Ajker Patrika

২২ মণের ষাঁড় বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
Thumbnail image

খাবার ও বাসস্থান ভিন্ন হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই অতি যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। কোনো এক শুক্রবারে জন্ম, তাই আদর করে নাম রাখা হয়েছে শুকরে। ৩ বছর বয়সের প্রায় ২২ মণ ওজনের গরুটি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক মো. হেলাল শেখ।

একদিকে গোখাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন জেলায় বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অন্যদিকে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও কোনো দরদাম হয়নি এখনো। আবার বড় গরু বাইরে নেওয়া ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। সব মিলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিক। 
কৃষক মো. হেলাল শেখ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মো. মোক্তার হোসেনের ছেলে।

সরেজমিনে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে জন্ম হয়েছিল ফ্রিজিয়ান এই ষাঁড়টির। খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয়েছে ঘাস, খড়, বিছালি, ছাল, গুঁড়া, গম ও ভুট্টার ভুসি। বর্তমান ষাঁড়টি মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বা প্রায় ৭৪ ইঞ্চি এবং বেড় ৯৪ ইঞ্চি। সাদা-কালো রঙের ৬টি দাঁতের এই গরুটির ওজন প্রায় ২২ মণ। আরও জানা গেছে, ষাঁড়টিকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান কৃষক হেলাল। তবে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম বেশি হতে পারে। প্রতিদিন গরুটি প্রায় ৫০০ টাকার খাবার খায়।

এ বিষয়ে কৃষক মো. হেলাল শেখ বলেন, ‘ঈদ চলে আসছে। কিন্তু এখনো কেউ গরুর দরদাম করেনি। স্থানীয় কয়েকটি হাটে খোঁজ নিয়েছি। বড় গরুর তেমন বেচাকেনা নেই। গোখাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি। বিভিন্ন স্থানে বন্যা হচ্ছে। ষাঁড় বিক্রি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ষাঁড়টি বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চাই। কেউ কিনতে চাইলে ০১৮১০৩৬৫৫১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।’ 
এই কৃষকের বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘ষাঁড় বাইরের জেলায় নিয়ে বিক্রি করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বাড়ি থেকে বিক্রি না হলে ক্ষতি হয়ে যাবে।’ কৃষক হেলালের মা বলেন, ‘তিন বছর আগে বাড়ির গাভি থেকে ফ্রিজিয়ান এই গরুটির জন্ম হয়েছিল। নিজের বেটার (সন্তান) মতো পালন করেছি। এখন বিক্রির সময় কান্না পাচ্ছে।’

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বছর কুমারখালী উপজেলায় চাহিদার থেকে দ্বিগুণ কোরবানির পশু উৎপাদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে বড় পশুগুলো বিক্রি করতে একটু বিপাকে পড়েন খামারিরা। তবে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বড় পশু বিক্রিতে সহায়তা করা হয় মালিকদের।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত