জাহাঙ্গীর জয়েস
পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে না। তবে ঘুম ভাঙলেই চড়ুইয়ের ডাক শুনি। দরজা খুললেই দেখা যায় তাদের। বারান্দার গ্রিলে বসে এদিক-ওদিক তাকায়। এখান থেকে ওখানে যায়। পুচ্ছ নাচায়।
উঠোনে ধান শুকানো হচ্ছে। চড়ুই এসে খেতে শুরু করে। সবুজ ঘাসের ভেতর খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে চড়ুইয়ের দল। ছনের ঘরের চাল, ধানখেত, ঘন গাছের শাখা-প্রশাখায় তাদের ওড়াউড়ির দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক।
পুকুরের জলে নুয়ে আসা লেবু, পেয়ারা প্রভৃতি ছোট গাছের ডাল কিংবা নদী, খালের পাশের ঝোপঝাড়ে তাদের ছোটাছুটি, কিচিরমিচির অনেকের কাছেই পরিচিত একটি দৃশ্য। কিন্তু বিদ্যুতের তারে শত শত চড়ুই এসে জড়ো হচ্ছে। তাদের কিচিরমিচির আগন্তুকদের অবাক করে দিচ্ছে। সন্ধ্যার আগে পরে ঘণ্টাখানেক তাদের শব্দে অন্য সব শব্দ ম্লান হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু সেটাই হয়েছে মৌলভীবাজারের ব্যস্ততম সড়কের একটি এম সাইফুর রহমান সড়কে (সেন্ট্রাল রোড)। শেষ বিকেলে চতুর্দিক থেকে শাঁ শাঁ শব্দ করে আসত চড়ুইয়ের পাল। চৌমোহনা লাগোয়া এই সড়কের পাশের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ডিশ, ওয়াইফাই ইত্যাদির লাইনে জড়ো হতো হাজারো চড়ুই। সন্ধ্যার পর গায়ে গা লাগিয়ে বসে থাকত তারা। এই শীতে সম্ভবত শৈত্যপ্রবাহের কারণে তারা চলে গেছে অন্য কোথাও।
সাধারণত এসব তারে চড়ুইদের থাকার কথা নয়। ধারণা করি নতুন নতুন দালানের ভেন্টিলেটর তাদের এখানে আসতে বাধ্য করেছে। আর আশপাশের গাছপালা কমে যাওয়াও একটা কারণ হতে পারে। যেখানে আগে তারা বাসা বাঁধতে পারত। এখন পারে না। এখানে তারা প্রায় ছয় মাস ছিল।
উইকিপিডিয়ায় চড়ুই সম্পর্কে লেখা আছে, ‘শহরে বা গ্রামে, মানববসতির কাছাকাছি যেকোনো পরিবেশে এরা নিজেদের স্বচ্ছন্দে মানিয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেও সাধারণত জনহীন বনভূমি, তৃণভূমি ও মরুভূমিতে এরা বসবাস করে না।’
তবে কি এই চড়ুইয়ের দল মানুষের কাছাকাছি থাকতেই এখানে এসেছিল। আবার শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচতে অন্য কোথাও কোনো মানববসতির কাছাকাছি আশ্রয় নিয়েছে!
যা হোক। আজ ২০ মার্চ বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস। তারাও ভালো থাকুক, নিরাপদ থাকুক প্রকৃতি এবং সভ্যতার মেলবন্ধনে।
লেখক: কবি ও শিক্ষক
পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে না। তবে ঘুম ভাঙলেই চড়ুইয়ের ডাক শুনি। দরজা খুললেই দেখা যায় তাদের। বারান্দার গ্রিলে বসে এদিক-ওদিক তাকায়। এখান থেকে ওখানে যায়। পুচ্ছ নাচায়।
উঠোনে ধান শুকানো হচ্ছে। চড়ুই এসে খেতে শুরু করে। সবুজ ঘাসের ভেতর খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে চড়ুইয়ের দল। ছনের ঘরের চাল, ধানখেত, ঘন গাছের শাখা-প্রশাখায় তাদের ওড়াউড়ির দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক।
পুকুরের জলে নুয়ে আসা লেবু, পেয়ারা প্রভৃতি ছোট গাছের ডাল কিংবা নদী, খালের পাশের ঝোপঝাড়ে তাদের ছোটাছুটি, কিচিরমিচির অনেকের কাছেই পরিচিত একটি দৃশ্য। কিন্তু বিদ্যুতের তারে শত শত চড়ুই এসে জড়ো হচ্ছে। তাদের কিচিরমিচির আগন্তুকদের অবাক করে দিচ্ছে। সন্ধ্যার আগে পরে ঘণ্টাখানেক তাদের শব্দে অন্য সব শব্দ ম্লান হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু সেটাই হয়েছে মৌলভীবাজারের ব্যস্ততম সড়কের একটি এম সাইফুর রহমান সড়কে (সেন্ট্রাল রোড)। শেষ বিকেলে চতুর্দিক থেকে শাঁ শাঁ শব্দ করে আসত চড়ুইয়ের পাল। চৌমোহনা লাগোয়া এই সড়কের পাশের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ডিশ, ওয়াইফাই ইত্যাদির লাইনে জড়ো হতো হাজারো চড়ুই। সন্ধ্যার পর গায়ে গা লাগিয়ে বসে থাকত তারা। এই শীতে সম্ভবত শৈত্যপ্রবাহের কারণে তারা চলে গেছে অন্য কোথাও।
সাধারণত এসব তারে চড়ুইদের থাকার কথা নয়। ধারণা করি নতুন নতুন দালানের ভেন্টিলেটর তাদের এখানে আসতে বাধ্য করেছে। আর আশপাশের গাছপালা কমে যাওয়াও একটা কারণ হতে পারে। যেখানে আগে তারা বাসা বাঁধতে পারত। এখন পারে না। এখানে তারা প্রায় ছয় মাস ছিল।
উইকিপিডিয়ায় চড়ুই সম্পর্কে লেখা আছে, ‘শহরে বা গ্রামে, মানববসতির কাছাকাছি যেকোনো পরিবেশে এরা নিজেদের স্বচ্ছন্দে মানিয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেও সাধারণত জনহীন বনভূমি, তৃণভূমি ও মরুভূমিতে এরা বসবাস করে না।’
তবে কি এই চড়ুইয়ের দল মানুষের কাছাকাছি থাকতেই এখানে এসেছিল। আবার শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচতে অন্য কোথাও কোনো মানববসতির কাছাকাছি আশ্রয় নিয়েছে!
যা হোক। আজ ২০ মার্চ বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস। তারাও ভালো থাকুক, নিরাপদ থাকুক প্রকৃতি এবং সভ্যতার মেলবন্ধনে।
লেখক: কবি ও শিক্ষক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪