Ajker Patrika

সাঁকোই ভরসা ৬ গ্রামবাসীর

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, ডোমার (নীলফামারী) 
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৯
Thumbnail image

নীলফামারীর ডোমারে বুড়ি তিস্তা নদী পাড়ি দিতে ছয় গ্রামের মানুষকে ভরসা করতে হচ্ছে একটি বাঁশের সাঁকোর ওপর। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এখান দিয়েই যাতায়াত করতে হয় প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দাকে। তাঁরা প্রতিবছরই নিজস্ব উদ্যোগে সাঁকোটি মেরামত করেন। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গ্রামবাসী চান একটি সেতু।

সাঁকোটি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বুদুর ঘাটে অবস্থিত। বর্ষা মৌসুমে এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় অনেককে।

গ্রামবাসী জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে তাঁদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশুরা এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে গেলে ভয়ে থাকেন তাদের অভিভাবকেরা। একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে গ্রামের মানুষেরা। বর্ষায় কলাগাছের ভেলা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে সাঁকোই নদীর দুই পাড়ের মানুষের একমাত্র ভরসা।

বুড়ি তিস্তা নদী ভোগডাবুড়ি এবং বড়শশী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। নদীর এক পাড়ে শব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার এবং অপর পাড়ে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া ও চিলাপাড়া অবস্থিত। শব্দিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কারেঙ্গাতলী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ব্যবহার করতে হয় বাঁশের সাঁকোটি। এখানে রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচন, সব সময় আশ্বাস দেওয়া হয় বুদুর ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই আশ্বাস আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

শব্দিগঞ্জ গ্রামের হবিবর ইসলাম, অমিনুল ইসলাম ও তাইজদ্দনি জানান, ছেলেমেয়েরা নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

স্থানীয় সংবাদকর্মী মো. কাজল ইসলাম বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসী দাবি করে আসছে একটি সেতু নির্মাণে জন্য। পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হলেও কেউ শোনেনি তাদের কথা।’

বড়শশী ইউপির সদস্য মনজু ইসলাম জানান, নদীর দুই পাড়ের হাজারো মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি একটি সেতু বানানোর। সেতু না থাকায় এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নই। তবে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

যোগাযোগ করা হলে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে তালিকা দেওয়া হলে বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। আর নতুন ইউপি চেয়ারম্যান এই বিষয়ে তালিকা করে পাঠালে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত