আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী ধলাই। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে এসেছে এ নদী। স্বচ্ছ নীল জলের এ নদীর উৎসমুখে রয়েছে সাদা পাথর। এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঝরনাধারা। দূরে মেঘালয় পাহাড়ের ওপর মেঘের আলিঙ্গন। প্রকৃতির এমন রূপ দেখতেই প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসেন এখানে।
কিন্তু নাব্যসংকটে এই নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট থেকে সাদা পাথর যেতে পর্যটকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত চার সপ্তাহ ধরে এই সংকট হলেও তা উত্তরণে সংশ্লিষ্ট মহলের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকসহ নৌকার মাঝিরা।
সরেজমিনে ধলাই নদীর ভোলাগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ধলাই নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে চর। নদীর প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছে নৌ চলাচলের পথ। বেড়েছে নৌপথের দূরত্ব। পর্যটকবাহী নৌকাগুলো ডুবো চরে আটকে যাচ্ছে। তা বের করতে পর্যটকসহ নৌকার লোকজন চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ঘাটের ইজারাদার কর্তৃক শ্যালোচালিত ড্রেজার দিয়ে নাব্যসংকট দূর করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে হচ্ছে না স্থায়ী কোনো সমাধান। বিজিবির আপত্তি থাকায় চলতি মৌসুমে নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ফখরুল আহমেদ বলেন, চর জাগায় নদীর পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে নাব্যসংকট তৈরি হয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেজিং ছাড়া নাব্যসংকট নিরসন সম্ভব নয়। পরিকল্পনা করেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর পর্যটন ঘাটের ইজারাদার দিলোয়ার মাহমুদ রিপন বলেন, বিগত বছরগুলোতে ঘাটের উত্তরের দুই কিলোমিটার অংশে ড্রেজার ও এসকাভেটর দিয়ে খনন করে নৌ চলাচল সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু এ বছর সেটা করতে বিজিবি বাধা দিচ্ছে। নৌ চলাচল কমে যাওয়ায় আমাদের আয় কমেছে। এ সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বোটচালক আতাউর রহমান, লায়েক ও জামাল বলেন, ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট থেকে সাদা পাথর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর গভীরতা কমে গেছে। ওই এলাকায় পানিতে নেমে হাতে ঠেলে নৌকা পার করতে হচ্ছে। ফলে পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে বারবার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সুমন আহমদ বলেন, ‘নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার কথা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গত কয়েক বছর আমাদের ব্যবসা চলমান রাখার স্বার্থে নিজেরাই ড্রেজিং করেছি। কিন্তু এ বছর বিজিবি আপত্তি জানালে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে যায়।’
সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, পরিকল্পিত উপায়ে ধলাই নদীর উৎসমুখ খনন করা দরকার। তাতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ধলাই নদীর খননকাজ অনেক বড় ধরনের কাজ। তাই নদীর নাব্য সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী ধলাই। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে এসেছে এ নদী। স্বচ্ছ নীল জলের এ নদীর উৎসমুখে রয়েছে সাদা পাথর। এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঝরনাধারা। দূরে মেঘালয় পাহাড়ের ওপর মেঘের আলিঙ্গন। প্রকৃতির এমন রূপ দেখতেই প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসেন এখানে।
কিন্তু নাব্যসংকটে এই নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট থেকে সাদা পাথর যেতে পর্যটকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত চার সপ্তাহ ধরে এই সংকট হলেও তা উত্তরণে সংশ্লিষ্ট মহলের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকসহ নৌকার মাঝিরা।
সরেজমিনে ধলাই নদীর ভোলাগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ধলাই নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে চর। নদীর প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছে নৌ চলাচলের পথ। বেড়েছে নৌপথের দূরত্ব। পর্যটকবাহী নৌকাগুলো ডুবো চরে আটকে যাচ্ছে। তা বের করতে পর্যটকসহ নৌকার লোকজন চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ঘাটের ইজারাদার কর্তৃক শ্যালোচালিত ড্রেজার দিয়ে নাব্যসংকট দূর করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে হচ্ছে না স্থায়ী কোনো সমাধান। বিজিবির আপত্তি থাকায় চলতি মৌসুমে নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ফখরুল আহমেদ বলেন, চর জাগায় নদীর পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে নাব্যসংকট তৈরি হয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেজিং ছাড়া নাব্যসংকট নিরসন সম্ভব নয়। পরিকল্পনা করেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর পর্যটন ঘাটের ইজারাদার দিলোয়ার মাহমুদ রিপন বলেন, বিগত বছরগুলোতে ঘাটের উত্তরের দুই কিলোমিটার অংশে ড্রেজার ও এসকাভেটর দিয়ে খনন করে নৌ চলাচল সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু এ বছর সেটা করতে বিজিবি বাধা দিচ্ছে। নৌ চলাচল কমে যাওয়ায় আমাদের আয় কমেছে। এ সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বোটচালক আতাউর রহমান, লায়েক ও জামাল বলেন, ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট থেকে সাদা পাথর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর গভীরতা কমে গেছে। ওই এলাকায় পানিতে নেমে হাতে ঠেলে নৌকা পার করতে হচ্ছে। ফলে পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে বারবার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সুমন আহমদ বলেন, ‘নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার কথা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গত কয়েক বছর আমাদের ব্যবসা চলমান রাখার স্বার্থে নিজেরাই ড্রেজিং করেছি। কিন্তু এ বছর বিজিবি আপত্তি জানালে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে যায়।’
সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, পরিকল্পিত উপায়ে ধলাই নদীর উৎসমুখ খনন করা দরকার। তাতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ধলাই নদীর খননকাজ অনেক বড় ধরনের কাজ। তাই নদীর নাব্য সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২৫ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫