Ajker Patrika

খরচ বাড়ায় আমদানি বন্ধ, বেকার পাথরশ্রমিকেরা

জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
খরচ বাড়ায় আমদানি বন্ধ, বেকার পাথরশ্রমিকেরা

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে উদ্বোধন করা হয় প্রায় তিন মাস আগে। কিন্তু এখনো বন্দরটির কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়নি। এ বন্দর দিয়ে শুধু পাথর আমদানি করা হলেও খরচ বাড়ায় তা বন্ধ রয়েছে। স্থলবন্দর হওয়ার আগের দুই মাসসহ মোট পাঁচ মাস বন্ধ পাথর আমদানি। ফলে বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

ধানুয়া কামালপুর শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার টন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। অথচ পাঁচ মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

বন্দরের পাথর আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম বলেন, শুল্ক স্টেশন থেকে স্থলবন্দরে রূপান্তর করার পর পাথর এনে ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন। তাই আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। কেননা ভারত থেকে আসা প্রতি ট্রাক পাথরের সঙ্গে ২-৩ টন মাটি আসে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েব্রিজ তৈরি করায় সেই মাটির শুল্কও দিতে হয়। এতে প্রতি ট্রাকে ২ হাজার ৪০০ টাকা বেশি খরচ হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাথর আমদানি বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে আমদানি বন্ধ থাকায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পাথর ভাঙার দুই শতাধিক মেশিন। আর বেকার হয়ে পড়েছেন পাথর ভাঙার প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন মুসা আলী নামের এক শ্রমিক। তিনি দ্রুত পাথর আমদানি শুরু করার দাবি জানান।

স্থলবন্দরে কোনো কর্মকর্তা না থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পরিদর্শক জাবেদী বিল্লাহ জানিয়েছেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সেবা দিতে প্রস্তুত। কোনো পণ্য আমদানি না হলেও আমরা অফিস করে যাচ্ছি। ৩০টি পণ্য আসার কথা থাকলেও আসে শুধু পাথর। সেই পাথর আসাও এখন বন্ধ রয়েছে। কী কারণে বন্ধ রয়েছে, তা আমার অজানা।’

তবে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, ‘ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উদ্বোধনের আগেও শুল্ক স্টেশন ছিল আর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান ছিল। সম্প্রতি কিছু সমস্যার কারণে বন্দরটির কার্যক্রম চলছে না। বিষয়টি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’ দ্রুতই বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত