Ajker Patrika

সেন্ট মাটিন রক্ষায় ১৩ নির্দেশনা

টেকনাফ ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৪
Thumbnail image

দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। এই দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনাসহ এসব সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট মার্টিনে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. নাসিম আহমদের সভাপতিত্বে অংশীজনদের নিয়ে এ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এম এম রকীব উর রাজা, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন, সেন্ট মার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বক্তব্য দেন।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় দ্বীপটি রক্ষায় অন্তত ৫০টি সুপারিশ করেন অংশীজনেরা।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেন্ট মার্টিন সংক্রান্ত একটি সভা হয়। এই সভায় ১৩টি সম্ভাব্য সুপারিশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সেন্ট মার্টিনে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বন্ধ রাখা; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা; বিদ্যমান হোটেল-মোটেল ও রেস্ট হাউসের তালিকা করে ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করা; কৃষিজমি, স্থানীয় ব্যক্তিদের আবাসস্থলসহ দ্বীপের জোনিং ও সংরক্ষিত এলাকা নির্ধারণ করা; দোকান, হোটেল-মোটেল সব জায়গায় সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা; দ্বীপের নিস্তব্ধতা ও শান্তি বজায় রাখতে শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধ করা; দ্বীপের যান চলাচল ব্যবস্থাপনা ঠিক করা; দ্বীপকে ঝড় ও দুর্যোগ থেকে রক্ষায় ১০ হাজার ম্যানগ্রোভ ও কেয়াবেষ্টনী বৃক্ষরোপণ করা; দ্বীপের জমি ব্যবহার নীতিমালা প্রণয়ন করা; জেটি ব্যবস্থাপনা; পর্যটক জাহাজ পরিবহন; আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের জন্য ইকোলজিক্যাল বসতঘর নির্মাণ করা।

এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মনিটরিং করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাসিম আহমেদ বলেন, সেন্ট মার্টিনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণসহ নানা কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ও ভৌগোলিক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বীপকে সরকার সুন্দর একটি ব্যবস্থাপনায় আনতে কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সেন্ট মার্টিনের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে।

এদিকে ৪ জানুয়ারি আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন ও সংলগ্ন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন বঙ্গোপসাগরের ৭০ মিটার গভীর সমুদ্রের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঘোষণার পর প্রভাবশালীরা রাতারাতি সেখানে হোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজ নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এর মধ্যে কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ ও আবাসিক হোটেল ও কটেজকে জরিমানা করেছে।

গতকাল শুক্রবার সেন্ট মার্টিনকে পরিবেশবান্ধব রাখতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পরিবেশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েদা পারভীন ও সহকারী পরিচালক মো. আযাহারুল ইসলাম বলেন, এমপিএ ঘোষণার আলোকে পরিবেশের দল বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছে। সরকারি নিয়মনীতির বাইরে যারা কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, এসব স্থাপনাগুলো সব সময় সৈকতকে নোংরা করত। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। সব অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত