যশোর প্রতিনিধি
গত সপ্তাহে অসময়ের বৃষ্টিতে যশোরের ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩১৪ হেক্টর। এতে ৫৪ হাজার ১০৯ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সময়ের টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর জেলার সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাব জানিয়েছে যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানা গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিগগিরই কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।
অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ জানান, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরিষা চাষিরা। জেলার ৪৯ হাজার ৩১৩ জন সরিষা চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া মসুর চাষি ২৫ হাজার ১৭৮ জন, ১৮ হাজার ২৭৩ জন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষি, আমন চাষি ১৫ হাজার ৯২২ জন, বোরোর বীজতলা আবাদকারী ১০ হাজার ৫০১ জন, আলু চাষি ১৭ শ ৮৮ জন, পেঁয়াজ চাষি ১৭ শ ৬১ জন, গম চাষি ১৫ শ ৭৬ জন, মটরশুঁটি চাষি ১৩ শ ৮৯ জন। এ ছাড়া আরও কিছু ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০২ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ আরও জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। মোট ৩৪ হাজার ৮৭৫ টন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার ৬৩১ টন সরিষা, ৫ হাজার ৩০৮ টন মসুর, ২ হাজার ৬৮৮ টন আলু, ১ হাজার ৬৬১ টন পেঁয়াজ, ৪৮৮ টন ভুট্টা, ৪৫৩ টন ধান, ৩৩৮ টন রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবাদ ও উৎপাদনসহ সার্বিক বিবেচনায় শতকরা হিসেবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল মসুর ডাল। জেলার ৬২.০৫ শতাংশ মসুর ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় সব ধরনের ফসলেরই বাম্পার ফলন ছিল। উৎপাদনমুখী আমাদের হিসেব ছিল আর্থিক দিক দিয়ে এবার কৃষকেরা করোনা মহামারি ও লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাওয়াদের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন এবং কৃষক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ সারা বর্ষা মৌসুমেও কৃষককে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি।’
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার মাধ্যমে শিগগিরই কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।’
গত সপ্তাহে অসময়ের বৃষ্টিতে যশোরের ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩১৪ হেক্টর। এতে ৫৪ হাজার ১০৯ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সময়ের টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর জেলার সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাব জানিয়েছে যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানা গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিগগিরই কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।
অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ জানান, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরিষা চাষিরা। জেলার ৪৯ হাজার ৩১৩ জন সরিষা চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া মসুর চাষি ২৫ হাজার ১৭৮ জন, ১৮ হাজার ২৭৩ জন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষি, আমন চাষি ১৫ হাজার ৯২২ জন, বোরোর বীজতলা আবাদকারী ১০ হাজার ৫০১ জন, আলু চাষি ১৭ শ ৮৮ জন, পেঁয়াজ চাষি ১৭ শ ৬১ জন, গম চাষি ১৫ শ ৭৬ জন, মটরশুঁটি চাষি ১৩ শ ৮৯ জন। এ ছাড়া আরও কিছু ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০২ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ আরও জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। মোট ৩৪ হাজার ৮৭৫ টন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার ৬৩১ টন সরিষা, ৫ হাজার ৩০৮ টন মসুর, ২ হাজার ৬৮৮ টন আলু, ১ হাজার ৬৬১ টন পেঁয়াজ, ৪৮৮ টন ভুট্টা, ৪৫৩ টন ধান, ৩৩৮ টন রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবাদ ও উৎপাদনসহ সার্বিক বিবেচনায় শতকরা হিসেবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল মসুর ডাল। জেলার ৬২.০৫ শতাংশ মসুর ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় সব ধরনের ফসলেরই বাম্পার ফলন ছিল। উৎপাদনমুখী আমাদের হিসেব ছিল আর্থিক দিক দিয়ে এবার কৃষকেরা করোনা মহামারি ও লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাওয়াদের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন এবং কৃষক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ সারা বর্ষা মৌসুমেও কৃষককে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি।’
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার মাধ্যমে শিগগিরই কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪