Ajker Patrika

মহাসড়কের বাই লেন বন্ধ বাড়ছে যানজটের কষ্ট

খান রফিক, বরিশাল
মহাসড়কের বাই লেন বন্ধ বাড়ছে যানজটের কষ্ট

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন বাই লেন বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন ও বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। সড়কের পূর্ব পাশের সরকারি দপ্তরের গেট আটকে পরিবহন বাস পার্ক করার অভিযোগে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে পিলার ও বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, পদ্ম সেতু চালুর পর এভাবে বাই লেন আটকে দেওয়ায় বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট আরও বাড়ছে। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, কাশিপুর সুরভী পাম্পের সামনে থেকে হাইটেক পার্ক পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্ব পাশে বাই লেনের দুই পাশ পিলার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। সড়কের ওই পাশে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, আঞ্চলিক পাসপোর্ট দপ্তর এবং শেখ রাসেল নভো থিয়েটার রয়েছে। জানা গেছে, সড়কের ওপর বাস ফেলে রাখায় বিসিসি গত সপ্তাহে দুপাশে পাকা পিলার পুঁতে বাই লেনের প্রায় আধা কিলোমিটার আটকে দেয়।

বরিশাল জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, তাঁর কার্যালয়ের গেট আটকে পরিবাহন বাস, ট্রাক রাস্তায় পার্ক করে আসছে। এতে সেবাগ্রহীতারা বিড়ম্বনায় পড়ছে। এই অবস্থায় তাঁরা বাস মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়েছেন। অনুলিপি সিটি করপোরেশন, মেট্রোপলিটন পুলিশকেও দিয়েছেন। সড়ক তাঁরা আটকাননি। যাঁরা ক্ষমতা রাখেন, তাঁরা পিলার দিয়ে আটকে দিয়েছেন।

বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান, টার্মিনালের বাস ফেলে রাখায় পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন অফিস আপত্তি জানিয়ে তাঁদের চিঠি দিয়েছে। তাঁরাও জানেন, এটা সড়ক। বাস রাখা কিংবা বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। রাস্তা তো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে। ওই স্থান আটকে দেওয়ায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করবেন।তিনি বলেন, রাস্তায় যাতে বাস ফেলে না রাখে, এ জন্য কিছু শ্রমিক ওখানে দেওয়া হয়েছে। বাসচালকেরা কথা না শোনায় হয়তো শ্রমিকেরা সড়ক আটকে দিয়েছেন।

স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি দেখেছেন, গত সপ্তাহে বিসিসির শ্রমিকেরা পিলার পুঁতে মহাসড়কের বাই লেন অংশ আটকে দিচ্ছেন। কেন আটকানো হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে বিসিসি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।

ওই এলাকার দায়িত্ব পালনকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) বিদ্যুৎ চন্দ্র দে জানান, ঢাকা-বরিশালসহ দূরপাল্লার রুটের বাস কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিলে বাই লেন অংশে সারি করে রাখা হতো। গত সপ্তাহে কে বা কারা সেটি আটকে দিয়েছে। এতে ওই গাড়িগুলো বাইরের অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় নথুল্লাবাদ এলাকায় যানজট আরও বেড়েছে।

বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার রোহান সাংবাদিকদের জানান, বাস রাখায় নানা সমস্যার কথা জানিয়ে সেখানকার কয়েকটি সরকারি দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়। বিসিসি প্রহরী নিয়োগ করেও বাস রাখা বন্ধ করতে পারেননি। তাই আপাতত পিলার পুঁতে সড়কের ওই অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বাই লেন বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে অবৈধভাবে রাখা বাসগুলো রাখা হচ্ছে স্ট্যান্ডের আশপাশে সড়কের ওপরে। যে কারণে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত