মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরে ক্ষতিপূরণের চেক পাওয়ার আশায় প্রতিদিনই উচ্ছেদ করা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে অপেক্ষা করেন বীনা রানী দেবনাথ। চেক হাতে পেলেই এই বৃদ্ধা ধ্বংসস্তূপ ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা বীনার বসতবাড়ি ২৬ জানুয়ারি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে অপসারণ করা হয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে পাননি এই বৃদ্ধা। এ কারণেই তিনি ধ্বংসস্তূপে অবস্থান করছেন। রাত হলে চলে যান মিঠাপুকুর বাজারের একটি পান-সুপারির দোকানে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরে উচ্ছেদ করা বাড়ির জায়গায় দেখা হয় বীনার সঙ্গে। তিনি জানান, দেশ স্বাধীনের আগে থেকে তাঁরা বন্দোবস্ত পাওয়া এই খাস জমিতে বাস করে আসছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর এক ছেলেকে নিয়ে বাড়িসংলগ্ন স্থানে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন। মহাসড়ক চার লেন করার জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় তাঁর বসতবাড়ি ও দোকানের জায়গাও অধিগ্রহণ করা হয়।
অধিগ্রহণ নীতিমালা অনুযায়ী, জমির বাজার মূল্যের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। সঙ্গে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ। কিন্তু সেই টাকা না দিয়েই ভেঙে ফেলা হয়েছে বীনার বসতবাড়ি ও দোকান। তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা পেলে দুই শতক জমি কিনে ঘর উঠিয়ে বাকি জীবন সেখানে কাটাতে চান।
বীনার মতো অনেকে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। উপজেলা পরিষদের শাপলা মার্কেট ও মিঠাপুকুর কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিপূরণের অর্থ না পেয়ে সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের কাছে প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা অধিগ্রহণ করা জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অধিগ্রহণ শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। অধিগ্রহণ নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কারণে জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়া না গেলেও অবকাঠামো এবং ব্যবসায়িক ক্ষতি পাওয়ার কথা।
উপজেলায় এর আগে মহাসড়কের জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা অপসারণে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ করা জমির দ্বিতীয় দফা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেছিলেন সরকারি জমি ও জমির ওপর থাকা স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তবে সড়ক বিভাগ সংস্থার জমির ওপর গড়ে তোলা দোকানপাট অপসারণ করে সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
মহাসড়ক যে প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হচ্ছে সেই সাউথ এশিয়া সাব রিজওনাল ইকোনমিক কো অপারেশনের (সাসেক) একজন কর্মকর্তা জানান, সব ধরনের ক্ষতিপূরণের টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শুরু করা হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো সময় অনুযায়ী ২০২৪ সালে কাজ শেষ হতে পারে বলে আশাবাদী সাসেকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মিঠাপুকুরে ক্ষতিপূরণের চেক পাওয়ার আশায় প্রতিদিনই উচ্ছেদ করা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে অপেক্ষা করেন বীনা রানী দেবনাথ। চেক হাতে পেলেই এই বৃদ্ধা ধ্বংসস্তূপ ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা বীনার বসতবাড়ি ২৬ জানুয়ারি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে অপসারণ করা হয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে পাননি এই বৃদ্ধা। এ কারণেই তিনি ধ্বংসস্তূপে অবস্থান করছেন। রাত হলে চলে যান মিঠাপুকুর বাজারের একটি পান-সুপারির দোকানে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরে উচ্ছেদ করা বাড়ির জায়গায় দেখা হয় বীনার সঙ্গে। তিনি জানান, দেশ স্বাধীনের আগে থেকে তাঁরা বন্দোবস্ত পাওয়া এই খাস জমিতে বাস করে আসছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর এক ছেলেকে নিয়ে বাড়িসংলগ্ন স্থানে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন। মহাসড়ক চার লেন করার জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় তাঁর বসতবাড়ি ও দোকানের জায়গাও অধিগ্রহণ করা হয়।
অধিগ্রহণ নীতিমালা অনুযায়ী, জমির বাজার মূল্যের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। সঙ্গে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ। কিন্তু সেই টাকা না দিয়েই ভেঙে ফেলা হয়েছে বীনার বসতবাড়ি ও দোকান। তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা পেলে দুই শতক জমি কিনে ঘর উঠিয়ে বাকি জীবন সেখানে কাটাতে চান।
বীনার মতো অনেকে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। উপজেলা পরিষদের শাপলা মার্কেট ও মিঠাপুকুর কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিপূরণের অর্থ না পেয়ে সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের কাছে প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা অধিগ্রহণ করা জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অধিগ্রহণ শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। অধিগ্রহণ নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কারণে জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়া না গেলেও অবকাঠামো এবং ব্যবসায়িক ক্ষতি পাওয়ার কথা।
উপজেলায় এর আগে মহাসড়কের জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা অপসারণে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ করা জমির দ্বিতীয় দফা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেছিলেন সরকারি জমি ও জমির ওপর থাকা স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তবে সড়ক বিভাগ সংস্থার জমির ওপর গড়ে তোলা দোকানপাট অপসারণ করে সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
মহাসড়ক যে প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হচ্ছে সেই সাউথ এশিয়া সাব রিজওনাল ইকোনমিক কো অপারেশনের (সাসেক) একজন কর্মকর্তা জানান, সব ধরনের ক্ষতিপূরণের টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শুরু করা হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো সময় অনুযায়ী ২০২৪ সালে কাজ শেষ হতে পারে বলে আশাবাদী সাসেকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪