সম্পাদকীয়
ঘটনাটি ঘটেছে ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগে এই গৃহবধূকে গ্রাম্য সালিসে বিচার করা হয়। বিচারে তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ৮২টি বেত্রাঘাত এবং ৮০টি পাথর নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নারীদের নির্যাতন করে একশ্রেণির পুরুষ খুবই আনন্দ পায়। এই ঘটনাতে তারই আলামত দেখা যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের নানা পথ আবিষ্কার করেছে ভ্রষ্ট পুরুষের দল। একসময় ফতোয়ার শিকার হয়ে নির্যাতন ভোগ করেছেন নারীরা। এই মুহূর্তে আমরা নুরজাহানের কথা বলতে পারি। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অপরাধে যিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ফতোয়াবাজেরা তাঁকে ১০১ বার পাথর নিক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাথরের আঘাত সহ্য করতে পারলেও নিজের অপমান মেনে নিতে পারেননি তিনি। বিষপানে আত্মহত্যা করেন ২২ বছরের ওই তরুণী। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছাতকছড়া গ্রামে ঘটেছিল মর্মান্তিক এই ঘটনা। এরপর ২০১১ সালে রংপুরের বদরগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে দুই গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়েছিল, সালিসের অপমান সইতে না পেরে রেললাইনে শিশুকে নিয়ে মায়ের আত্মহত্যার কথাও অনেকের মনে পড়ে যাবে। দোররার আঘাতে কিশোরী হেনার মৃত্যুও নাড়া দিয়েছিল সেই সময় সারা দেশকে।
নুরজাহানের সেই মর্মান্তিক পরিণতির পর ২০১০ সালের ৮ জুলাই হাইকোর্ট একটি রায়ে ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ফতোয়া নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ফতোয়ার ভয়াবহতা কমলেও নারী নির্যাতনের অন্য পথগুলো তো বন্ধ হয়নি। নারীর ভাগ্য আজও রচনা করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষেরা।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে যে সালিস হলো, তাতে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এই গৃহবধূর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হলো, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কি তাঁদের ছিল? গ্রামের মাথা হয়ে তাঁরা যদি মনে করে থাকেন যে যা খুশি তা করতে পারবেন, তাহলে তো অরাজকতারই বিকাশ ঘটবে। নিজ গ্রামের একটি পরিবারের একজন নারীর সঙ্গে এই আচরণ করা তো ধৃষ্টতা। এখনো যদি এ রকম আচরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে তো বলতেই হবে, এই গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। শিক্ষার অর্থ এরা জানে না।
অভিযুক্ত গৃহবধূ এই সালিসের পর দমে যাননি। অপমানে মুখ না ঢেকে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। সালিসকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এটা কিন্তু একটা অগ্রগতি। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সূচক। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। তিনি সত্যিই বিচার পাবেন তো? যে অপমান তাঁকে করা হয়েছে, তাতে বাড়িতে, পাড়ায়, সমাজে, গ্রামে তিনি তাঁর সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে টিকে থাকতে পারবেন তো? আর এই দুর্বৃত্তরা, যারা সমাজের মাথা সেজে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তাদের শাস্তি হবে তো?
ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নইলে এ ধরনের অনৈতিকতা বাড়তেই থাকবে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগে এই গৃহবধূকে গ্রাম্য সালিসে বিচার করা হয়। বিচারে তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ৮২টি বেত্রাঘাত এবং ৮০টি পাথর নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নারীদের নির্যাতন করে একশ্রেণির পুরুষ খুবই আনন্দ পায়। এই ঘটনাতে তারই আলামত দেখা যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের নানা পথ আবিষ্কার করেছে ভ্রষ্ট পুরুষের দল। একসময় ফতোয়ার শিকার হয়ে নির্যাতন ভোগ করেছেন নারীরা। এই মুহূর্তে আমরা নুরজাহানের কথা বলতে পারি। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অপরাধে যিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ফতোয়াবাজেরা তাঁকে ১০১ বার পাথর নিক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাথরের আঘাত সহ্য করতে পারলেও নিজের অপমান মেনে নিতে পারেননি তিনি। বিষপানে আত্মহত্যা করেন ২২ বছরের ওই তরুণী। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছাতকছড়া গ্রামে ঘটেছিল মর্মান্তিক এই ঘটনা। এরপর ২০১১ সালে রংপুরের বদরগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে দুই গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়েছিল, সালিসের অপমান সইতে না পেরে রেললাইনে শিশুকে নিয়ে মায়ের আত্মহত্যার কথাও অনেকের মনে পড়ে যাবে। দোররার আঘাতে কিশোরী হেনার মৃত্যুও নাড়া দিয়েছিল সেই সময় সারা দেশকে।
নুরজাহানের সেই মর্মান্তিক পরিণতির পর ২০১০ সালের ৮ জুলাই হাইকোর্ট একটি রায়ে ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ফতোয়া নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ফতোয়ার ভয়াবহতা কমলেও নারী নির্যাতনের অন্য পথগুলো তো বন্ধ হয়নি। নারীর ভাগ্য আজও রচনা করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষেরা।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে যে সালিস হলো, তাতে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এই গৃহবধূর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হলো, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কি তাঁদের ছিল? গ্রামের মাথা হয়ে তাঁরা যদি মনে করে থাকেন যে যা খুশি তা করতে পারবেন, তাহলে তো অরাজকতারই বিকাশ ঘটবে। নিজ গ্রামের একটি পরিবারের একজন নারীর সঙ্গে এই আচরণ করা তো ধৃষ্টতা। এখনো যদি এ রকম আচরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে তো বলতেই হবে, এই গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। শিক্ষার অর্থ এরা জানে না।
অভিযুক্ত গৃহবধূ এই সালিসের পর দমে যাননি। অপমানে মুখ না ঢেকে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। সালিসকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এটা কিন্তু একটা অগ্রগতি। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সূচক। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। তিনি সত্যিই বিচার পাবেন তো? যে অপমান তাঁকে করা হয়েছে, তাতে বাড়িতে, পাড়ায়, সমাজে, গ্রামে তিনি তাঁর সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে টিকে থাকতে পারবেন তো? আর এই দুর্বৃত্তরা, যারা সমাজের মাথা সেজে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তাদের শাস্তি হবে তো?
ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নইলে এ ধরনের অনৈতিকতা বাড়তেই থাকবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪