Ajker Patrika

শিগগিরই প্রণোদনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১২
শিগগিরই প্রণোদনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস

গত সপ্তাহে অসময়ের বৃষ্টিতে যশোরের ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩১৪ হেক্টর। এতে ৫৪ হাজার ১০৯ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সময়ের টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর জেলার সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাব জানিয়েছে যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানা গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিগগিরই কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।

অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ জানান, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরিষা চাষিরা। জেলার ৪৯ হাজার ৩১৩ জন সরিষা চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া মসুর চাষি ২৫ হাজার ১৭৮ জন, ১৮ হাজার ২৭৩ জন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষি, আমন চাষি ১৫ হাজার ৯২২ জন, বোরোর বীজতলা আবাদকারী ১০ হাজার ৫০১ জন, আলু চাষি ১৭ শ ৮৮ জন, পেঁয়াজ চাষি ১৭ শ ৬১ জন, গম চাষি ১৫ শ ৭৬ জন, মটরশুঁটি চাষি ১৩ শ ৮৯ জন। এ ছাড়া আরও কিছু ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০২ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ আরও জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। মোট ৩৪ হাজার ৮৭৫ টন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার ৬৩১ টন সরিষা, ৫ হাজার ৩০৮ টন মসুর, ২ হাজার ৬৮৮ টন আলু, ১ হাজার ৬৬১ টন পেঁয়াজ, ৪৮৮ টন ভুট্টা, ৪৫৩ টন ধান, ৩৩৮ টন রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবাদ ও উৎপাদনসহ সার্বিক বিবেচনায় শতকরা হিসেবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল মসুর ডাল। জেলার ৬২.০৫ শতাংশ মসুর ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় সব ধরনের ফসলেরই বাম্পার ফলন ছিল। উৎপাদনমুখী আমাদের হিসেব ছিল আর্থিক দিক দিয়ে এবার কৃষকেরা করোনা মহামারি ও লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাওয়াদের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন এবং কৃষক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ সারা বর্ষা মৌসুমেও কৃষককে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি।’

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার মাধ্যমে শিগগিরই কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত