Ajker Patrika

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ বিপাকে বোরোচাষিরা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৮
খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ বিপাকে বোরোচাষিরা

বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি সরকারি খালের একাংশের মালিকানা দাবি করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত এ জনপদের দুই শতাধিক চাষি এবার বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। খাল থেকে নিয়মিত পানি ওঠা-নামা করতে না পারা এবং পানি সংরক্ষণ করতে না পারায় ওই চাষিদের বোরো চাষ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের রায়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই মো. কামরুল ইসলাম শরণখোলা ৩৫ / ১ পোল্ডারের স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় সরকারি খালের একাংশ নিজের দাবি করে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেন। এতে খাল দিয়ে ঠিকমতো পানি ওঠা-নামা করতে না পারায় ওই এলাকায় বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী চাষিরা দ্রুত এই বাঁধ কেটে খালটি পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান খান বলেন, আমি অর্ধশত বোরোচাষির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দরখাস্ত আকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর দিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং বোরো ও আমনচাষিদের জন্য খালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যক্তিস্বার্থে এটিতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করা হয়েছে, যা খামখেয়ালিপনা ছাড়া কিছুই না।

সাউথখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি একটি স্বেচ্ছাচারিতা। এ খাল চাষিদের সুবিধার্থে পরিষদের মাধ্যমে বহুবার কাটা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অনৈতিকভাবে কিছু করা হয়নি। পৈতৃক জমিতে মাছের চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ওয়াসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে বিবাদমান খালটি পরিদর্শন করা হয়েছে। বিবাদীর মালিকানাধীন কিছু জমি খালের মধ্যে রয়েছে, তাই তিনি বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করেছেন।

তবে চাষিদের স্বার্থে তাঁর বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা উচিত। তাঁরা জনস্বার্থে বাঁধ কেটে দেওয়ার জন্য মো. কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত