গিয়ে বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে, নিকলীর হাওরের ফসল ও জীববৈচিত্র্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে সেখানে তিন ব্যবসায়িক কোম্পানির বিজ্ঞাপনভিত্তিক আলপনা আঁকা তারই প্রমাণ বহন করে।
অথচ এই আলপনা আঁকার পরিবর্তে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানকার সার্বিক পরিবেশ রক্ষা করে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে দুদিনব্যাপী হস্ত ও কুটিরশিল্প মেলা এবং রুচিসম্মত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেত, যেখানে স্থানীয় কারুশিল্পীরা তাঁদের পণ্যাদি বিক্রি করে লাভবান হতে পারতেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সেটি না ভেবে ভেবেছে, গোষ্ঠীবিশেষকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কথা।
যতটুকু জানা যায়, যথাযথ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আলপনাটি আঁকা হয়েছে। ১২ এপ্রিল ওই আলপনা কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ১৪ এপ্রিল ভোরে তুলির শেষ আঁচড় টেনে এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একজন অগ্রসর চিন্তার মানুষ হিসেবে সাধারণের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূরের যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এর বিপরীতে তাঁর এরূপ আচরণ একেবারেই মানানসই হয়নি বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত।
এশিয়াটিক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে তাঁর যত ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক সম্পর্কই থাকুক না কেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এখানে সেটির চর্চা করাটা বস্তুতই সমীচীন হয়নি বলে মনে করি। তাঁর মতো সুধীজনেরা যদি এমনটি করেন, তাহলে দ্রুত পতনমুখী এই সমাজে সাধারণ মানুষ কাদের ওপর নির্ভর করবে?
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) তথ্য, গত ২৮ বছরে দেশে জলাভূমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বিভিন্ন সূত্রের সমন্বিত তথ্যের সারসংক্ষেপ হচ্ছে, এর সিংহভাগই জবরদখল হয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থনে। এমনকি বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাও বাংলাদেশে নদী গ্রাস-সমর্থনমূলক প্রকল্পে অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিডব্লিউডিবি) আওতাধীন যমুনা নদী সরুকরণ প্রকল্প যার অন্যতম উদাহরণ।
চলনবিল, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, বেলাইবিল ইত্যাদির মতো বৃহৎ জলাশয়গুলোর একটি বড় অংশ বেসরকারি দখলদারদের হাতে চলে গেলেও সেসব বস্তুত রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতাতেই ঘটে চলেছে। নিকলীর হাওরের বুকে সড়ক নির্মাণ করে এর ধ্বংসযজ্ঞের সিংহভাগ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে, যার উল্লেখ ওপরে রয়েছে। অবশিষ্ট যেটুকু বাকি ছিল, বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে সড়কের ওপর আলপনা এঁকে এখন সেটুকুও পূরণ করা হলো।
আর স্বার্থোদ্ধারের প্রয়াসে এর উদ্যোক্তারা এতটাই বুদ্ধিমান যে, এ কাজের জন্য তারা অত্যন্ত যত্ন করে বেছে নিয়েছে পয়লা বৈশাখের মতো একটি আবেগঘন উপলক্ষকে, যাতে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকে সহজেই আবেগের আসক্তিতে তন্ময় করে রাখা যায়। আর একই চতুর উদ্দেশ্যে প্রচারণায় আনা হয়েছে এরূপ তথ্য যে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা এবং পাশাপাশি গোপন করা হয়েছে এ বিষয়টি যে এটি সেখানকার মানুষ, ফসল ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দেওয়া আকস্মিক বন্যা, ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনায় বিশ্বজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার কথা। তো এমনি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা, সমর্থন ও উদ্যোগেই যদি বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে আলপনা আঁকা, নদীর প্রস্থ ও গভীরতা বৃদ্ধির পরিবর্তে সেটিকে সরু করে ফেলা, খাল-বিল, নদী-নালার মতো উন্মুক্ত জলাশয় জবরদখল করা, রাষ্ট্রের খাসজমিতে রাষ্ট্রেরই স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি কাজগুলো এভাবে অবাধে ঘটতে থাকে, তাহলে পরিবেশ রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের ঘোষিত অঙ্গীকার কি নিছক ফাঁকা বুলি হিসেবেই আখ্যায়িত করা চলে না?
এমনকি এটি সংবিধানে ঘোষিত অঙ্গীকারেরও বরখেলাপ নয় কি? এ বিষয়ে সংবিধান স্পষ্টতই অঙ্গীকার করছে যে ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ (সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮. ক)
লেখক: সাবেক পরিচালক, বিসিক, শিল্প মন্ত্রণালয়

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে। উদ্দেশ্য ছিল দুটি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও হ্রদকে নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। তাদের কথিত সেই উদ্দেশ্যের দুটিই সেদিন তাদের দৃষ্টিতে সফল হয়েছিল—স্থাপিত হয়েছিল কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ও কাপ্তাই হ্রদ।
কিন্তু এর মাধ্যমে তারা রাঙামাটির চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর লাখখানেক সদস্যকে বাস্তুচ্যুত করার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই চোখের ও দেহের জলে ভাসিয়ে এ অঞ্চলে নতুন যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক সমস্যার জন্ম দিয়েছিল, তার নিষ্পত্তি আজও হয়নি। এক জটিল ও অমীমাংসিত সমস্যা হিসেবে এখনো এর জের স্থানীয় ও অস্থানীয় সব জনগোষ্ঠীকেই বহন করে যেতে হচ্ছে। এমনকি কখনো কখনো তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলকেও স্পর্শ করে যাচ্ছে।
কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সেখানে একটি হ্রদ গড়ে তোলার সঙ্গে প্রচণ্ড মিল আছে ২০১৬-২০ সময়কালে কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণেরও। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন ছিল একটি বিশাল ‘উন্নয়ন প্রয়াস’, তেমনি হাওরের বুক চিরে উল্লিখিত সড়ক নির্মাণকেও বলা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো বিস্তারের ক্ষেত্রে ‘উন্নয়নের নতুন দিগন্ত’।
একইভাবে কাপ্তাই হ্রদ যেমন লাখো পর্যটকের হৃদয়ছোঁয়া আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, তেমনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বছরজুড়ে দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটকের পরম আরাধ্য এক ভ্রমণস্থল। কিন্তু এর পরের মিলগুলোই কষ্টের। নানা শ্রেণির অগুনতি পর্যটক কাপ্তাইয়ের মনোরম বাঁধ আর চোখজুড়ানো হ্রদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলেও তাতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের বুকচেরা কষ্টের যেমন এতটুকু লাঘব হয়নি, তেমনি ‘উন্নয়নের নতুন দিগন্ত’ সৃষ্টির নামে নিকলীর হাওরে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করে সন্নিহিত এলাকার চরের মানুষদেরও স্থায়ী জলাবদ্ধতার অভিশাপের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ যেন অনেকটা তপ্ত কড়াই থেকে উনুনে নিক্ষেপ।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ওখানকার চরের মানুষেরা আগে শুকনো মৌসুমের পাঁচ-ছয় মাস অন্তত বহু যুগের অভিজ্ঞতায় রপ্ত ধীরগতির পুরোনো যোগাযোগ-কৌশল মেনে মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যেই চলাফেরা করতে পারত। কিন্তু সড়ক নির্মাণের পর থেকে এখন সারা বছরই তারা ঘরে পানিবন্দী এবং একই ধারায় ফসলের মাঠ ও গবাদিপশুর চারণভূমিও সারা বছরই থাকছে পানির নিচে।
আর ভয়ংকর উন্নয়নের এই ফলাফল দেখে কষ্ট ও অনুশোচনায় দগ্ধ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান স্পষ্টতই বলেছিলেন: ‘এখন টের পাচ্ছি, হাওরে সড়ক নির্মাণ করে নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছি। হাওরে সড়ক বানিয়ে উপকারের চেয়ে অপকার হয়েছে।’ এবং এটা তাঁকে বলতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উল্লিখিত সড়কের উচ্ছ্বাসভরা উদ্বোধনের মাত্র ৩ বছর ২২ দিনের মাথায়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর।
তো এই যখন নিকলীর হাওরের বুকে অবাঞ্ছিত সড়ক নির্মাণের কারণে সেখানকার কৃষকজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির করুণ চিত্র, তখন পয়লা বৈশাখকে উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ওই সড়কের ওপর আঁকা হয় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনা, যা কিছুদিন ছিল দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার অন্যতম প্রসঙ্গ। এরই মধ্যে ২০ এপ্রিলের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ওই আলপনা আঁকার কারণে ‘ফ্যাকাশে হবে হাওরের শস্য ও মাছ’। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ওই আলপনা আঁকার কাজে ১৬ হাজার লিটার বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।
আর এটি আঁকা হয়েছে বাংলালিংক, এশিয়াটিক মার্কেটিং ও বার্জার পেইন্টসের সৌজন্যে। বৃষ্টির পানিতে ওই রাসায়নিক যখন গলে গলে পার্শ্ববর্তী হাওরের পানিতে মিশবে, তখন একদিকে তা যেমন ব্যাপক ফসলহানির কারণ হবে, অন্যদিকে তেমনি তা সেখানকার কীটপতঙ্গ ও জলজ প্রাণিকুলকেও অবাধে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে। তা ছাড়া হাওরে জন্মে এরূপ বিভিন্ন শ্রেণির ঘাস ও অন্যান্য খুদে উদ্ভিদকেও ধ্বংস করে ফেলবে। মোটকথা, বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা ওই আলপনা এখন নিকলীর হাওরের ফসল ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের এক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
পরিবেশের এরূপ মারাত্মক ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আলপনা না আঁকার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি গ্রাহ্য করা হয়নি। তবে ভাগ্য ভালো, ওই প্রতিবাদকে সরকারের পক্ষ থেকে মৌলবাদীদের কাণ্ড বলে অভিহিত করা হয়নি, যা ইদানীং কোনো উদ্যোগ বা বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের বিপক্ষে গেলেই করা হয়ে থাকে।
আর পয়লা বৈশাখের মতো একটি সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব যে এখন ক্রমান্বয়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত চিন্তাভাবনা ও অংশগ্রহণ-ধারার বাইরে গিয়ে বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে, নিকলীর হাওরের ফসল ও জীববৈচিত্র্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে সেখানে তিন ব্যবসায়িক কোম্পানির বিজ্ঞাপনভিত্তিক আলপনা আঁকা তারই প্রমাণ বহন করে।
অথচ এই আলপনা আঁকার পরিবর্তে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানকার সার্বিক পরিবেশ রক্ষা করে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে দুদিনব্যাপী হস্ত ও কুটিরশিল্প মেলা এবং রুচিসম্মত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেত, যেখানে স্থানীয় কারুশিল্পীরা তাঁদের পণ্যাদি বিক্রি করে লাভবান হতে পারতেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সেটি না ভেবে ভেবেছে, গোষ্ঠীবিশেষকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কথা।
যতটুকু জানা যায়, যথাযথ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আলপনাটি আঁকা হয়েছে। ১২ এপ্রিল ওই আলপনা কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ১৪ এপ্রিল ভোরে তুলির শেষ আঁচড় টেনে এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একজন অগ্রসর চিন্তার মানুষ হিসেবে সাধারণের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূরের যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এর বিপরীতে তাঁর এরূপ আচরণ একেবারেই মানানসই হয়নি বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত।
এশিয়াটিক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে তাঁর যত ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক সম্পর্কই থাকুক না কেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এখানে সেটির চর্চা করাটা বস্তুতই সমীচীন হয়নি বলে মনে করি। তাঁর মতো সুধীজনেরা যদি এমনটি করেন, তাহলে দ্রুত পতনমুখী এই সমাজে সাধারণ মানুষ কাদের ওপর নির্ভর করবে?
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) তথ্য, গত ২৮ বছরে দেশে জলাভূমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বিভিন্ন সূত্রের সমন্বিত তথ্যের সারসংক্ষেপ হচ্ছে, এর সিংহভাগই জবরদখল হয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থনে। এমনকি বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাও বাংলাদেশে নদী গ্রাস-সমর্থনমূলক প্রকল্পে অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিডব্লিউডিবি) আওতাধীন যমুনা নদী সরুকরণ প্রকল্প যার অন্যতম উদাহরণ।
চলনবিল, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, বেলাইবিল ইত্যাদির মতো বৃহৎ জলাশয়গুলোর একটি বড় অংশ বেসরকারি দখলদারদের হাতে চলে গেলেও সেসব বস্তুত রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতাতেই ঘটে চলেছে। নিকলীর হাওরের বুকে সড়ক নির্মাণ করে এর ধ্বংসযজ্ঞের সিংহভাগ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে, যার উল্লেখ ওপরে রয়েছে। অবশিষ্ট যেটুকু বাকি ছিল, বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে সড়কের ওপর আলপনা এঁকে এখন সেটুকুও পূরণ করা হলো।
আর স্বার্থোদ্ধারের প্রয়াসে এর উদ্যোক্তারা এতটাই বুদ্ধিমান যে, এ কাজের জন্য তারা অত্যন্ত যত্ন করে বেছে নিয়েছে পয়লা বৈশাখের মতো একটি আবেগঘন উপলক্ষকে, যাতে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকে সহজেই আবেগের আসক্তিতে তন্ময় করে রাখা যায়। আর একই চতুর উদ্দেশ্যে প্রচারণায় আনা হয়েছে এরূপ তথ্য যে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা এবং পাশাপাশি গোপন করা হয়েছে এ বিষয়টি যে এটি সেখানকার মানুষ, ফসল ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দেওয়া আকস্মিক বন্যা, ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনায় বিশ্বজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার কথা। তো এমনি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা, সমর্থন ও উদ্যোগেই যদি বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে আলপনা আঁকা, নদীর প্রস্থ ও গভীরতা বৃদ্ধির পরিবর্তে সেটিকে সরু করে ফেলা, খাল-বিল, নদী-নালার মতো উন্মুক্ত জলাশয় জবরদখল করা, রাষ্ট্রের খাসজমিতে রাষ্ট্রেরই স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি কাজগুলো এভাবে অবাধে ঘটতে থাকে, তাহলে পরিবেশ রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের ঘোষিত অঙ্গীকার কি নিছক ফাঁকা বুলি হিসেবেই আখ্যায়িত করা চলে না?
এমনকি এটি সংবিধানে ঘোষিত অঙ্গীকারেরও বরখেলাপ নয় কি? এ বিষয়ে সংবিধান স্পষ্টতই অঙ্গীকার করছে যে ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ (সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮. ক)
লেখক: সাবেক পরিচালক, বিসিক, শিল্প মন্ত্রণালয়

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৫৭-৬২ সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটিতে ২ হাজার ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁধ নির্মাণ করে তার উজানে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫