নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলাপি ঋণ কম দেখাতে প্রণোদনাসহ সব ঋণের কিস্তি আদায়ে শিথিলের পক্ষে ব্যাংকাররা। তাঁরা মনে করেন, কিস্তি শিথিল করা হলে ঋণ খেলাপি হবে না। তা ছাড়া, বড়রা খেলাপি হলে ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। তখন অর্থ ফেরত পাওয়াটা জটিল হয়ে পড়ে এবং তা সময়সাপেক্ষ বিষয়ে পরিণত হয়। আদালতে গেলে ঋণগ্রহীতারা কিস্তি বন্ধ করে দেন। এতে ব্যাংক অর্থসংকটে পড়ে। গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী কিস্তি আদায়ে শিথিলতার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে এসব বিষয় নিয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরাও এ তথ্য জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের ব্যবসাই হলো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা। আর বড় গ্রাহকেরা ব্যাংকের জন্য বেশি ঝুঁকির। তবে এটিও মনে রাখতে হবে যে বড় গ্রাহকদের কাছ থেকেই ব্যাংকের মুনাফার বড় একটি অংশ অর্জন হয়।’
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ করে কিছু ঋণ পুনঃ তফসিল করেছিল। গ্রাহকেরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা করোনায় তা পারেননি। এখন ওইসব ঋণে সুবিধা প্রদান করা না হলে তা বিরুপমানে শ্রেণীকৃত হবে। এসব ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সুযোগ প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, অনেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করেননি। তাঁদের জন্য বিশেষ সুযোগ রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত কামনা করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ মুহূর্তে ব্যাংকের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো শীর্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণের অর্থ আদায় করা। শীর্ষ তিন গ্রাহক খেলাপি হয়ে পড়লে ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা (সিআরআর) হারাবে ১৬টি ব্যাংক। দেশে এমনও ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ৩০-৩৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে। এমনকি ১০০ প্রতিষ্ঠানের হাতেই ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ কেন্দ্রীভূত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, অনেক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় গ্রাহকদের ঋণ নিয়মিত রাখার স্বার্থে তদবির করেন। তাঁরা ঋণ নিয়মিত দেখানোর জন্য নীতিনৈতিকতার তোয়াক্কা না করেই গ্রাহকদের অবারিত সুযোগ দেন। নতুন ঋণ দিয়ে পুরোনো ঋণের সুদ আদায় দেখান।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় আমানত রাখা গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ। বিপুল সংখ্যার এ গ্রাহক ব্যাংকগুলোতে মোট ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকার আমানত রেখেছেন। এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়া হিসাবের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় গ্রাহকেরা দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় ঝুঁকি। পর্যাপ্ত জামানত নিয়ে নীতিনৈতিকতার মধ্যে থেকে বড় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়া উচিত। বড় একজন গ্রাহক খেলাপি হলে ব্যাংকের যে ঝুঁকি তৈরি হয়, ছোট ১০০ জন গ্রাহক খেলাপি হলেও সে ঝুঁকি তৈরি হয় না।’
খেলাপি ঋণ কম দেখাতে প্রণোদনাসহ সব ঋণের কিস্তি আদায়ে শিথিলের পক্ষে ব্যাংকাররা। তাঁরা মনে করেন, কিস্তি শিথিল করা হলে ঋণ খেলাপি হবে না। তা ছাড়া, বড়রা খেলাপি হলে ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। তখন অর্থ ফেরত পাওয়াটা জটিল হয়ে পড়ে এবং তা সময়সাপেক্ষ বিষয়ে পরিণত হয়। আদালতে গেলে ঋণগ্রহীতারা কিস্তি বন্ধ করে দেন। এতে ব্যাংক অর্থসংকটে পড়ে। গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী কিস্তি আদায়ে শিথিলতার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে এসব বিষয় নিয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরাও এ তথ্য জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের ব্যবসাই হলো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা। আর বড় গ্রাহকেরা ব্যাংকের জন্য বেশি ঝুঁকির। তবে এটিও মনে রাখতে হবে যে বড় গ্রাহকদের কাছ থেকেই ব্যাংকের মুনাফার বড় একটি অংশ অর্জন হয়।’
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ করে কিছু ঋণ পুনঃ তফসিল করেছিল। গ্রাহকেরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা করোনায় তা পারেননি। এখন ওইসব ঋণে সুবিধা প্রদান করা না হলে তা বিরুপমানে শ্রেণীকৃত হবে। এসব ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সুযোগ প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, অনেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করেননি। তাঁদের জন্য বিশেষ সুযোগ রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত কামনা করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ মুহূর্তে ব্যাংকের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো শীর্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণের অর্থ আদায় করা। শীর্ষ তিন গ্রাহক খেলাপি হয়ে পড়লে ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা (সিআরআর) হারাবে ১৬টি ব্যাংক। দেশে এমনও ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ৩০-৩৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে। এমনকি ১০০ প্রতিষ্ঠানের হাতেই ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ কেন্দ্রীভূত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, অনেক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় গ্রাহকদের ঋণ নিয়মিত রাখার স্বার্থে তদবির করেন। তাঁরা ঋণ নিয়মিত দেখানোর জন্য নীতিনৈতিকতার তোয়াক্কা না করেই গ্রাহকদের অবারিত সুযোগ দেন। নতুন ঋণ দিয়ে পুরোনো ঋণের সুদ আদায় দেখান।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় আমানত রাখা গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ। বিপুল সংখ্যার এ গ্রাহক ব্যাংকগুলোতে মোট ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকার আমানত রেখেছেন। এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়া হিসাবের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় গ্রাহকেরা দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় ঝুঁকি। পর্যাপ্ত জামানত নিয়ে নীতিনৈতিকতার মধ্যে থেকে বড় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়া উচিত। বড় একজন গ্রাহক খেলাপি হলে ব্যাংকের যে ঝুঁকি তৈরি হয়, ছোট ১০০ জন গ্রাহক খেলাপি হলেও সে ঝুঁকি তৈরি হয় না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪