Ajker Patrika

শয্যার অভাবে মেঝেতে ভিড় ডায়রিয়া রোগীর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৫৬
শয্যার অভাবে মেঝেতে ভিড় ডায়রিয়া রোগীর

বরগুনার আমতলীতে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১৫ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। আসন সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মুনয়েন সাদ সবাইকে নদী ও খালের পানি ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন।

বরগুনার আমতলীতে নদী ও খালের পানির লবণাক্ততা বাড়ায় ইকোলাই ও ভিব্রিও কলেরা ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে নদী ও খালের পানি ব্যবহারে আমতলীতে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।

জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। তাদের অধিকাংশই শিশু। নদী ও খালের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইকোলাই ও ভিব্রিও কলেরা ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। নদী ও খালের পানি ব্যবহার করায় ডায়রিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে নদী ও খালের পানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫ জন রোগী। আসনসংকট থাকায় হাসপাতালের বারান্দায় রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২২২ জন হলেও বেসরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা সহস্রাধিক ছাড়িয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না এসে পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কম আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল থেকে শুধুই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আর কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। স্বজনদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।

বুধবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, ২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। আসন না থাকায় রোগীরা বারান্দার ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।

মানিকঝুড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আমি দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে শুরু তিন ব্যাগ স্যালাইন দিয়েছে। এ ছাড়া সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’

আমড়াগাছিয়া গ্রামের দুলাল, চিলা গ্রামের নুরজাহার ও পাতাকাটা গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমি কোনো বেড পাইনি, তাই বারান্দায় বিছানা পেতে অবস্থান করেছি।’

গুলিশাখালী গ্রামের ইউনুস মোল্লা বলেন, তিন দিন হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। স্যালাইন ছাড়া সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মুনয়েন সাদ বলেন, নদী ও খালের পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইকোলাই ও ভিব্রিও কলেরা ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে সর্বত্র ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে মেডিকেল টিম সদা প্রস্তুত, পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নদী ও খালের পানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত