Ajker Patrika

এবার ক্ষতি পোষানোর আশা ব্যবসায়ীদের

মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৪৩
এবার ক্ষতি পোষানোর আশা ব্যবসায়ীদের

সম্পদের শুদ্ধিতা আনতে মুসলমানরা জাকাত দিয়ে থাকেন। বছরের যেকোনো সময় জাকাত দেওয়া গেলেও জাকাতদাতাদের বড় একটি অংশ পবিত্র রমজান মাসকেই বেছে নেন। সম্পদের জাকাত হিসেবে গরিবের মাঝে বিতরণ করা হয় নগদ অর্থের পাশাপাশি পরিধেয় কাপড়। রোজা এলেই জাকাতের কাপড়ের বিক্রি বাড়ে। জাকাতদাতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরাও নেন বাড়তি প্রস্তুতি।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত দুই বছর অন্য ব্যবসায়ীদের মতো জাকাতের কাপড় বিক্রেতাদেরও মন্দাভাব গেছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঈদের জন্য গরিব-অসহায়দের মধ্যে জাকাতের কাপড় বিলিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। যে কারণে দোকানগুলোয় চাঙাভাব ফিরে এসেছে। বিক্রি বাড়ায় স্বস্তিতে আছেন তাঁরা। তবে গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, এমন অভিযোগও আছে ক্রেতাদের।

রাজধানীর ইসলামপুর, গুলিস্তানের পীর ইয়ামিনি মার্কেট, মৌচাক-মালিবাগ এলাকার কয়েকটি বিপণিবিতান ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, জাকাতের জন্য যেসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দামের শাড়ির দাম প্রতি পিস ২৯০ থেকে ৩৫০ টাকা। তার চেয়ে একটু ভালো মানের শাড়ির দাম ৩২০-৪০০ টাকা। আরেকটু ভালো মানের শাড়ির দাম ৪২০-৫৫০ টাকা। তবে অনেক ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে এর থেকেও বেশি দামের শাড়ি জাকাতের কাপড় হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। সেগুলোর দাম ৬৫০ থেকে ১ হাজারের মধ্যে।

ইসলামপুর এলাকার সততা ট্রেডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈদ ঘিরে এবার বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আশা করি, গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। মিতা প্রিন্ট শাড়ির বিক্রেতা মো. নীরব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাকাতের কাপড় কেনার জন্য এবার কাস্টমার বেড়েছে। গত দুই বছর তো ব্যবসাই করতে পারলাম না।’ তিনি আরও জানান, এই দোকানে একেকটি শাড়ি ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর লুঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

ইসলামপুর এলাকার আরও কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাকাতের কাপড়ের জন্য আসা বেশির ভাগ ক্রেতাই শাড়ি ও লুঙ্গি পছন্দ করছেন। ১৫ রোজার পর থেকেই ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে।

মেহেদী নামের এক ক্রেতা এসেছেন কেরানীগঞ্জ থেকে। তাঁর বোন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। প্রতিবার বোনের দেওয়া জাকাতের কাপড় তিনিই ব্যবস্থা করেন। মেহেদী বলেন, ‘জাকাত দিতে কাপড় কিনতে এসেছি। এবার দাম একটু বেশিই। অন্য বছর ২৫০ টাকায় যে শাড়ি পেতাম এ বছর সেটা তিন শর কমে ছাড়ছেই না। দরদাম করলে ২৯০ পর্যন্ত রাখছে।’

মো. মাসুম বিল্লাহ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘জাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গি কিনতে এসেছি। দাম বেশি হলেও নিয়ে যেতে হবে। ঈদের তো আর বেশি দিন নেই। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগে কাপড় কিনে নিয়ে যাব।’

পীর ইয়ামেনী মার্কেটের বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, আমাদের এখানে শবে বরাতের আগেও কিছু কাপড় বিক্রি হয়েছে। মাঝে কিছুদিন কম ছিল। তবে ২০ রোজার পর থেকে ক্রেতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত