আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দোকানে দোকানে ঘুরে ইউরিয়া সার না পেয়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন তাঁদের দোকানে ইউরিয়া সার নেই। ডিলাররা বলছেন, বরাদ্দ পাওয়া সার দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, উপজেলায় সারের সংকট নেই। এদিকে, শিবগঞ্জে সার পাওয়া গেলেও তা কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে কৃষকদের।
গত কয়েক দিন ধরে সারসংকট দেখা গেছে সারিয়াকান্দিতে। উপজেলার হাসনাপাড়া, নিজবলাইল, নারচী, হাটফুলবাড়ী, রামচন্দ্রপুর, ছাগলধরা, জোড়গাছা, কড়িতলা, কুতুবপুর, মথুরাপাড়া, শাহজালাল, শোনপঁচাসহ কয়েকটি বাজারে রয়েছে শতাধিক খুচরা বিক্রেতাদের সারের দোকান। এসব দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কোথাও ইউরিয়া সার নেই।
গত কয়েকদিন ধরে সারসংকট চলছে সারিয়াকান্দিতে। শিবগঞ্জে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার। নির্ধারিত ডিলারদের থেকে কৃষকদের সার কেনার পরামর্শ।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউপির ইন্দুরমারা চরের কৃষক রিপন মিয়া বলেন, ‘আমি প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের কাতার ছিটিয়েছি। জমিতে এখন ইউরিয়া সার দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কয়েক দিন ধরে দোকানে দোকানে ঘুরছি কোনো সার পাচ্ছি না।’
উপজেলার কুতুবপুর ইউপির কৃষক রাজু মিয়া বলেন, ‘এবার ১ মণ ধান উৎপাদন করতে অনেক খরচ হবে। একদিকে চড়া দামে কিষাণদের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য শতকরা ২৫ আঁটি ধান শ্যালো মেশিনচালকদের দিতে হবে। এখন আবার ইউরিয়া সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফসল নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।’
উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বেশ কয়েকবার উপজেলার ডিলারের কাছে সার ক্রয় করতে গিয়েছিলাম। কোনো ইউরিয়া সার পাইনি। কৃষকেরা সার কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলার সার ডিলার শফিকুল ইসলাম জানান, এক মাসে যে সার বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল তা দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। তবে অচিরেই সার চলে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। দাম সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা মনে করছেন সার আর পাওয়া যাবে না। তাই তাঁরা একবারে বেশি করে সার কিনেছেন। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সার পাওয়া যাবে।
এদিকে, বগুড়ার শিবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার। পটাশ ও ইউরিয়াসহ প্রায় সব ধরনের সারই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
উপজেলার কিচক, দেউলী মোকামতলা, রায়নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় প্রতি ৫০ কেজি বস্তা পটাশ (এমওপি) সার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ১০০ টাকা বস্তার টিএসপি ১ হাজার ৮০০ ও ৮০০ টাকা বস্তার ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পাকুড়তলা বন্দরের কীটনাশক ব্যবসায়ী ও খুচরা সার বিক্রেতা মিনহাজ বলেন, ‘আমি মোকামতলা বন্দরের মামুন ট্রেডার্সে পাইকারি দামে পটাশ কিনতে গেলে তাঁরা বলেন পটাশ নেই। তবে বেশি টাকা দিলে ব্যবস্থা করা যাবে। তখন বাধ্য হয়ে দেড় হাজার টাকা বস্তা পটাশ সার কিনেছি।’
তবে মোকামতলা বন্দরের মামুন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে পটাশ সার নেই। আমি পটাশ বিক্রি করিনি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের সার ডিলার ও মোকামতলা ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান রায়হান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করছি। আমাদের কাছে পটাশ সারের ঘাটতি নেই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, ‘উপজেলায় বর্তমানে পটাশ সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে। খুচরা বিক্রেতারা বাইরের ডিলারদের থেকে সার কিনে হয়তো চড়া দামে বিক্রি করছেন। সেজন্য আমরা ডিলারের কাছ থেকে সার কিনতে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। নির্ধারিত ডিলার যদি সারের দাম বেশি নিয়ে থাকেন, এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দোকানে দোকানে ঘুরে ইউরিয়া সার না পেয়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন তাঁদের দোকানে ইউরিয়া সার নেই। ডিলাররা বলছেন, বরাদ্দ পাওয়া সার দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, উপজেলায় সারের সংকট নেই। এদিকে, শিবগঞ্জে সার পাওয়া গেলেও তা কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে কৃষকদের।
গত কয়েক দিন ধরে সারসংকট দেখা গেছে সারিয়াকান্দিতে। উপজেলার হাসনাপাড়া, নিজবলাইল, নারচী, হাটফুলবাড়ী, রামচন্দ্রপুর, ছাগলধরা, জোড়গাছা, কড়িতলা, কুতুবপুর, মথুরাপাড়া, শাহজালাল, শোনপঁচাসহ কয়েকটি বাজারে রয়েছে শতাধিক খুচরা বিক্রেতাদের সারের দোকান। এসব দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কোথাও ইউরিয়া সার নেই।
গত কয়েকদিন ধরে সারসংকট চলছে সারিয়াকান্দিতে। শিবগঞ্জে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার। নির্ধারিত ডিলারদের থেকে কৃষকদের সার কেনার পরামর্শ।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউপির ইন্দুরমারা চরের কৃষক রিপন মিয়া বলেন, ‘আমি প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের কাতার ছিটিয়েছি। জমিতে এখন ইউরিয়া সার দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কয়েক দিন ধরে দোকানে দোকানে ঘুরছি কোনো সার পাচ্ছি না।’
উপজেলার কুতুবপুর ইউপির কৃষক রাজু মিয়া বলেন, ‘এবার ১ মণ ধান উৎপাদন করতে অনেক খরচ হবে। একদিকে চড়া দামে কিষাণদের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য শতকরা ২৫ আঁটি ধান শ্যালো মেশিনচালকদের দিতে হবে। এখন আবার ইউরিয়া সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফসল নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।’
উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বেশ কয়েকবার উপজেলার ডিলারের কাছে সার ক্রয় করতে গিয়েছিলাম। কোনো ইউরিয়া সার পাইনি। কৃষকেরা সার কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলার সার ডিলার শফিকুল ইসলাম জানান, এক মাসে যে সার বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল তা দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। তবে অচিরেই সার চলে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। দাম সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা মনে করছেন সার আর পাওয়া যাবে না। তাই তাঁরা একবারে বেশি করে সার কিনেছেন। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সার পাওয়া যাবে।
এদিকে, বগুড়ার শিবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার। পটাশ ও ইউরিয়াসহ প্রায় সব ধরনের সারই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
উপজেলার কিচক, দেউলী মোকামতলা, রায়নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় প্রতি ৫০ কেজি বস্তা পটাশ (এমওপি) সার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ১০০ টাকা বস্তার টিএসপি ১ হাজার ৮০০ ও ৮০০ টাকা বস্তার ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পাকুড়তলা বন্দরের কীটনাশক ব্যবসায়ী ও খুচরা সার বিক্রেতা মিনহাজ বলেন, ‘আমি মোকামতলা বন্দরের মামুন ট্রেডার্সে পাইকারি দামে পটাশ কিনতে গেলে তাঁরা বলেন পটাশ নেই। তবে বেশি টাকা দিলে ব্যবস্থা করা যাবে। তখন বাধ্য হয়ে দেড় হাজার টাকা বস্তা পটাশ সার কিনেছি।’
তবে মোকামতলা বন্দরের মামুন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে পটাশ সার নেই। আমি পটাশ বিক্রি করিনি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের সার ডিলার ও মোকামতলা ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান রায়হান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করছি। আমাদের কাছে পটাশ সারের ঘাটতি নেই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, ‘উপজেলায় বর্তমানে পটাশ সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে। খুচরা বিক্রেতারা বাইরের ডিলারদের থেকে সার কিনে হয়তো চড়া দামে বিক্রি করছেন। সেজন্য আমরা ডিলারের কাছ থেকে সার কিনতে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। নির্ধারিত ডিলার যদি সারের দাম বেশি নিয়ে থাকেন, এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪