নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডলার-সংকটে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না—এমন অজুহাতে এবার সব ধরনের গরম মসলার দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক মাসের ব্যবধানে বাজারে জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও কিশমিশের দাম ৫০-৬৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকার সূচনা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাম্মেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সব ধরনের গরম মসলার দামই ঊর্ধ্বমুখী।
এক মাস আগে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরার দাম ছিল ৪০০ টাকা, বর্তমানে তা ৫৬০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ টাকার দারুচিনি ৫০০-৫৫০ টাকা এবং ৩৫০ টাকার কিশমিশ ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তবে কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে গরম মসলা বিক্রি হচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ ক্রেতা গরম মসলা কেনেন অল্প পরিমাণে।
মোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, তাঁরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনছেন। তাই তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের খুচরা গরম মসলা বিক্রেতা মেসার্স বাদশা স্টোরের ব্যবস্থাপক সুমন মাহমুদ বলেন, ৩০০-৩৮০ টাকার জিরা এখন ৫০০-৫১০ টাকায়, ৩৫০ টাকার দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, ৫০০ টাকার গোলমরিচ ৬০০ টাকা, ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা দামের এলাচ বর্তমানে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তিনি।
এ বাজারের মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম বলেন, গরম মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই কেনা বন্ধ রেখেছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গরম মসলা কিনছেন না। আবার যাঁরা কিনছেন, তা পরিমাণে খুবই কম। মানুষের চাল, ডাল, আটা, তেল নিয়েই চিন্তা বেশি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ, দারুচিনি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং লবঙ্গের ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার ছোট কাটারা এলাকার হাজি আনোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে তিনি প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করেছিলেন ৪০০ টাকা। গতকাল তা ৫১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। একইভাবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকার এলাচ এখন ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকার এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। ২৮০-৩০০ টাকার কিশমিশ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং ২৫০-৩০০ টাকার দারুচিনি ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি করছেন।
তবে গরম মসলা আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, বাজারে আমদানি করা সব ধরনের গরম মসলার দাম বাড়লেও এলাচের দাম গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আগে প্রতি টন এলাচের দাম ছিল ২০-৩০ হাজার ডলার। বর্তমানে তা ৭ থেকে ১০ হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচের দাম অনেক কম। তবে ডলারের দাম বাড়ায় ২০-২৫ শতাংশ দাম এমনিতেই বেড়ে গেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ৭৫-১০০ শতাংশ মার্জিন দিয়েও অনেকে মসলা আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক মুখে ডলার-সংকটের কথা অস্বীকার করলেও বাস্তবে তা ঠিক না। অনেক ব্যাংকই এলসি দিতে পারছে না।
ডলার-সংকটে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না—এমন অজুহাতে এবার সব ধরনের গরম মসলার দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক মাসের ব্যবধানে বাজারে জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও কিশমিশের দাম ৫০-৬৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকার সূচনা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাম্মেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সব ধরনের গরম মসলার দামই ঊর্ধ্বমুখী।
এক মাস আগে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরার দাম ছিল ৪০০ টাকা, বর্তমানে তা ৫৬০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ টাকার দারুচিনি ৫০০-৫৫০ টাকা এবং ৩৫০ টাকার কিশমিশ ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তবে কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে গরম মসলা বিক্রি হচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ ক্রেতা গরম মসলা কেনেন অল্প পরিমাণে।
মোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, তাঁরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনছেন। তাই তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের খুচরা গরম মসলা বিক্রেতা মেসার্স বাদশা স্টোরের ব্যবস্থাপক সুমন মাহমুদ বলেন, ৩০০-৩৮০ টাকার জিরা এখন ৫০০-৫১০ টাকায়, ৩৫০ টাকার দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, ৫০০ টাকার গোলমরিচ ৬০০ টাকা, ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা দামের এলাচ বর্তমানে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তিনি।
এ বাজারের মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম বলেন, গরম মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই কেনা বন্ধ রেখেছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গরম মসলা কিনছেন না। আবার যাঁরা কিনছেন, তা পরিমাণে খুবই কম। মানুষের চাল, ডাল, আটা, তেল নিয়েই চিন্তা বেশি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ, দারুচিনি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং লবঙ্গের ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার ছোট কাটারা এলাকার হাজি আনোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে তিনি প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করেছিলেন ৪০০ টাকা। গতকাল তা ৫১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। একইভাবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকার এলাচ এখন ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকার এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। ২৮০-৩০০ টাকার কিশমিশ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং ২৫০-৩০০ টাকার দারুচিনি ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি করছেন।
তবে গরম মসলা আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, বাজারে আমদানি করা সব ধরনের গরম মসলার দাম বাড়লেও এলাচের দাম গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আগে প্রতি টন এলাচের দাম ছিল ২০-৩০ হাজার ডলার। বর্তমানে তা ৭ থেকে ১০ হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচের দাম অনেক কম। তবে ডলারের দাম বাড়ায় ২০-২৫ শতাংশ দাম এমনিতেই বেড়ে গেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ৭৫-১০০ শতাংশ মার্জিন দিয়েও অনেকে মসলা আমদানির এলসি খুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক মুখে ডলার-সংকটের কথা অস্বীকার করলেও বাস্তবে তা ঠিক না। অনেক ব্যাংকই এলসি দিতে পারছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪