Ajker Patrika

পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় পুলিশ দম্পতির ফাঁসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সহকর্মী পুলিশ সদস্যকে পরকীয়ার জেরে হত্যার দায়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক হারুন-অর রশিদ। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন কনস্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কনস্টেবল নাসরিন নেলী। আলাউদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর এলাকায়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে কনস্টেবল আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন নেলীর সঙ্গে সহকর্মী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকায় প্রেমিকা নেলীর ভাড়া বাসাতেই পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামকে খুন করেন নেলী ও তাঁর স্বামী আলাউদ্দিন।

হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত পুলিশ দম্পতি সাইফুল ইসলামের মরদেহ বস্তাবন্দী করে গুম করার চেষ্টা করেন। তবে লাশ গুম করতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। নগরীর টাউন হল মোড়ে পুলিশের তল্লাশির সময় বস্তাবন্দী লাশসহ তাঁরা হাতেনাতে আটক হন।

ঘটনার পর নিহত সাইফুলের মা মোছা. মুলেদা বেগম ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল আলাউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর চকবাজারে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ ব্যবহার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু হাসান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুনেছা আক্তারের নেতৃত্বে র‍্যাব-১০-এর সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মো. জসিমকে দেড় লাখ, মো. আলামিনকে এক লাখ ও বাবুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

র‍্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, জনস্বার্থে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে এবং এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ২ পুলিশ সদস্য

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
পাংশা থানা।
পাংশা থানা।

রাজবাড়ীর পাংশায় আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা বিলপাড়া এলাকায় তাঁরা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় আলম শেখ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন এসআই মো. নজরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আতোয়ার রহমান। তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পাংশা মডেল থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন বলেন, গতকাল পাংশা মডেল থানার এসআই মো. নজরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল চাঁদাবাজি ও হামলা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে যায়। পাট্টা বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের ইটের আঘাতে এসআই মো. নজরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আতোয়ার রহমান আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি আরও বলেন, হামলাকারী একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানা থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দ করা জাটকা ইলিশ মাছ থানা থেকে লুট হয়েছে। এমন ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে আমতলী থানায় এ ঘটনা ঘটে।

১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তালতলী, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার অসাধু জেলেরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে মাছ শিকার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলেদের শিকার করা জাটকা ইলিশ আজ দুপুরে চারটি গাড়িতে আমতলী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় ১ হাজার ৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ নৌবাহিনীর সদস্য ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন জব্দ করেন। জব্দ করা মাছ তাঁরা আমতলী থানায় মজুত রাখেন। আজ বিকেলে ওই মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই মুহূর্তে শতাধিক মানুষ থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে মাছগুলো লুট করে নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুলিশের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সামনে থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট হওয়া খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা প্রশাসন ঠিকমতো বণ্টন করলে এমন হতো না। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাই।’

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, জব্দ করা ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণকালে অপরিচিতি শতাধিক লোকজন এসে মাছ লুট করে নিয়েছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘জব্দ করা অর্ধেক মাছ সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক মানুষ নিয়ে গেছে। আমি ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারিনি।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত জায়গা, সেখান থেকে মাছ লুট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও যদি লুট হয়ে থাকে, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সমন্বয়কের ওপর হামলায় বিএনপি ও যুবদল জড়িত দাবি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় সরকারি অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ বৃহস্পতিবার শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থকেরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, ৪ নভেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত পতাকা স্ট্যান্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে ফজলে রাব্বীর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁরা দাবি করেন, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন রঞ্জু ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান, জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, এনসিপির উপজেলা সমন্বয়কারী শিশির আসাদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, যাঁরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণ তা মেনে নেবে না।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেখানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাঁদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের সরকারি কর্মসূচি থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, সেদিন সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে সরিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাকির হোসেন বলেন, ‘সেদিন লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। ফজলে রাব্বী আমাদের সভাপতি রঞ্জু ভাইয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। আমি শুধু জিজ্ঞেস করি, আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন? এরপর সামান্য হট্টগোল হয়, পরে শান্ত হয়ে যায়। তাঁকে কেউ ধাক্কা দেয়নি। তিনি মুখের ভাষা খারাপ করায় পাশে থাকা কিছু যুবক উত্তেজিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত