বাবলু মোস্তাফিজ, ভেড়ামারা
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হাটবাজার। প্রশাসনের তদারকি ও পদক্ষেপ না থাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম এই উপাদান এখন শহরের জলাবদ্ধতারও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত্রতত্র ফেলা এসব পলিথিন বৃষ্টিতে ভেসে এসে জমা হচ্ছে বিভিন্ন নালায়। এ জন্য নালার পানি সরতে না পারায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পচনশীল না হওয়ায় এসব পলিথিনের কারণে মাটির উর্বরতা ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলা পৌর শহরসহ সব মিলিয়ে ৯টি বাজার রয়েছে। এসব স্থানে সাড়ে ৭ হাজার দোকান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় রয়েছে হরেক রকমের দোকান। যেখানে দোকানিরা নিষিদ্ধ পলিথিনে পণ্য তুলে দিচ্ছেন ক্রেতাদের হাতে।
উপজেলার গোলাপ নগর, সাতবাড়ি, ধরমপুর, জগস্বর, পরানখালি, বাহাদুরপুর, কুচিয়ামোড়া, জুনিয়াদহসহ পৌরসভাসহ এসব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানিরা পণ্য বিক্রি করে নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মাছ, মাংস, মিষ্টি, সবজি, ফলসহ তৈরি করা খাবার বহনে ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন মাপের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছে।
শহর থেকে পলিথিনে করে বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় খেমিরদিয়ার গ্রামের আসাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পলিথিন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথা জানি। হঠাৎ বাজার করায় বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে আসিনি। অল্প কাচা বাজার, তাই পলিথিনেই নিলাম।’
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সহিদুল বলেন, ‘যেসব ক্রেতা ব্যাগ নিয়ে আসেন তাঁদের পলিথিনে জিনিসপত্র দিই না। যারা ব্যাগ ছাড়া আসেন তাঁদের বাধ্য হয়ে পলিথিনে পণ্য দিই। এদের বেশির ভাগ ব্যক্তিকে ব্যাগ কিনতে বললেও কেনেন না।’
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিপাটি নগরী’র আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসলাম। তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ক্রেতারা এসব পলিথিন ব্যবহার করার পর যেখানে–সেখানে ফেলছেন। ফলে নালায় জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও পরিবেশদূষণ হচ্ছে। এই নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষিত ও স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
পরিবেশবিদ, গবেষক ও লেখক গৌতম কুমার রায় বলেন, ‘পলিথিন বাতাসে হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও ডাই অক্সিজেনের মতো বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই ব্যাগে রাখা খাবার মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কেননা ব্যাগের ডিথেল হেক্সেন প্যাথলজি রাসায়নিক দ্রব্য চুঁইয়ে খাদ্যে মিশে মানব শরীরে গিয়ে ক্যানসার হতে পারে।’
পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, ‘পলিথিন স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি সবকিছুর জন্যই ক্ষতিকর। ৪০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের পলিব্যাগ ব্যবহার, উৎপাদনে বাঁধা দিতে হবে। অসচেতনতা ও আইনের শৈথিল্য ও অতি মুনাফা নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাবের জন্য দায়ী।’
শহরের জলাবদ্ধতার জন্য পলিথিনকে দায়ী করেছেন ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়মিত বাজারে তদারকি প্রয়োজন। পাশাপাশি সবার আগে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।’
পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। শিগগিরই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালানো হবে। কোনো দোকানে পলিথিন ব্যাগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হাটবাজার। প্রশাসনের তদারকি ও পদক্ষেপ না থাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম এই উপাদান এখন শহরের জলাবদ্ধতারও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত্রতত্র ফেলা এসব পলিথিন বৃষ্টিতে ভেসে এসে জমা হচ্ছে বিভিন্ন নালায়। এ জন্য নালার পানি সরতে না পারায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পচনশীল না হওয়ায় এসব পলিথিনের কারণে মাটির উর্বরতা ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলা পৌর শহরসহ সব মিলিয়ে ৯টি বাজার রয়েছে। এসব স্থানে সাড়ে ৭ হাজার দোকান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় রয়েছে হরেক রকমের দোকান। যেখানে দোকানিরা নিষিদ্ধ পলিথিনে পণ্য তুলে দিচ্ছেন ক্রেতাদের হাতে।
উপজেলার গোলাপ নগর, সাতবাড়ি, ধরমপুর, জগস্বর, পরানখালি, বাহাদুরপুর, কুচিয়ামোড়া, জুনিয়াদহসহ পৌরসভাসহ এসব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানিরা পণ্য বিক্রি করে নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মাছ, মাংস, মিষ্টি, সবজি, ফলসহ তৈরি করা খাবার বহনে ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন মাপের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছে।
শহর থেকে পলিথিনে করে বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় খেমিরদিয়ার গ্রামের আসাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পলিথিন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথা জানি। হঠাৎ বাজার করায় বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে আসিনি। অল্প কাচা বাজার, তাই পলিথিনেই নিলাম।’
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সহিদুল বলেন, ‘যেসব ক্রেতা ব্যাগ নিয়ে আসেন তাঁদের পলিথিনে জিনিসপত্র দিই না। যারা ব্যাগ ছাড়া আসেন তাঁদের বাধ্য হয়ে পলিথিনে পণ্য দিই। এদের বেশির ভাগ ব্যক্তিকে ব্যাগ কিনতে বললেও কেনেন না।’
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পরিপাটি নগরী’র আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসলাম। তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ক্রেতারা এসব পলিথিন ব্যবহার করার পর যেখানে–সেখানে ফেলছেন। ফলে নালায় জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও পরিবেশদূষণ হচ্ছে। এই নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষিত ও স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
পরিবেশবিদ, গবেষক ও লেখক গৌতম কুমার রায় বলেন, ‘পলিথিন বাতাসে হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও ডাই অক্সিজেনের মতো বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই ব্যাগে রাখা খাবার মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কেননা ব্যাগের ডিথেল হেক্সেন প্যাথলজি রাসায়নিক দ্রব্য চুঁইয়ে খাদ্যে মিশে মানব শরীরে গিয়ে ক্যানসার হতে পারে।’
পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, ‘পলিথিন স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি সবকিছুর জন্যই ক্ষতিকর। ৪০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের পলিব্যাগ ব্যবহার, উৎপাদনে বাঁধা দিতে হবে। অসচেতনতা ও আইনের শৈথিল্য ও অতি মুনাফা নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাবের জন্য দায়ী।’
শহরের জলাবদ্ধতার জন্য পলিথিনকে দায়ী করেছেন ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়মিত বাজারে তদারকি প্রয়োজন। পাশাপাশি সবার আগে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।’
পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। শিগগিরই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালানো হবে। কোনো দোকানে পলিথিন ব্যাগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
২৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫