Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়ার বছরে নিউজিল্যান্ডের শাপমোচন

বোরহান জাবেদ
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ০১
অস্ট্রেলিয়ার বছরে নিউজিল্যান্ডের শাপমোচন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এ বছর সাক্ষী হয়েছে অনেক নাটকীয় ঘটনার। বছরের শুরু ভারতের ঐতিহাসিক গ্যাবা-দুর্গ জয় দিয়ে আর শেষ হচ্ছে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় আরেকবার ইংল্যান্ডের ভরাডুবিতে। এর মাঝে করোনার চোখরাঙানি নিয়েই ইংল্যান্ডে হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আর মরুর দেশে বসেছে টি-টোয়েন্টি উৎসব।

বছরের শুরুতেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের রোমাঞ্চ। অ্যাডিলেডে ভারতকে ৩৬ রানে অলআউট করে বিরাট এক হুংকারই ছুড়েছিল অজিরা। সেটা অ্যাডিলেড পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকেছে। মেলবোর্ন-সিডনি-গ্যাবা—কোহলিবিহীন চোটজর্জর ভারত দেখিয়েছিল কীভাবে যুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রাণপণ লড়াই চালাতে হয়। যেটার চূড়ান্ত পরিণতি দেখেছিল ব্রিসবেনের গ্যাবা। ৩২ বছর গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়াকে কেউ হারাতে পারেনি। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার দুর্গ গ্যাবা জয় করতে পেরেছিল ম্যালকম মার্শাল-কার্টলি অ্যামব্রোস-কোর্টনি ওয়ালশ-ভিভ রিচার্ডসের প্রবল প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে তুলনায় কোনো টেস্ট না খেলা নটরাজন, মেলবোর্নে অভিষিক্ত মোহাম্মদ সিরাজ, সিডনিতে অভিষিক্ত নবদীপ সাইনি কিংবা ১০ বলের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শার্দূল ঠাকুর—অনভিজ্ঞ নামগুলোই ৩২ বছর পর গ্যাবা-দুর্গ চূর্ণ করে ভারতের সিরিজ জিততে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেটের জয়ধ্বনি শোনা গেছে বারবার। প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটা হয়েছে গত জুনে। সাউদাম্পটনে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গদাটা কেন উইলিয়ামসন উঁচিয়ে ধরে কিউইদের একটা দীর্ঘশ্বাস দূর করেছেন। অবশেষে ক্রিকেটের একটা বড় ট্রফি এল রাগবির জনপদে। একটা বৈশ্বিক শিরোপা ধরা দিতে দিতেও বার কয়েক হাত ফসকে গেছে নিউজিল্যান্ডের। বছর দুয়েক আগে এই ইংল্যান্ডেই বড় আক্ষেপের গল্প লিখেছিলেন উইলিয়ামসনরা। অল্পের জন্য ফসকে গেছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ।

টেস্ট রাজদণ্ড নিয়ে উচ্ছ্বসিত কিউইরানিউজিল্যান্ডের আক্ষেপ ঘোচানোর বছরে আফসোস দূর হয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা দলটির শোকেসে একটা শূন্যতা ছিল—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না জেতা। মরুর দেশে হলুদ উৎসবে অজিদের সেই হাহাকারেরও সমাপ্তি ঘটেছে। করোনার থাবার চোখরাঙানি নিয়েই গ্যাবা হোক বা সাউদাম্পটন কিংবা আরব আমিরাত—বছরজুড়ে ক্রিকেট উৎসব থেমে থাকেনি। করোনার ধাক্কায় ভারত থেকে সরে গিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলে গেছে আমিরাতে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে পাকিস্তানে গিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলেই কিউইদের দেশে ফেরা কিংবা তাদের দেখাদেখি ইংল্যান্ড দলেরও পাকিস্তান সফর স্থগিত—বছরের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে থাকবে এ দুটিও।

দুটি সফর স্থগিতের ক্ষোভে তেতে থাকা পাকিস্তান একপ্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই বিশ্বকাপে খেলতে যায়। শাহিন শাহ আফ্রিদি-বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের বদলে যাওয়া পাকিস্তান বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে চমকে দেয়। একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে উঠে সেমিফাইনালেও। রিজওয়ানের এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি জয়—বছরজুড়ে এই সংস্করণে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তান। তবে বিশ্বকাপের আসল চমক আসলে পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের উল্টো মেরুতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়।

বিশ্বকাপ জয়ের পর বছরের শেষটাও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ জয়ের উৎসবে শেষ হতে চলেছে।

সালতামামির অন্যান্য আয়োজন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত