ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন কম হয়েছে। ফরিদপুর জেলায় পেঁয়াজের ১৭ হাজার মেট্রিক টন চাহিদা রয়েছে। বাকি পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলার কানাইপুর বাজারসহ কয়েকটি পেঁয়াজের বাজারের গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে চাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজচাষি আশুতোষ মালো বলেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদে খরচ একটু বেশি হয়েছে। মণপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। চাষি পর্যায়ে তাঁরা মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দর পেলে বেশি লাভ হতো।
কানাইপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজচাষি শাহজাহান মিয়া বলেন, শুক্রবার ও মঙ্গলবার এ বাজারে হাট বসে। গত ১৫ দিনে চাষিরা মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দাম পাচ্ছেন। যা আগে হাজারের নিচে ছিল।
তিনি আরও বলেন, জেলার পেঁয়াজের বাজার হিসেবে বেশি পরিচিত বাইলে বাজার, রামকান্তপুর বাজার, ঠনঠনিয়া বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, ফকিরের বাজার, নালার মোড় বাজার, কাদিরদী বাজার, সাতৈর বাজার। এই বাজারগুলোতে চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ নিয়ে আসেন।
কানাইপুর বাজারের আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বিলাল মাতুব্বর বলেন, তাঁরা চাষিদের কাছ থেকে যে দরে পেঁয়াজ কিনছেন তার থেকে সামান্য বেশি দরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করছেন। তিনি দাবি করেন, চাষিদের পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই, যে কারণেই দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেন তাঁরা।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পেঁয়াজচাষি ফকির বেলায়েত হোসেন বলেন, এই অঞ্চলের চাষিরা মূলত লাল তীর কিং নামের পেঁয়াজের আবাদ বেশি করেন। তবে এই পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। ফরিদপুর অঞ্চলে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি তাঁদের।
তিনি বলেন, ৫২ শতাংশের বিঘায় ভালো ফলন হলে ১শ ২০ থেকে ৩০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হয়রত আলী বলেন, এই মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। জেলায় সরকারি হিসাবে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছর উৎপাদন ৩৮ হাজার মেট্রিকটন কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারের যে দর যাচ্ছে তাতে চাষিরা মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ পাচ্ছেন।
ফরিদপুরের মাটি পেঁয়াজ আবাদে উপযোগী, তাই দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে এই জেলা। ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। নয়টি উপজেলার মধ্যে নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুরে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়।
ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন কম হয়েছে। ফরিদপুর জেলায় পেঁয়াজের ১৭ হাজার মেট্রিক টন চাহিদা রয়েছে। বাকি পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলার কানাইপুর বাজারসহ কয়েকটি পেঁয়াজের বাজারের গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে চাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজচাষি আশুতোষ মালো বলেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদে খরচ একটু বেশি হয়েছে। মণপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। চাষি পর্যায়ে তাঁরা মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দর পেলে বেশি লাভ হতো।
কানাইপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজচাষি শাহজাহান মিয়া বলেন, শুক্রবার ও মঙ্গলবার এ বাজারে হাট বসে। গত ১৫ দিনে চাষিরা মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দাম পাচ্ছেন। যা আগে হাজারের নিচে ছিল।
তিনি আরও বলেন, জেলার পেঁয়াজের বাজার হিসেবে বেশি পরিচিত বাইলে বাজার, রামকান্তপুর বাজার, ঠনঠনিয়া বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, ফকিরের বাজার, নালার মোড় বাজার, কাদিরদী বাজার, সাতৈর বাজার। এই বাজারগুলোতে চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ নিয়ে আসেন।
কানাইপুর বাজারের আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বিলাল মাতুব্বর বলেন, তাঁরা চাষিদের কাছ থেকে যে দরে পেঁয়াজ কিনছেন তার থেকে সামান্য বেশি দরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করছেন। তিনি দাবি করেন, চাষিদের পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই, যে কারণেই দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেন তাঁরা।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পেঁয়াজচাষি ফকির বেলায়েত হোসেন বলেন, এই অঞ্চলের চাষিরা মূলত লাল তীর কিং নামের পেঁয়াজের আবাদ বেশি করেন। তবে এই পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। ফরিদপুর অঞ্চলে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি তাঁদের।
তিনি বলেন, ৫২ শতাংশের বিঘায় ভালো ফলন হলে ১শ ২০ থেকে ৩০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হয়রত আলী বলেন, এই মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। জেলায় সরকারি হিসাবে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছর উৎপাদন ৩৮ হাজার মেট্রিকটন কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারের যে দর যাচ্ছে তাতে চাষিরা মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ পাচ্ছেন।
ফরিদপুরের মাটি পেঁয়াজ আবাদে উপযোগী, তাই দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে এই জেলা। ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। নয়টি উপজেলার মধ্যে নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুরে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১০ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১০ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১০ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫