নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল গত রোববার থেকে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজের জন্য আগামী তিন মাস ট্রেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম রেল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, রেলপথের গেণ্ডরিয়া অংশে তিনটি আলাদা লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। পাশাপাশি ডাবল লেন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলবে। কবে থেকে আবার চালু হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন ব্যবহার করে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে খ্যাতি ছিল। পরে মালবাহী ট্রেন চলাচল না করলেও যাত্রী পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে রেলপথটি। বছর পাঁচেক আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ট্রেন চলত। পরে তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনার আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৬ জোড়া ট্রেন চললেও, করোনার পর তা কমিয়ে ১০ জোড়া করা হয়। এতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে।
এদিকে গতকাল সোমবার সকালেও ট্রেনের পূর্ববর্তী শিডিউলে যাত্রীরা এসেছিলেন স্টেশনে। ট্রেন বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যেতে হয়েছে তাঁদের।
যাত্রীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে দ্রুত ঢাকায় যাতায়াতের জন্য ট্রেনের প্রতি সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি চাকরিজীবীদের নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। যানজট এড়াতে ও স্বল্প ভাড়ার কারণে এর জনপ্রিয়তা ছিল। এই রুটে যাত্রীদের ঢাকায় যেতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ভাড়া গুনতে হতো; কিন্তু বাসে ঢাকায় যেতে যাত্রীদের খরচ হয় ৪৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর মতিঝিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার যে বেতন, তাতে ট্রেনে যাতায়াতের বিকল্প নেই।কমলাপুর স্টেশনে নেমে হেঁটে মতিঝিল যাই। বাড়তি ভাড়া এড়াতে ডেমু ট্রেনে যাতায়াত করি না। এখন বাসে দৈনিক ভাড়াই লাগবে ৯০ টাকা, যা দিয়ে আগে ট্রেনে তিন দিন যাতায়াত করতে পারতাম।’ তিনি আরও বলেন, দেশের আর কোথাও এমন বাড়তি ভাড়া নেই। মাত্র ১৭ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বাসে ৪৫ টাকা ভাড়া নেয়।
এদিকে ট্রেন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী বলেন, ‘ডাবল রেললাইনের কাজ কয়েক বছর ধরে চললেও এর অগ্রগতি আমাদের হতাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ মানুষই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। এমনিতেই করোনার পর ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি করা হয়নি। আমরা বারবার বলেছি, ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে রেলপথ সংস্কারকাজের সময়সীমা তিন মাস না করে, তা যেন কমিয়ে আনা হয়।’
এদিকে ট্রেন বন্ধের পেছনে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ব্যাহত করার চেষ্টা বলে মনে করছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন। তিনি বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের সব বাস ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চালান। মানুষ ট্রেনে স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারত। এখন ট্রেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবেই রেলপথ উন্নয়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু ও ডাবল লেন প্রকল্পের জন্য সাময়িকভাবে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহৎ স্বার্থের জন্য কিছুদিন নারায়ণগঞ্জবাসীকে কষ্ট করতে হবে। তবে এই সংস্কারকাজ ভবিষ্যতে যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ করে দেবে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল গত রোববার থেকে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজের জন্য আগামী তিন মাস ট্রেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম রেল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, রেলপথের গেণ্ডরিয়া অংশে তিনটি আলাদা লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। পাশাপাশি ডাবল লেন প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলবে। কবে থেকে আবার চালু হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন ব্যবহার করে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে খ্যাতি ছিল। পরে মালবাহী ট্রেন চলাচল না করলেও যাত্রী পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে রেলপথটি। বছর পাঁচেক আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ট্রেন চলত। পরে তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনার আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৬ জোড়া ট্রেন চললেও, করোনার পর তা কমিয়ে ১০ জোড়া করা হয়। এতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে।
এদিকে গতকাল সোমবার সকালেও ট্রেনের পূর্ববর্তী শিডিউলে যাত্রীরা এসেছিলেন স্টেশনে। ট্রেন বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যেতে হয়েছে তাঁদের।
যাত্রীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে দ্রুত ঢাকায় যাতায়াতের জন্য ট্রেনের প্রতি সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি চাকরিজীবীদের নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। যানজট এড়াতে ও স্বল্প ভাড়ার কারণে এর জনপ্রিয়তা ছিল। এই রুটে যাত্রীদের ঢাকায় যেতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ভাড়া গুনতে হতো; কিন্তু বাসে ঢাকায় যেতে যাত্রীদের খরচ হয় ৪৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর মতিঝিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার যে বেতন, তাতে ট্রেনে যাতায়াতের বিকল্প নেই।কমলাপুর স্টেশনে নেমে হেঁটে মতিঝিল যাই। বাড়তি ভাড়া এড়াতে ডেমু ট্রেনে যাতায়াত করি না। এখন বাসে দৈনিক ভাড়াই লাগবে ৯০ টাকা, যা দিয়ে আগে ট্রেনে তিন দিন যাতায়াত করতে পারতাম।’ তিনি আরও বলেন, দেশের আর কোথাও এমন বাড়তি ভাড়া নেই। মাত্র ১৭ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বাসে ৪৫ টাকা ভাড়া নেয়।
এদিকে ট্রেন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী বলেন, ‘ডাবল রেললাইনের কাজ কয়েক বছর ধরে চললেও এর অগ্রগতি আমাদের হতাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ মানুষই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। এমনিতেই করোনার পর ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি করা হয়নি। আমরা বারবার বলেছি, ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে রেলপথ সংস্কারকাজের সময়সীমা তিন মাস না করে, তা যেন কমিয়ে আনা হয়।’
এদিকে ট্রেন বন্ধের পেছনে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ব্যাহত করার চেষ্টা বলে মনে করছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন। তিনি বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের সব বাস ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চালান। মানুষ ট্রেনে স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারত। এখন ট্রেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবেই রেলপথ উন্নয়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু ও ডাবল লেন প্রকল্পের জন্য সাময়িকভাবে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহৎ স্বার্থের জন্য কিছুদিন নারায়ণগঞ্জবাসীকে কষ্ট করতে হবে। তবে এই সংস্কারকাজ ভবিষ্যতে যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ করে দেবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪