সম্পাদকীয়
অসুস্থ হওয়ার আগে আনিসুজ্জামান প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সভায় সভাপতিত্ব করতেন। কারও অনুরোধ তিনি ফেলতে পারতেন না। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয় যে তিনি সবখানে গিয়ে শুধু একই কথার পুনরাবৃত্তি করতেন; বরং যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়ার পুরো প্রস্তুতি থাকত তাঁর।
যেমন কোনো এক বইয়ের শততম মুদ্রণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় কোনো এক বক্তা বইটির শৈল্পিক গুণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। আনিসুজ্জামান তাঁর বক্তৃতায় বইটির ভালো লাগা দিকগুলোর কথা উচ্চারণ করে আগের বক্তার উদ্দেশে বললেন, ‘আশা করি তিনি পুরো বইটি পড়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা লিখবেন।’
অটোয়ায় একবার ড. কামাল হোসেন গেছেন। কোনো এক রেস্তোরাঁয় চলছে আড্ডা। বাঙালির আড্ডা মানেই ঘুরেফিরে রাজনীতি। কথা প্রসঙ্গে দেশে গ্রহণযোগ্য অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রশ্ন এল। ড. কামাল হোসেন বললেন, ‘তেমন যোগ্য মানুষ কোথায়?’
লুৎফর রহমান রিটন বললেন, ‘আছেন। তেমন যোগ্য মানুষ আছেন আমাদের।’
ড. কামাল জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে তিনি? নাম বলুন।’
রিটন বললেন, ‘অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।’
ড. কামাল বললেন, ‘এগজাক্টলি। আমি ঠিক এই নামটাই ভাবছিলাম।’
নব্বইয়ের দশকের সূচনায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকেও একই কথা বলেছিলেন রিটন। বিনা তর্কে শ্রদ্ধা করা যায়, মান্য করা যায়, এমন নাম খুঁজতে হলে সেই নাম হবে আনিসুজ্জামান। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, ঠিক, ঠিক বলেছ তুমি।’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আলোচক ছিলেন সেলিনা হোসেন, রশীদ হায়দার আর লুৎফর রহমান রিটন। সেই সভার সভাপতি আনিসুজ্জামান। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে আনিসুজ্জামানকে নিয়ে রিটনের যে কথাবার্তা হয়েছিল, সেটা উচ্চারণ করেছিলেন বক্তা লুৎফর রহমান রিটন। খুবই বিব্রত হয়ে হেসেছিলেন আনিসুজ্জামান। তারপর সভাপতির বক্তৃতায় আনিসুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর শোকসভায় রিটন কী বলবে, সেটা আজকেই আমার জানা হয়ে গেল।’
সূত্র: লুৎফর রহমান রিটন, উত্তরাধিকার, পৃষ্ঠা ১০০-১০১
অসুস্থ হওয়ার আগে আনিসুজ্জামান প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সভায় সভাপতিত্ব করতেন। কারও অনুরোধ তিনি ফেলতে পারতেন না। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয় যে তিনি সবখানে গিয়ে শুধু একই কথার পুনরাবৃত্তি করতেন; বরং যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়ার পুরো প্রস্তুতি থাকত তাঁর।
যেমন কোনো এক বইয়ের শততম মুদ্রণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় কোনো এক বক্তা বইটির শৈল্পিক গুণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। আনিসুজ্জামান তাঁর বক্তৃতায় বইটির ভালো লাগা দিকগুলোর কথা উচ্চারণ করে আগের বক্তার উদ্দেশে বললেন, ‘আশা করি তিনি পুরো বইটি পড়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা লিখবেন।’
অটোয়ায় একবার ড. কামাল হোসেন গেছেন। কোনো এক রেস্তোরাঁয় চলছে আড্ডা। বাঙালির আড্ডা মানেই ঘুরেফিরে রাজনীতি। কথা প্রসঙ্গে দেশে গ্রহণযোগ্য অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রশ্ন এল। ড. কামাল হোসেন বললেন, ‘তেমন যোগ্য মানুষ কোথায়?’
লুৎফর রহমান রিটন বললেন, ‘আছেন। তেমন যোগ্য মানুষ আছেন আমাদের।’
ড. কামাল জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে তিনি? নাম বলুন।’
রিটন বললেন, ‘অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।’
ড. কামাল বললেন, ‘এগজাক্টলি। আমি ঠিক এই নামটাই ভাবছিলাম।’
নব্বইয়ের দশকের সূচনায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকেও একই কথা বলেছিলেন রিটন। বিনা তর্কে শ্রদ্ধা করা যায়, মান্য করা যায়, এমন নাম খুঁজতে হলে সেই নাম হবে আনিসুজ্জামান। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, ঠিক, ঠিক বলেছ তুমি।’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আলোচক ছিলেন সেলিনা হোসেন, রশীদ হায়দার আর লুৎফর রহমান রিটন। সেই সভার সভাপতি আনিসুজ্জামান। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে আনিসুজ্জামানকে নিয়ে রিটনের যে কথাবার্তা হয়েছিল, সেটা উচ্চারণ করেছিলেন বক্তা লুৎফর রহমান রিটন। খুবই বিব্রত হয়ে হেসেছিলেন আনিসুজ্জামান। তারপর সভাপতির বক্তৃতায় আনিসুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর শোকসভায় রিটন কী বলবে, সেটা আজকেই আমার জানা হয়ে গেল।’
সূত্র: লুৎফর রহমান রিটন, উত্তরাধিকার, পৃষ্ঠা ১০০-১০১
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫