Ajker Patrika

নামাজে সতর অনাবৃত হয়ে গেলে

মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৩৬
নামাজে সতর অনাবৃত হয়ে গেলে

প্রশ্ন: যদি নামাজে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো নারীর শরীরের কিছু অংশ যেমন—গলা, চুল বা 
ঘাড় উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং সে দ্রুত তা ঢেকে নেয়, তবে কি নামাজ ভেঙে যাবে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

আদিবা রহমান, ঢাকা

উত্তর: সতর ঢাকা নামাজ শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত। সেটি পুরুষের ক্ষেত্রে হোক অথবা নারীর ক্ষেত্রে। পুরুষের ক্ষেত্রে নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত এবং নারীর ক্ষেত্রে কেবল চেহারা, দুই হাতের কবজি ও পায়ের নিচের পাতা ছাড়া পুরো শরীর সতর।

বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে গেলেও মাকরুহ হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১০৬) নারীদের পুরো শরীর ঢাকার ব্যাপারে আয়েশা (রা.) মহানবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ছাড়া কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নামাজ কবুল করেন না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

সুতরাং ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক অংশ খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, নামাজ নষ্ট হবে না। যদি একাধিক জায়গায় সামান্য অংশ খোলা থাকে, তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না। (রদ্দুল মুহতার: ১ / ৩৭৯; তাবয়িনুল হাকায়িক: ১ / ৯৭)

নারীদের চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত। একটি চুলের এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে গেলেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাবয়িনুল হাকায়িক: ১ / ৯৭) অনুরূপ এত পাতলা পোশাক, যাতে বাইরে থেকে ভেতরের অঙ্গগুলোর রং দেখা যায়, তা দিয়েও নামাজ শুদ্ধ হবে না। (রদ্দুল মুহতার: ১ / ৩৮১) 

লেখক: গবেষণা বিভাগীয় প্রধান, মাহাদুল ফিকরিল ইসলামি, বসুমতী, গুলশান, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত