Ajker Patrika

মন খুলে কথা বলুন, চাপ কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মন খুলে কথা বলুন, চাপ কমবে

প্রশ্র: আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর আগে। সন্তানের বয়স ছয় মাস। একা সন্তান সামলাতে গিয়ে আমি খুব ক্লান্ত বোধ করছি। ছেলের বাবা খুবই সাপোর্টিভ। সে যতটুকু পারে বাচ্চাকে সময় দেয়। কিন্তু আমার মেজাজ সব সময় চড়া থাকে। ছেলের সামনে তার সঙ্গে অনেক সময় খারাপ ব্যবহারও করে ফেলি। আমার ধারণা, আমি অনেক বেশি খিটখিটে হয়ে গেছি। কীভাবে সমস্যাটি কাটিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মনপুরা, ভোলা

পরামর্শ: আপনার কাছে আমার জানার ছিল যে আপনি বর্তমানে একক নাকি যৌথ পরিবারে আছেন? আর আপনি চাকরিজীবী নাকি গৃহিণী। আগে থেকেই কি আপনার মেজাজ খারাপ থাকত, নাকি আপনার সন্তানের জন্মের পর থেকে আপনার রাগ বেশি হচ্ছে? কত দিন ধরে আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়েছে? এ বিষয়গুলো আপনার বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে না।

তবে আপনার স্বামী আপনাকে অনেক সাপোর্ট করেন, এ জন্য আপনি আপনার সন্তানকে সময় দিতে পারেন। এটি আপনাদের সম্পর্কের ভালো দিক। তবে, আপনি এটা বুঝতে পেরেছেন যে আপনি আপনার ছেলের সামনে ওর বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। আর আপনি এই আচরণ থেকে বের হতে চান। যেহেতু আপনি এই সমস্যা থেকে বের হতে পারছেন না, এ জন্য আপনি কাউন্সেলিংয়ের সহযোগিতা নিতে পারেন।  

প্রশ্র: শ্বশুরবাড়িতে আমার সঙ্গে কারও কোনো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু প্রতিটা কদম ফেলার আগে আমার মাথায় শুধু ঘোরে ‘তাঁরা কী ভাববেন?’ পছন্দের রান্না করা হোক বা রান্নায় নিজের ইচ্ছেমতো মসলার ব্যবহার হোক—সবকিছুতেই অনুমতি নিই। তাঁদের পছন্দমতো না হলে ভুল ধরেন। এতে আমার ইদানীং দম বন্ধ অবস্থা হয়। মনে হয়, এখানে আমার নিজের মতামত মূল্যহীন। সাপ্তাহিক ছুটিতে স্বামীর সঙ্গে বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে। বেড়াতে গেলে নিজেকে কিছুটা হলেও মুক্ত মনে হয়। আমার ভেতরে আবার অপরাধবোধও হয়। কিন্তু নিজেকে পরাধীন ভাবা থেকে বের হতে পারছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মুক্তাগাছা

পরামর্শ: আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আপনাকে নিয়ে ভাবছেন, নাকি আপনিই শুধু তাঁদের নিয়ে চিন্তা করছেন, বিষয়টি আপনার কথায় ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে না। আপনি বলছেন, তাঁদের সঙ্গে আপনার তেমন কোনো সমস্যা নেই। এটি ভালো দিক। রান্নায় একেক  পরিবারে একেক রকমের পছন্দ আছে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এতে আপনার রান্না নিয়ে চিন্তা কমবে। বেড়াতে গেলে ভালো লাগে, এ কথা আপনার স্বামীকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারেন।

আপনার কোন কারণে অপরাধবোধ হচ্ছে, ব্যাপারটা আরেকটু খুলে বললে ভালো হতো। যদি সুযোগ থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। এরপরও আপনি যদি আপনার ভাবনাচিন্তাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছেন: নাঈমা ইসলাম অন্তরা, সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত