রিমন রহমান, রাজশাহী
কোনো মহা আয়োজন নেই, বিষয়গুলো খুবই সাদামাটা। গ্রামের বখাটে তরুণ-তরুণীরা যা যা করেন, তেমনই কর্মকাণ্ড। অথচ এসব কর্মকাণ্ড দেখিয়েই ইউটিউব চ্যানেলে এক কোটির বেশি গ্রাহক জুটিয়েছেন নওগাঁর নিয়ামতপুরের এক তরুণ। তাঁর চ্যানেল এখন ব্যক্তিপর্যায়ে দেশে সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল।
মতিউর রহমান মিঠুন নামে এই তরুণের চার বছর আগেও ভালো একটি স্মার্টফোন ছিল না। বন্ধুর স্মার্টফোন ধার করে ভিডিও করতেন। এডিটও করতেন অন্যের স্মার্টফোনে। সেই মিঠুন এখন পুরোদস্তুর পেশাদার নির্মাতা। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘মহা ফান টিভি’। সেখান থেকে মাসে আয় লাখ লাখ টাকা। ২০টি পরিবার চলে তাঁর চ্যানেলের আয়ে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কালাইডাঙ্গা গ্রামের এই তরুণ ইতিমধ্যে দেশের সব নামীদামি ইউটিউবারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তাঁর চ্যানেলে গ্রাহক (সাবস্ক্রাইবার) ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ।
২০১৬ সালে নিয়ামতপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করে ৫-৭ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু পাননি। এরপর সিদ্ধান্ত নেন ইউটিউবে ভিডিও দেবেন। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে স্থির করেন মজার মজার ভিডিও বানাবেন। যাতে কোনো কথা থাকবে না, শুধু অঙ্গভঙ্গি দেখেই মানুষ মজা পাবে। শুরু হলো সেই কাজ।
মিঠুন বলেন, ধীরে ধীরে দল বড় হতে থাকল। এখন দলে ২০ জন কাজ করেন। এদের একজন হলেন মোহাম্মদ শামীম। ভালো রেজুলেশনের ভিডিও করার জন্য শুরুতে এই শামীমের স্মার্টফোন ধার নিয়েছিলেন মিঠুন। সেই ফোনে চলত ভিডিও ধারণ এবং এডিটিংয়ের কাজ। মিঠুনসহ অভিনয় করতেন পাঁচজন। রাত জেগে মিঠুন এডিটিং শিখতেন ইউটিউবেরই ভিডিও দেখে দেখে। নিজের চ্যানেলে কিছু ভিডিও দেওয়ার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইউটিউব থেকে প্রথমবার আট হাজার টাকা আয় করেন। এরপরই ভিডিও বানানোর ঝোঁক বেড়ে যায়। কেনেন একটা পুরোনো ল্যাপটপ। দলে লোকের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পরের মাসে আয় হয় ৪০ হাজার টাকা। এবার দুই তরুণীকেও দলে নেন। শুরুতে শুধু ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানান। পরে দেখলেন, তাঁর বানানো ভিডিও বিভিন্ন ফেসবুক পেজে আপলোড হচ্ছে। অন্যরা সেখান থেকে আয় করছে। এরপর ফেসবুকে পেজ খোলেন। এখন দুটো থেকেই আয় হচ্ছে।
মিঠুন জানালেন, প্রতি মাসে গড়ে পাঁচটি ভিডিও আপলোড করেন। পাঁচ-ছয় মিনিটের এসব ভিডিওতে থাকে একদল তরুণ ও দুই তরুণীর মজার সব কার্যকলাপ। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে-ঘাটে এসব ভিডিও ধারণ করা হয়। মিঠুনই এসব ভিডিওর ‘পরিচালক’। মিঠুনের দলে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা মাসিক বেতনভুক্ত। এদের বাড়িভাড়া, খাবার, চিকিৎসা, যাতায়াত—সব খরচই দেন মিঠুন।
মিঠুনের ভিডিওতে নানা জিনিস ভেঙে চুরমার করতে দেখা যায়। মাঠে-ঘাটে এসব করতে দেখে গ্রামের লোকেরা একসময় তাঁকে পাগল বলতেন। মিঠুনের কথায়, গ্রামবাসী তাঁকে বখাটেও বলেছিলেন। সে কারণে দূরে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শুটিং করতেন। এখন গ্রামের সবাই তাঁকে সহযোগিতাও করেন, গর্বও করেন।
মিঠুন বললেন, মাস্তি করেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেলের স্বপ্ন দেখেন তিনি।
কোনো মহা আয়োজন নেই, বিষয়গুলো খুবই সাদামাটা। গ্রামের বখাটে তরুণ-তরুণীরা যা যা করেন, তেমনই কর্মকাণ্ড। অথচ এসব কর্মকাণ্ড দেখিয়েই ইউটিউব চ্যানেলে এক কোটির বেশি গ্রাহক জুটিয়েছেন নওগাঁর নিয়ামতপুরের এক তরুণ। তাঁর চ্যানেল এখন ব্যক্তিপর্যায়ে দেশে সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল।
মতিউর রহমান মিঠুন নামে এই তরুণের চার বছর আগেও ভালো একটি স্মার্টফোন ছিল না। বন্ধুর স্মার্টফোন ধার করে ভিডিও করতেন। এডিটও করতেন অন্যের স্মার্টফোনে। সেই মিঠুন এখন পুরোদস্তুর পেশাদার নির্মাতা। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘মহা ফান টিভি’। সেখান থেকে মাসে আয় লাখ লাখ টাকা। ২০টি পরিবার চলে তাঁর চ্যানেলের আয়ে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কালাইডাঙ্গা গ্রামের এই তরুণ ইতিমধ্যে দেশের সব নামীদামি ইউটিউবারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তাঁর চ্যানেলে গ্রাহক (সাবস্ক্রাইবার) ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ।
২০১৬ সালে নিয়ামতপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করে ৫-৭ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু পাননি। এরপর সিদ্ধান্ত নেন ইউটিউবে ভিডিও দেবেন। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে স্থির করেন মজার মজার ভিডিও বানাবেন। যাতে কোনো কথা থাকবে না, শুধু অঙ্গভঙ্গি দেখেই মানুষ মজা পাবে। শুরু হলো সেই কাজ।
মিঠুন বলেন, ধীরে ধীরে দল বড় হতে থাকল। এখন দলে ২০ জন কাজ করেন। এদের একজন হলেন মোহাম্মদ শামীম। ভালো রেজুলেশনের ভিডিও করার জন্য শুরুতে এই শামীমের স্মার্টফোন ধার নিয়েছিলেন মিঠুন। সেই ফোনে চলত ভিডিও ধারণ এবং এডিটিংয়ের কাজ। মিঠুনসহ অভিনয় করতেন পাঁচজন। রাত জেগে মিঠুন এডিটিং শিখতেন ইউটিউবেরই ভিডিও দেখে দেখে। নিজের চ্যানেলে কিছু ভিডিও দেওয়ার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইউটিউব থেকে প্রথমবার আট হাজার টাকা আয় করেন। এরপরই ভিডিও বানানোর ঝোঁক বেড়ে যায়। কেনেন একটা পুরোনো ল্যাপটপ। দলে লোকের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পরের মাসে আয় হয় ৪০ হাজার টাকা। এবার দুই তরুণীকেও দলে নেন। শুরুতে শুধু ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানান। পরে দেখলেন, তাঁর বানানো ভিডিও বিভিন্ন ফেসবুক পেজে আপলোড হচ্ছে। অন্যরা সেখান থেকে আয় করছে। এরপর ফেসবুকে পেজ খোলেন। এখন দুটো থেকেই আয় হচ্ছে।
মিঠুন জানালেন, প্রতি মাসে গড়ে পাঁচটি ভিডিও আপলোড করেন। পাঁচ-ছয় মিনিটের এসব ভিডিওতে থাকে একদল তরুণ ও দুই তরুণীর মজার সব কার্যকলাপ। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে-ঘাটে এসব ভিডিও ধারণ করা হয়। মিঠুনই এসব ভিডিওর ‘পরিচালক’। মিঠুনের দলে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা মাসিক বেতনভুক্ত। এদের বাড়িভাড়া, খাবার, চিকিৎসা, যাতায়াত—সব খরচই দেন মিঠুন।
মিঠুনের ভিডিওতে নানা জিনিস ভেঙে চুরমার করতে দেখা যায়। মাঠে-ঘাটে এসব করতে দেখে গ্রামের লোকেরা একসময় তাঁকে পাগল বলতেন। মিঠুনের কথায়, গ্রামবাসী তাঁকে বখাটেও বলেছিলেন। সে কারণে দূরে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শুটিং করতেন। এখন গ্রামের সবাই তাঁকে সহযোগিতাও করেন, গর্বও করেন।
মিঠুন বললেন, মাস্তি করেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেলের স্বপ্ন দেখেন তিনি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২৩ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫