Ajker Patrika

থানা থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দ করা জাটকা ইলিশ মাছ থানা থেকে লুট হয়েছে। এমন ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে আমতলী থানায় এ ঘটনা ঘটে।

১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তালতলী, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার অসাধু জেলেরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে মাছ শিকার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলেদের শিকার করা জাটকা ইলিশ আজ দুপুরে চারটি গাড়িতে আমতলী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় ১ হাজার ৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ নৌবাহিনীর সদস্য ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন জব্দ করেন। জব্দ করা মাছ তাঁরা আমতলী থানায় মজুত রাখেন। আজ বিকেলে ওই মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই মুহূর্তে শতাধিক মানুষ থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে মাছগুলো লুট করে নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুলিশের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সামনে থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট হওয়া খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা প্রশাসন ঠিকমতো বণ্টন করলে এমন হতো না। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাই।’

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, জব্দ করা ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণকালে অপরিচিতি শতাধিক লোকজন এসে মাছ লুট করে নিয়েছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘জব্দ করা অর্ধেক মাছ সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক মানুষ নিয়ে গেছে। আমি ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারিনি।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত জায়গা, সেখান থেকে মাছ লুট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও যদি লুট হয়ে থাকে, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...