আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত বছর বিশ্বের সামনে নতুন আতঙ্ক হয়ে সামনে আসে করোনাভাইরাস। পরবর্তী সময়ে যা মহামারি আকার ধারণ করে এবং এর প্রভাব এখনো দৃশ্যমান। করোনার টিকাই এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এসব টিকা কতটা নিরাপদ, এর কর্যকারিতাই-বা কতটুকু, এ ধরনের নানা প্রশ্ন আগেই উঠেছে। তবে সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশ ক্ষেত্রবিশেষে তাদের নাগরিকদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নতুন করে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, জীবন বাঁচাতে এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি হলেও তা অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি সাংঘর্ষিক হতে পারে মানবাধিকারের সঙ্গে।
করোনার নতুন নতুন ধরন বিশেষ করে ডেলটা ধরন এখনো তাণ্ডব চালালেও বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের মাঝে টিকা নেওয়ার আগ্রহ আবারও কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাই টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করছে অনেক দেশ। তবে সরকারি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এর বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভও করছেন অনেকে।
ক্রমাগত সংক্রমণের মধ্যে ‘কোভিড-জিরো’ অর্থাৎ রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামার পর বিধিনিষেধ শিথিল করার কৌশল থেকে সম্প্রতি সরে এসেছে নিউজিল্যান্ড। এর পরপরই গত সপ্তাহে সেখানকার চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের জন্য ‘নো ভ্যাকসিন, নো জব’ নীতি চালু করেছে দেশটি। একই সময়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী ফিজি বলছে, নভেম্বরের মধ্যে করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ না নিলে সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করায় সেই পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেন।
‘শতভাগ মানবাধিকার ইস্যু’
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার আইনের অধ্যাপক কানস্টানসিন দেতসিয়েরো বলেছেন, ‘মানবাধিকার এবং বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার মধ্যে খুব স্পষ্ট একটি সংযোগ রয়েছে। এটি শতভাগ মানবাধিকার ইস্যু যা গোপনীয়তা এবং শারীরিক অখণ্ডতার অধিকার সম্পর্কিত।’
বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টিকে ‘নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর জন্য কিংবা একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের ওপর যুক্তিযুক্ত অনুপ্রবেশ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আইনজীবীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, করোনাভাইরাস মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী। এ ছাড়া সংক্রমণ রোধে লকডাউনসহ নেওয়া নানা পদক্ষেপ জীবন ও জীবিকাকে বিপর্যস্ত করেছে, বিশ্বজুড়ে সংঘাত বেড়েছে এবং দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন লাখ লাখ মানুষ।
তবে টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতায় সমর্থন জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, বাধ্যতামূলক না করে সরকারগুলোর উচিত এ-সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক তথ্য প্রচারণার পাশাপাশি সবার জন্য টিকা আরও সহজলভ্য করে তোলা।
জোর বা জবরদস্তি নয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যদি ন্যায়সংগতও হয়, তবু নীতিটি অবশ্যই স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ছাড় দিতে হবে, যেমন অ্যালার্জির ক্ষেত্রে। এ নিয়ে জোর বা জবরদস্তি কোনো সমাধান দেবে না।
এ বিষয়ে নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির বারুচ কলেজের আইনের অধ্যাপক ডেবি কামিনার বলেন, ‘এমন দেশগুলোতে টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত, যেখানে হাসপাতাল, নার্সিং হোম এবং স্কুলের মতো জায়গা থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে।’
তবে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার নীতি কাজে আসছে দাবি করে ডেবি কামিনার বলেন, ‘আমি এখানে জোর করে টিকা দেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু আপনি যদি স্বাস্থ্যসেবাকর্মী কিংবা শিক্ষক হন, অন্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হলেও আপনাকে টিকা নিতে হবে। জোরাজুরির বিষয় নয়, এটি সমাজকে নিরাপদ রাখার বিষয়।’
গত বছর বিশ্বের সামনে নতুন আতঙ্ক হয়ে সামনে আসে করোনাভাইরাস। পরবর্তী সময়ে যা মহামারি আকার ধারণ করে এবং এর প্রভাব এখনো দৃশ্যমান। করোনার টিকাই এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এসব টিকা কতটা নিরাপদ, এর কর্যকারিতাই-বা কতটুকু, এ ধরনের নানা প্রশ্ন আগেই উঠেছে। তবে সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশ ক্ষেত্রবিশেষে তাদের নাগরিকদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নতুন করে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, জীবন বাঁচাতে এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি হলেও তা অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি সাংঘর্ষিক হতে পারে মানবাধিকারের সঙ্গে।
করোনার নতুন নতুন ধরন বিশেষ করে ডেলটা ধরন এখনো তাণ্ডব চালালেও বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের মাঝে টিকা নেওয়ার আগ্রহ আবারও কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাই টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করছে অনেক দেশ। তবে সরকারি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এর বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভও করছেন অনেকে।
ক্রমাগত সংক্রমণের মধ্যে ‘কোভিড-জিরো’ অর্থাৎ রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামার পর বিধিনিষেধ শিথিল করার কৌশল থেকে সম্প্রতি সরে এসেছে নিউজিল্যান্ড। এর পরপরই গত সপ্তাহে সেখানকার চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের জন্য ‘নো ভ্যাকসিন, নো জব’ নীতি চালু করেছে দেশটি। একই সময়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী ফিজি বলছে, নভেম্বরের মধ্যে করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ না নিলে সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করায় সেই পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেন।
‘শতভাগ মানবাধিকার ইস্যু’
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার আইনের অধ্যাপক কানস্টানসিন দেতসিয়েরো বলেছেন, ‘মানবাধিকার এবং বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার মধ্যে খুব স্পষ্ট একটি সংযোগ রয়েছে। এটি শতভাগ মানবাধিকার ইস্যু যা গোপনীয়তা এবং শারীরিক অখণ্ডতার অধিকার সম্পর্কিত।’
বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টিকে ‘নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর জন্য কিংবা একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের ওপর যুক্তিযুক্ত অনুপ্রবেশ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আইনজীবীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, করোনাভাইরাস মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী। এ ছাড়া সংক্রমণ রোধে লকডাউনসহ নেওয়া নানা পদক্ষেপ জীবন ও জীবিকাকে বিপর্যস্ত করেছে, বিশ্বজুড়ে সংঘাত বেড়েছে এবং দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন লাখ লাখ মানুষ।
তবে টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতায় সমর্থন জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, বাধ্যতামূলক না করে সরকারগুলোর উচিত এ-সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক তথ্য প্রচারণার পাশাপাশি সবার জন্য টিকা আরও সহজলভ্য করে তোলা।
জোর বা জবরদস্তি নয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যদি ন্যায়সংগতও হয়, তবু নীতিটি অবশ্যই স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ছাড় দিতে হবে, যেমন অ্যালার্জির ক্ষেত্রে। এ নিয়ে জোর বা জবরদস্তি কোনো সমাধান দেবে না।
এ বিষয়ে নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির বারুচ কলেজের আইনের অধ্যাপক ডেবি কামিনার বলেন, ‘এমন দেশগুলোতে টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত, যেখানে হাসপাতাল, নার্সিং হোম এবং স্কুলের মতো জায়গা থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে।’
তবে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার নীতি কাজে আসছে দাবি করে ডেবি কামিনার বলেন, ‘আমি এখানে জোর করে টিকা দেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু আপনি যদি স্বাস্থ্যসেবাকর্মী কিংবা শিক্ষক হন, অন্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হলেও আপনাকে টিকা নিতে হবে। জোরাজুরির বিষয় নয়, এটি সমাজকে নিরাপদ রাখার বিষয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪