Ajker Patrika

কলেজশিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৪২
কলেজশিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

নীলফামারীতে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে গোপনে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ফারুক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি, তবে শুনেছি একজন শিক্ষক অমানবিক আচরণ করেছেন। শিক্ষাঙ্গনের বিধি অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, হয়রানি ও যৌন হয়রানি—এসবের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কেন ওই শিক্ষক বারবার শিক্ষার্থী পেটাচ্ছেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রভাষক সোহেল আরমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ আমাকে কলেজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়, এমন করার কারণে আমি আমার ছাত্রকে সামান্য মেরেছি। যদিও জানি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীকে পেটানো বিধি সম্মত নয়।’

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, বাংলা প্রভাষক সোহেল আরমান কলেজের হলরুমে কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। এ সময় পড়াশোনার বাইরে ভিন্ন প্রসঙ্গে কয়েক দফা দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র আল মামুনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। প্রাইভেট শেষ হলে শিক্ষার্থীকে টিচার্স কমনরুমে ডেকে পাঠান ওই শিক্ষক। আর সেখানেই তাকে নির্যাতন করে ডান হাতের কনুই ফাটিয়ে দেন তিনি।

আহত শিক্ষার্থী আল মামুন বলে, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। কেন আমাকে স্যার এভাবে মারলেন তা-ও জানি না।’ আর কিছু না বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে মামুন। তার সহপাঠী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলে, ‘চলতি বছর প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে আদায় করে। এ-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই স্যারের ধারণা, সাংবাদিকদের আমরাই তথ্য দিয়েছি। ওই ক্ষোভ থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পেটাচ্ছেন। এর আগেও বাইকে হাত দেওয়ার অপরাধে শিক্ষার্থী রিজভী ও সোহেলকে বেধড়ক পেটান তিনি।’ তারা আরও অভিযোগ করে, ‘স্যার প্রতিটি ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে মারধর করে থাকেন। তাঁর আচরণ মোটেই ভালো নয়।’

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক অকপটে বলেন, ‘প্রভাষক সোহেল আরমান একজন বদরাগী শিক্ষক। বিধিমালা ভেঙে তিনি প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পড়ান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাই না আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত