Ajker Patrika

পড়ে থেকে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হচ্ছে

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১১: ২৬
পড়ে থেকে অ্যাম্বুলেন্স  নষ্ট হচ্ছে

চট্টগ্রামের পটিয়া হাসপাতালে জঙ্গলে ঢেকে গেছে কোটি টাকার দুটি অ্যাম্বুলেন্স। অল্প টাকায় মেরামত করে অ্যাম্বুলেন্স দুটি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে এগুলো অকেজো হওয়ার পথে। গত শনিবার হাসপাতালে গিয়ে এই অবস্থা দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত শনিবার আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট পড়ে থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সাংসদ। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও হাসপাতালের চারদিকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য গত ৪ মাসে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তেমন কোনো কাজ হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতালে অভ্যন্তরে সন্ধ্যায় মাদক সেবীদের আড্ডা, বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং স্পেস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম্য চললেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানান যায়, নষ্ট অ্যাম্বুলেন্স দুটির মধ্যে একটি ২০১৬, অপরটি ২০২০ সাল থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল থেকে মেরামতের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন চিঠির নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে তারা। এ ছাড়া ২০২০ সাল থেকে নষ্ট পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি সরকারি রেজিস্ট্রেশন না থাকাতে তা মেরামত করা যাচ্ছে না।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ, পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার, পটিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ জানান, হাসপাতালের ৩টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ২টি বেশ কয়েক বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তা দিয়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবা চলছে। হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট আছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও জানানো হয়েছে। গত শনিবার পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীর বক্তব্যের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত