ফারুক মেহেদী, ঢাকা
কোমর সোজা করে উঠে দাঁড়ানোর আগেই একের পর এক সংকটে পড়ছে মানুষ। কখনো মরণব্যাধি করোনার ছোবল, কখনো জিনিসপত্রের বাড়তি দাম, কখনো গ্যাসের দাম বাড়ানো। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজেটের চাপ। এসব সামাল দেওয়ার আগেই আবার বন্যার আঘাত। এ সবকিছু দেশের মধ্য ও নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনীতি একটা আশঙ্কাজনক অবস্থা পার করছে। করোনাসহ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির ধকল না কাটতেই, বাজেটের ধাক্কা এবং অপ্রত্যাশিত বন্যার ক্ষতির রেশ পড়বে কমবেশি সব মানুষের ওপর। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সার্বিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে করোনা আঘাতের পর থেকে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষ এখনো আর্থিক টানাটানির বৃত্ত ভেঙে বেরোতে পারেনি। চলতি বছরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিকভাবে চাহিদা তৈরি হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়ে। এর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বে পণ্যের উৎস দেশগুলোর কোথাও কোথাও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। আর জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য এতে ঘি ঢালে।
অন্য দেশের মতো আমদানিনির্ভর বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে জিনিসপত্রের দাম। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দুদিন আগে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, দেশে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, গত মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি হিসাবেই জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাস্তবে এ হিসাব আরও অনেক বেশি বলে তা দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলে আসছেন।
এর মধ্যে সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেছে। বাজেটটি এমন এক সময়ে ঘোষণা করা হয়েছে, যখন বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা একটা টালমাটাল অবস্থা পার করছে। এর ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশেও। মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। এতে চাপ বাড়বে মধ্যবিত্তের।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ও রাজস্ব বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের বাজেটে রিটার্ন না দিলে ৩৫-৪০ ধরনের সরকারি সেবা না পাওয়ার যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা কঠিন আইন। এর ফলে মানুষ চরম হয়রানির শিকার হবে। ভোগান্তির মাত্রা এত বেশি হবে যে, তা এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। বাজেটের যে হিসাবনিকাশ তাতে দেখা যাচ্ছে, সামনের দিনে প্রকৃত পক্ষে মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়বে। এখানে সূক্ষ্মভাবে মধ্যবিত্তকে আঘাত করা হয়েছে। পরিণামে তা মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জানা যায়, জ্বালানি তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, সামনে দেশেও এ দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে সরকার। কারণ, বাজেটে ভর্তুকির জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা বিশ্ববাজারের লাগামহীন দাম ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়। সামনে জ্বালানি তেলের দাম ছাড়াও বিদ্যুৎ, সার ও পানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে, মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
বেসরকারি সংগঠন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (বিআইজিডি) গবেষণায় জানা যায়, করোনাকালে দেশে তিন কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছিল। করোনার প্রকোপ কমায় এ সংখ্যা কমে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশে ২১ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বলে সংস্থা দুটি মনে করে। গবেষণার তথ্য বলছে, মানুষের আয় করোনা পূর্বসময়ের চেয়ে এখনো ১৫ শতাংশ কম। শহরে এ হার অনেক বেশি, ২৫ শতাংশ। জরিপে দেখা যায়, গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের আয় কমেছে অনেক বেশি।
এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হলেও এর রেশ এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্তত ১৭-১৮টি জেলায়। সামনে এর পরিধি বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। বন্যার ক্ষতি নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত হিসাব হয়নি, তারপরও এবার বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতি ব্যাপক ও বহুমাত্রিক। শাকসবজি, পুকুরের মাছ, পোলট্রি, ডেইরি, ঘরের মজুত ধান-চাল, আসবাবসহ ঘর-গৃহস্থালির কমবেশি সব জিনিসই ক্ষতি হয়েছে। মে মাসের বন্যায় সিলেটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সড়ক, কৃষি ও মাছের। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবাদিপশু ও গ্রামীণ অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। এর ওপর আবার দ্বিতীয় দফা বন্যা। একইভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জও।
এ প্রসঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, করোনার পর একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে দেশের মানুষ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দামের চাপ সামলানোর চেষ্টার মধ্যেই বন্যার আঘাত মানুষকে আরও ভোগাবে। বন্যার আঘাতটি অপ্রত্যাশিত এবং এর মাত্রা অনেক ব্যাপক। এটি একা সরকারের পক্ষে সামলানো কঠিন। বেসরকারি খাতকেও সমানভাবে সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত করবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা না হলেও আমরা নাজুক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। তাই সরকারকে ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে।’ এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আরও নিতে হবে। সামনে যে মুদ্রানীতি আসছে সেটা সংকোচনমূলক হতে হবে। এতে হয়তো মূল্যস্ফীতিটা কিছু সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে।
কোমর সোজা করে উঠে দাঁড়ানোর আগেই একের পর এক সংকটে পড়ছে মানুষ। কখনো মরণব্যাধি করোনার ছোবল, কখনো জিনিসপত্রের বাড়তি দাম, কখনো গ্যাসের দাম বাড়ানো। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজেটের চাপ। এসব সামাল দেওয়ার আগেই আবার বন্যার আঘাত। এ সবকিছু দেশের মধ্য ও নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনীতি একটা আশঙ্কাজনক অবস্থা পার করছে। করোনাসহ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির ধকল না কাটতেই, বাজেটের ধাক্কা এবং অপ্রত্যাশিত বন্যার ক্ষতির রেশ পড়বে কমবেশি সব মানুষের ওপর। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সার্বিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে করোনা আঘাতের পর থেকে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষ এখনো আর্থিক টানাটানির বৃত্ত ভেঙে বেরোতে পারেনি। চলতি বছরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিকভাবে চাহিদা তৈরি হওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়ে। এর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বে পণ্যের উৎস দেশগুলোর কোথাও কোথাও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। আর জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য এতে ঘি ঢালে।
অন্য দেশের মতো আমদানিনির্ভর বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে জিনিসপত্রের দাম। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দুদিন আগে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, দেশে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, গত মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি হিসাবেই জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাস্তবে এ হিসাব আরও অনেক বেশি বলে তা দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলে আসছেন।
এর মধ্যে সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেছে। বাজেটটি এমন এক সময়ে ঘোষণা করা হয়েছে, যখন বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা একটা টালমাটাল অবস্থা পার করছে। এর ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশেও। মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। এতে চাপ বাড়বে মধ্যবিত্তের।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ও রাজস্ব বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের বাজেটে রিটার্ন না দিলে ৩৫-৪০ ধরনের সরকারি সেবা না পাওয়ার যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা কঠিন আইন। এর ফলে মানুষ চরম হয়রানির শিকার হবে। ভোগান্তির মাত্রা এত বেশি হবে যে, তা এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। বাজেটের যে হিসাবনিকাশ তাতে দেখা যাচ্ছে, সামনের দিনে প্রকৃত পক্ষে মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়বে। এখানে সূক্ষ্মভাবে মধ্যবিত্তকে আঘাত করা হয়েছে। পরিণামে তা মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জানা যায়, জ্বালানি তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, সামনে দেশেও এ দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে সরকার। কারণ, বাজেটে ভর্তুকির জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা বিশ্ববাজারের লাগামহীন দাম ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়। সামনে জ্বালানি তেলের দাম ছাড়াও বিদ্যুৎ, সার ও পানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে, মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
বেসরকারি সংগঠন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (বিআইজিডি) গবেষণায় জানা যায়, করোনাকালে দেশে তিন কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছিল। করোনার প্রকোপ কমায় এ সংখ্যা কমে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশে ২১ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বলে সংস্থা দুটি মনে করে। গবেষণার তথ্য বলছে, মানুষের আয় করোনা পূর্বসময়ের চেয়ে এখনো ১৫ শতাংশ কম। শহরে এ হার অনেক বেশি, ২৫ শতাংশ। জরিপে দেখা যায়, গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের আয় কমেছে অনেক বেশি।
এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হলেও এর রেশ এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্তত ১৭-১৮টি জেলায়। সামনে এর পরিধি বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। বন্যার ক্ষতি নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত হিসাব হয়নি, তারপরও এবার বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতি ব্যাপক ও বহুমাত্রিক। শাকসবজি, পুকুরের মাছ, পোলট্রি, ডেইরি, ঘরের মজুত ধান-চাল, আসবাবসহ ঘর-গৃহস্থালির কমবেশি সব জিনিসই ক্ষতি হয়েছে। মে মাসের বন্যায় সিলেটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সড়ক, কৃষি ও মাছের। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবাদিপশু ও গ্রামীণ অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। এর ওপর আবার দ্বিতীয় দফা বন্যা। একইভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জও।
এ প্রসঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, করোনার পর একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে দেশের মানুষ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দামের চাপ সামলানোর চেষ্টার মধ্যেই বন্যার আঘাত মানুষকে আরও ভোগাবে। বন্যার আঘাতটি অপ্রত্যাশিত এবং এর মাত্রা অনেক ব্যাপক। এটি একা সরকারের পক্ষে সামলানো কঠিন। বেসরকারি খাতকেও সমানভাবে সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত করবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা না হলেও আমরা নাজুক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। তাই সরকারকে ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে।’ এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আরও নিতে হবে। সামনে যে মুদ্রানীতি আসছে সেটা সংকোচনমূলক হতে হবে। এতে হয়তো মূল্যস্ফীতিটা কিছু সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪